‘চিত্রচোর’ উপন্যাস ছাপা হওয়ার পরে ব্যোমকেশ এর বেশ নাম হয়েছে, এখন প্রায়ই বিভিন্ন কেস এ ব্যোমকেশের ডাক আসে। তবে ব্যোমকেশ এখন ঢালাওভাবে সব কেস নেয় না। কিছু নেয়, বাকিগুলো ছেড়ে দেয়। সংসারী মানুষ আমার বন্ধু। সারাক্ষণ দৌঁড়ঝাপ করলে বাড়ির খেয়াল কে রাখবে?
আমার সাথে প্রকাশক দের বেশ খাতির জমে উঠেছে। প্রায় ই প্রকাশক রা ধর্ণা দিতে থাকে। আমার বইয়ের দোকান টাও জমে উঠেছে।
এরই মাঝে এক রবিবার সকালে, সবেমাত্র চা জলখাবার খেয়ে বসেছি, অমনি ব্যোমকেশ এসে বলল, ‘বুঝলে অজিত, সত্যান্বেষী না হয়ে বোধ করি আমার ডাক্তারী পড়া উচিত ছিল’।
‘কেন হে ভায়া? হঠাৎ পেশা পরিবর্তন করার ইচ্ছা জাগল কেন?’
‘এই যে ডাক্তারীবিদ্যা তে কত রহস্য, তার কত জটিল থেকে জটিলতর সমাধান।’
‘ডাক্তারী বই-টই পড়ছ নাকি ইদানীং?’
‘হ্যাঁ, তা তো পড়ছি বৈকি’
এমন সময় নিচে পায়ের শব্দ হল। মশমশে জুতোর শব্দ তুলে কেউ একজন আসছেন।
‘এও কি সম্ভব অজিত? প্রতাপগড়ের জমিদার রায়বাহাদুর স্বয়ং আসছেন মনে হচ্ছে যেন!’
ঘরে এলেন দীর্ঘদেহী, গোঁফ ধারী, গিলে করা পাঞ্জাবী পরিহিত, চার আঙ্গুলে সোনার আংটি ধারণকৃত, রুপোর হাতলে মোড়ানো লাঠি হাতে স্বয়ং প্রতাপগড়ের জমিদার মহাশয়।
‘আসুন, কি সৌভাগ্য আমার, জমিদার মশাই আমার বাড়িতে, আপনি কষ্ট করতে গেলেন কেন? আমাকে খবর দিতেন, আমি নিজে এসে যেতাম।’
‘প্রয়োজন টা যেহেতু আমার, তাই আমাকেই তো আসতে হবে’ গলার স্বরে যেন হলঘর গমগম করে উঠল। পর্দার আড়াল সরিয়ে সত্যবতী এগিয়ে এল।
‘বসুন, পরিচয় করিয়ে দি, এ আমার স্ত্রী সত্যবতী, আর ও আমার বন্ধু অজিত। আর ইনি হলেন প্রতাপগড়ের জমিদার মহাশয়।’
‘নমস্কার’
‘নমস্কার’
‘বলুন, কি যেন প্রয়োজনের কথা বলছিলেন’
‘দেখুন ব্যোমকেশ বাবু, আপনি তো গোয়েন্দা, আপনাকে এই রহস্যের সমাধান করতেই হবে’
‘আমি আসলে সত্যান্বেষী, সত্য কে খুঁজে বের করি, আপনি সমস্যাটা বলুন। আমি চেষ্টা করে দেখি।’
‘সমস্যা হল আমার জমিদারী এলাকার মানুষ। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার বেশ কিছু মানুষ জ্বরে পড়ছে, একেকজন এর একেক রকম জ্বর। সকলের সামর্থ্য নেই যে তারা শহরে এসে ডাক্তার দেখিয়ে পথ্য নিবে। ফলে বেশ কিছু মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। আমি ধরতেও পারছি না, কি এমন হল। শহর থেকে যে ডাক্তার আনব, সে উপায় ও নাই। জেলা সদরে মাত্র একজন ডাক্তার বসেন। তিনি নিজের কাজের জায়গা ছেড়ে আসতে চান না। এই সমস্যার সমাধান আপনাকেই করতে হবে ব্যোমকেশ বাবু।’
‘দেখুন, আমি তো ডাক্তার নই, আমার কাজ তো সত্যান্বেষণ’
‘হ্যাঁ, সে কাজটিই করবেন। জ্বরের সত্য অন্বেষণ করবেন। আর আপনার বুকশেলফ এ আমি ডাক্তারী বিদ্যার বই দেখতে পারছি, অর্থাৎ এ বিষয়ে আপনার জ্ঞান আছে। দয়া করে না করবেন না। নাহয় আমার জমিদারী তে মড়ক লেগে গ্রাম উজাড় হয়ে যাবে।’
‘আমি ভেবে আপনাকে চিঠি লিখে দেব।’
‘আজ চলি, নমস্কার’
‘নমস্কার’
জমিদার মহাশয় বেরিয়ে যাওয়ার পরে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কিছু সময় পূর্বেই বলছিলে ডাক্তার হওয়ার বাসনার কথা, এখন তো সে মোক্ষম সুযোগ এসেই গেল। এখন ইতস্তত কেন করছ হে?’
