সকাল ১০ টার দিকে ফোন আসলো হোটেলরুমে। যেই লোকের কারণে ঢাকাতে আসা সেই খুন! তাড়াতাড়ি নাস্তা খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম উমানাথ ঘোষালের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেলো ভদ্রলোক তার পড়ার টেবিলের সামনে চেয়ারের উপরে বসা, জানালার দিকে মুখ করে। মাথায় একটি গুলির চিহ্ন। ডান হাত কোলের উপরে এবং বাম হাত ছিলো চেয়ারের হাতলের উপর এবং হাতে ছিলো একটি পাইপ।
পুলিশ এসে পৌঁছানোর পরে আসেপাশের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে বডি নিচে নামানো হলো। আশ্চর্যজনকভাবে নামানোর পরও বডি ঠিক একই অবস্থায় ছিলো, যেন বসার ভঙ্গিতে শুয়ে আছেন। তার হাত থেকে পাইপ অনেক চেষ্টার পরেও আলাদা করা যাচ্ছিলো নাহ। ফেলুদা তার কিছু সাধারণ পর্যবেক্ষণ শেষ করার পরই আমরা আবার হোটেলের পথ ধরলাম।
পথে আসতে আসতে ফেলুদাকে বডির এমন অবস্থার কারণ জিজ্ঞেস করায় ফেলুদা বললেন,”এমন ঘটার কারণ হলো “Rigor mortis”
আমাদের কৌতুহল উদ্দীপক চেহারাগুলো দেখেই ফেলুদা বলতে শুরু করলেন-
Rigor mortis is a state of stiffening of muscles, sometimes with slight shortening of the fibres. Individual cell death takes place in this stage.
এর আরো কয়েকটা নাম আছে। শুনে রাখ, পরে হয়তো কাজে লাগতেও পারে- Death stiffening, cadaveric rigidity
“তুমি এটা কিভাবে নিশ্চিত হলে?” বিষয়টা সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হবার জন্যই ফেলুদাকে প্রশ্ন করলাম।
গতকাল সন্ধার পরে আর কেউ ওনাকে দেখেনি। সেই হিসেবে ১২ ঘন্টারো বেশি সময় সময় পেরিয়ে গেছে। এটা একটা কারণ, আর বডির অবস্থা তো দেখলিই। সেইজন্যই আমি এত নিশ্চিত। এছাড়াও আমি বডি পরীক্ষা করেছি। বিশেষ কিছু পরীক্ষায় Rigor mortis সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
Rigor সাধারণত পরীক্ষা করা হয় এগুলোর মাধ্যমে-
- Trying to lift the eyelids
- Depressing the jaw
- Gently bending the neck and various joints of the body
এইসব যায়গায় Rigor এর Degree- absent, minimal, moderate, advanced or complete এবং Distribution দেখা হয়।
কিছু Feature দেখলেও তুই বলতে পারবি Rigor mortis আছে কি নেই। এই বডির ক্ষেত্রেও আমি কয়েকটা পেয়েছি। যেমন-
- When rigor is fully developed, the entire body is stiff, the muscles are shortened, hard and opaque.
- Knees, hips, shoulders and elbows are slightly flexed and fingers and toes often show a marked degree of flexion.
- Rigor of erector pilae muscles attached to the hair follicles may cause roughness, pimpling or goose-flesh appearance of the skin with elevation of the cutaneous hairs, known as cutis anserina or goose skin.
- The pupils may be partially contracted.
এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে আরো দুটো জিনিস পাওয়া যেতে পারে, তা হলো-- The testes may be drawn up into the groin; semen may be forced out of the seminal vesicles.
- Rarely, if the uterus is in labour at the time of death, the rigor mortis may cause the uterus to contract and expel the foetus.
“Crime investigation এ Rigor mortis গুরুত্ব কতটুকু?” আমিই প্রশ্ন করলাম।
“এর Medicolegal importance আছে তো। শোন তবে-
- It is a sign of death.
- Its extent helps in estimating the time of death which is not reliable.
- It indicates the position of the body at the time of death.