‘অজিত, তুমি কি জান, জ্বর ব্যাপার টা ডাক্তারী শাস্ত্রের সবচেয়ে কঠিন বিষয়?’
‘কিরকম?’
‘যেমন কতদিনের জ্বর, কখন শুরু হল, ঘাম হয় কিনা, নিজে থেকে কমে না ঔষধ লাগে, জ্বরের সাথে কোন র্যাশ….’
‘থাম তো, জ্বর জ্বর শুনতে শুনতে আমার ই কেমন জ্বর উঠে গেল, তুমি লিখে দাও, অনেকদিন হাওয়া বদলের জন্য কোথাও যাওয়া হয় না, ঘুরে আসি’
‘ঠিক আছে, শুক্রবার তাহলে রওনা দেব। জমিদার মহাশয় কে লিখে দি’
শুক্রবার সকালে জলখাবার খেয়ে আমি আর ব্যোমকেশ বেরিয়ে পড়লাম প্রতাপগড়ের জমিদার এর ডাকে। পথে যেতে যেতে ব্যোমকেশ ডাক্তারী বিদ্যার বই এ মুখ গুঁজে রইল সারাটা পথ।
প্রতাপগড় পৌঁছলাম তখন ঘড়ির কাটায় রাত আটটা। রায়বাহাদুর বাবু আমাদের জন্য গাড়ি পাঠিয়েছিলেন স্টেশনে, তাতে চেপে চলে এলাম রায়বাহাদুর স্টেট এ। এত বিশাল রাজপ্রাসাদ এর মত বাড়ি দেখে অবাক ই হলাম বৈকি। ভেতরে এলাম, রায়বাহাদুর সাহেব সাদর অভ্যর্থনা জানালেন। বললেন,’অনেকটা পথ এসেছেন, আজ রাত টা বিশ্রাম করুন। কাল সকালে আপনাদের নিয়ে যাব। ঘুরে দেখবেন। থানার বড়বাবু ইন্সপেক্টর বরাট কে বলা আছে, আপনার সব ধরণের সাহায্য করবেন উনি।’
রাতে ভূরিভোজ হল ডাল, শুক্তো, কয়েক পদের মাছ, মুড়িঘণ্ট দিয়ে। খাওয়ার পরে নিজেদের ঘরে এসে শুয়ে পড়লাম। কালকে দৌড়াদৌড়ি আছে। ব্যোমকেশ কে খুব সম্ভব সবচেয়ে কঠিন কেস নিয়ে মাথা খাটাতে হবে।
সকালে উঠে দেখলাম ব্যোমকেশ আমার আগেই উঠে গিয়েছে। বারান্দায় দাড়িয়ে গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে সিগারেট টানছে। জিজ্ঞাসা করলাম,’এখন থেকেই চিন্তায় পড়ে গেলে? আগে দেখ কেস টা কি।’
কোন কথা বলল না, বুঝলাম তার চিন্তা জট পাকিয়ে গিয়েছে। একটি একটি সুতো ধরে খোলার চেষ্টা করছে।
জলখাবার এল, খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম রায়বাহাদুর মহাশয় এর সাথে। পথে থানার সামনে জীপ থামিয়ে তুলে নিলেন ইন্সপেক্টর বরাট কে।
বসতি এলাকায় এসে রায়বাহাদুর একজন কে ডেকে আমাদের কথা জানালেন। বললেন একজন একজন করে যেন আসেন। ব্যোমকেশ আমাকে কাগজে সব টুকে নিতে বলল।
প্রথমে যিনি এলেন, তিনি বছর চল্লিশের প্রৌঢ়, একদম জীর্ণ শীর্ণ চেহারা। বসলেন, ব্যোমকেশ সমস্যার কথা জানতে চাইলে বললেন, ‘আমি প্রাণহরি, গত ১২-১৪ দিন ধরেই জ্বর, সাথে খুশখুশে কাশি।’
‘জ্বর কখন হয়? ঘাম হয়?’
‘বিকালে জ্বর বাড়ে, রাতে প্রচণ্ড ঘাম হয়’
‘শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে?’
‘কাশি হলে শ্বাসকষ্ট হয়।’
‘ইদানীং কালে কি ওজন কমেছে?’
‘হ্যাঁ প্রায় ৭ কেজি, গত ১৫ দিনে’
‘জ্বর এর ধাঁচ টা কেমন?’
‘প্রতিদিন উঠে আর নামে।’
‘জ্বর এর মাঝে কি জ্বরহীন কোন অবস্থা ছিল?’
‘না’
‘গায়ে হাতে পায়ে কোন ধরনের ফুসকুড়ি বা লাল দাগ আছে?’
‘না’
‘আর কোন ধরনের সমস্যা? যেমন পেট এ ব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, বুকে ব্যথা, মাথা ব্যথা?’
‘বুকে হালকা চাপ লাগে কাশি দিলে’
‘আচ্ছা আপনি এখন আসতে পারেন। পরবর্তী জন কে পাঠান’
পরের জন, বছর ৩৫ এর একজন, যার সমস্যা কাশি, জ্বর কয়েক মাস ধরে, ওজন কমে যাচ্ছে এবং ঘাড়ে এবং কুঁচকিতে কিছুদিন ধরে ফোলা অংশ দেখা যাচ্ছে। ব্যোমকেশ রোগীটা কে চেপে চুপে কিছু পরীক্ষা করল। তারপর যেতে বলল। আমার হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে কিছু কথা লিখে রাখল।
সারাদিন ই ব্যস্ততা তে কেটে গেল। বিভিন্ন রকম রোগী, তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যা, কারো প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, কারো পেটের এক পাশে ব্যথা, কারো বা আবার মাথাব্যথা। এতসব জ্বরের কথা শুনতে শুনতে নিজের ই অসুস্থবোধ হতে থাকল। কিন্তু ব্যোমকেশ কে দেখে বোঝার ও উপায় নেই, এত এত রোগীর সাথে কথা বলল।
রাতে খেতে বসে রায়বাহাদুর মহাশয় জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সব রোগীকেই তো দেখলেন, কি মনে হল আপনার? প্রত্যেকের জ্বরের কারণ কি?’
‘প্রত্যেকের জ্বরের কারণ আলাদা রায়বাহাদুর মহাশয়। এবং প্রত্যেকের ডাক্তার এর কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। আমি ডাক্তার না, আমি কোন ধরনের ঔষধ তো দিতে পারি না, তবে সত্য টা ঠিক ই খুঁজে বের করেছি।’
‘তাহলে এখন?’
‘আমি লিখে দিয়ে যাব, কার কি সমস্যা, আপনি শহরের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে সেই মত ঔষধ নিয়ে আসবেন।’
‘আচ্ছা। আপনারা কি সকালেই বেরিয়ে যাবেন নাকি?’
‘হ্যাঁ, আমার কাজ শেষ। এখন প্রজাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব আপনার।’
ঘরে এসে ব্যোমকেশ কে চেপে ধরলাম, ‘সব যে জেনে গেছ বললে, আসলেই কি জেনে গেছ? নাকি পালাতে চাইছ?’
‘অজিত, ব্যোমকেশ বক্সী কখনো সমস্যা দেখে পিছপা হয় না। নাও তোমার খাতা টা দাও। তোমাকেও বুঝিয়ে দিচ্ছি।’
খাতাটা এগিয়ে দিলাম, ব্যোমকেশ বলতে শুরু করল।
‘এই যে প্রথমে প্রাণহরি, সমস্যা ছিল Fever, Evening rise of temperature, Night sweats with Quotidian fever pattern, with weight loss. Quotidian অর্থ প্রতিদিন জ্বর উঠবে আর নামবে। এই যে feature গুলো, একদিকেই নির্দেশ করে। Pulmonary Tuberculosis.
আমরা যদি দেখি, জ্বর কে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
- Intermittent: এখানে জ্বর আসে, আবার কমে এবং কমলে প্রতিবার ই baseline এ নেমে যায়। একে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়।
১) Quotidian- প্রতিদিন জ্বর উঠবে, আবার কমে যাবে। সাধারণত Tuberculosis, UTI, Septicaemia তে এ ধরনের জ্বর দেখতে পাওয়া যায়।
২) Tertian- এক্ষেত্রে একদিন অন্তর জ্বর হবে অর্থাৎ জ্বর-ভাল-জ্বর এভাবে। Plasmodium vivax দিয়ে ম্যালেরিয়া হলে এ ধরনের জ্বর হতে পারে।
৩) Quartan- এক্ষেত্রে দুইদিন অন্তর জ্বর হবে অর্থাৎ জ্বর-ভাল-ভাল-জ্বর। যদিও এটা তেমন একটা দেখা যায় না, তবুও Plasmodium malariae দিয়ে ম্যালেরিয়া হলে দেখা যেতে পারে কিছু ক্ষেত্রে। - Remittent: এখানে জ্বর ২° সেলসিয়াস এর বেশি ওঠানামা করবে, কিন্তু baseline এ আসবে না। যেকোন Pyogenic Infection এর ক্ষেত্রে এ ধরনের জ্বর দেখা দিতে পারে। Continued: এক্ষেত্রে জ্বর ১° সেলসিয়াস এর বেশি ওঠানামা করবে, কিন্তু baseline এ আসবে না। Typhoid fever, meningococcal meningitis এর ক্ষেত্রে এ ধরনের জ্বর হতে পারে।
এবার দেখ দ্বিতীয় ব্যক্তি, কাশি, জ্বর কয়েক মাস ধরে, সাথে ঘাড়ে ও কুঁচকিতে ফোলা। পরীক্ষা করে দেখলাম তার Generalised Lymphadenopathy আছে, সাথে Hepatosplenomegaly. It’s a confirm case of Hematological Malignancy, mostly Lymphoma. বুঝলে অজিত, কথায় বলে, একজন ডাক্তারকে একজন সত্যান্বেষীর মত চিন্তা করতে হয়, আমি একজন সত্যান্বেষী হয়ে তো সেভাবে দেখতেই হবে।’
‘এতটুকুই জ্বর সম্পর্কে কথা?’
‘কথার কি কোন শেষ আছে? জ্বর নিয়ে একজন রোগী আসলে তাকে কি কি প্রশ্ন করব? - কবে থেকে
- কখন হয়, কাঁপুনি বা ঘাম হয় কিনা
- ঔষধ এ বা অন্য কিছুতে কমে কিনা
- তাপমাত্রা সর্বোচ্চ কত ছিল
- জ্বরের সাথে গায়ে ফুসকুড়ি(Rash) বা লাল দাগ(Purpura) আছে কিনা
- কোন ঔষধ গ্রহণের History আছে কিনা
- অন্য কোন সমস্যা যেমন কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, পেট ব্যথা এসব আছে কিনা।’
‘ঔষধের কথা টা কেন আনলে? ঔষধ খেলেও জ্বর হয় নাকি?’
‘হ্যাঁ, MAO inhibitor, TCA (Tricyclic Antidepressant), Beta lactum antibiotics, Sulfonamide খেলে জ্বর আসতে পারে।’
‘জ্বরের আর কি কি ব্যাপার আছে বল তো।’
★ ‘জ্বর এর সাথে কাঁপুনি, আবার ঘাম দিয়ে সেরে গেলে-Malaria
★ জ্বর সাথে Unconsciousness থাকলে- Cerebral Malaria, Meningitis, Encephalitis, Pontine Haemorrhage.
★ জ্বর যদি Step ladder pattern এ হয়-Enteric fever
★জ্বর এর সাথে Rash থাকলে কিভাবে মনে রাখবে? এজন্য Mnemonic হল ‘Very Sick Person Must Take Double Eggs’
অর্থাৎ
• প্রথম দিনে Rash হলে Varicella,
• দ্বিতীয় দিনে হলে Scarlet fever,
• তৃতীয় দিনে হলে Small pox
• চতুর্থ দিনে হলে Measles, Rubella
• পঞ্চম দিনে হলে Typhus
• ষষ্ঠ দিনে হলে Dengue fever
• সপ্তম দিনে হলে Enteric fever.’
‘থাক ব্যোমকেশ, আর বলো না। আমার তো মাথা ঘুরয়ে যাচ্ছে। এক জ্বরের এত কাহিনি?’
‘জ্বর হচ্ছে কেন? শরীরে কোন বাহ্যিক শত্রু বা Pathogen আক্রমণ করলে তখন শরীরের Defensive mechanism হিসেবে জ্বর হয়, তোমার শরীর কে যে জ্বর রক্ষার চেষ্টা করছে, সে জ্বর কে হেলাফেলা কিভাবে করবে?’
‘ঘাট হয়েছে, এবার ঘুমাও। সকালে কিন্তু সাড়ে ছ’টায় ট্রেন, মনে আছে তো?’
‘হ্যাঁ মনে আছে। ঘুমোচ্ছি’
আমার বন্ধু ব্যোমকেশ যতটা সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করতে পারে, অত সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করার শক্তি খুব কম লোকের ই দেখেছি। তাই তো সে বিখ্যাত ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী’।
প্ল্যাটফর্ম একাডেমিক/ ধ্রুব ধর
চট্টগ্রাম মা-ও-শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ
সেশনঃ ২০১৩-২০১৪