মানে মৃত্যুর সময় দেহ যেভাবে ছিলো সেভাবেই থাকবে, যদি তুই সাপোর্ট সড়িয়ে নিস তার পরেও”
“তবে তো এটা বেশ উপকারী, তাইনা ফেলুদা,” আমি বললাম।
এত সহজেই বেশ উপকারী হবার সার্টিফিকেট দিচ্ছিস। উপকার যেমন করে তেমনি ক্ষতিও করে। কিছু Postmortem change যেগুলো Rigor mortis এর কারণে হয় সেগুলো বেশ ঝামেলায় ফেলে। যেমন-
- In the heart, rigor causes ventricles to contract which may be mistaken for left ventricular hypertrophy. This can be excluded by measuring weight, estimating the relative size of left side and measuring ventricular thickness.
- Secondary muscular flaccidity may result in distension of the atria or ventricles which should not be mistaken for ante-mortem dilatation of the chambers or myocardial degeneration.
- Because of these postmortem changes, it is not possible to determine at autopsy whether a heart has stopped in systole or diastole.
- Muscle relaxation immediately after death with opening of the eyes and mouth and subsequent fixation in rigor mortis often occur after death, giving the face the appearance of grimacing, but this does not reflect whether the individual’s last moments were of fear or fright.
“কিন্তু এটা হয় কি কিরে মশাই?” কৌতুহল দমন করতে না পেরে জটায়ুর প্রশ্ন।
ফেলুদা বললেন,“তোপসে, স্বাভাবিক Muscle contraction and relaxation process টা বলতো।”
আমি বলতে শুরু করলাম- Voluntary muscle তৈরি হয় Bundles of long fibres থেকে। প্রতিটি Fibre তৈরি হয় Densely packed myofibrils থেকে। এই Myofibril গুলোই Contractile elements, এগুলো আবার তৈরি হয় দুই ধরণের Protein filaments থেকে, Actin ও Myosin filaments যেগুলো একটি Loose physico-chemical combination তৈরি করে যাকে বলে Actomyosin। এই Actomyosin অবস্থায় দুইটা আলাদা অবস্থায় থাকার চেয়ে দৈর্ঘে ছোট হয়।
Nerve impulse এর কারণে Sarcoplasmic reticulum থেকে Ca++ release হয় যা Troponin এর সাথে Bind করে Troponin-tropomycin complex তৈরি করে এবং এটা Actin এর Myosin binding site কে উন্মুক্ত করে। এতে Head of the myosin এর সাথে Head of the actin খুব সহজেই Bind করতে পারে। এতে করে Arrays of actin filaments এর সাথে Arrays of myosin filaments interdigitate করে, ঠিক যেমন Piston cylinder এর মধ্যে প্রবেশ করে। আর এতেই Muscle contraction হয়।
স্বভাবতই Relaxation এর বেলায় উলটা ঘটনা ঘটবে। প্রথমেই Ca++ কে ATP-driven pumping এর মাধ্যমে Sarcoplasmic reticulum এ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াতে Myosin binding site এ আবার Troponin চলে আসে। আবার, Actin ও Myosin তার আগেকার অবস্থায় ফিরে যায়।
ফেলুদা বললেন, “এইবারে Rigor mortis এর Mechanism টা বলতে পারবি আন্দাজ করে?”
“আমার ধারণা- জীবিত অবস্থায়, Muscle relaxation এর জন্য যে Energy প্রয়োজন হয় তা Adenosinetriphosphate (ATP) থেকে আসে। মৃত্যুর পর ATP এর তৈরি না হবার কারণে Muscle relaxation সম্ভব হয় না, তাই Muscle এমন Contracted অবস্থায় থাকে,“পুরোটাই আন্দাজে বললাম।
“তোর উত্তর ঠিকই আছে। তবে একটা খটকা কিন্তু এখানে থাকেই- ATP যদি নাই থাকে তবে আগে Muscle contraction কিভাবে হবে যার জন্য এমন অবস্থা হয়?” ফেলুদার পাল্টা প্রশ্ন।
“বলতে পারবো না ফেলুদা,” আত্মসমর্পন ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো নাহ।
পুরোটা বুঝে নে তবে-
একটু আগে তুই যা বললি তা তো সব স্বাভাবিক অবস্থায় ঘটে। মৃত্যুর পরে কি হয় সেটা এবার শোন। Muscle cell এর Sarcoplasmic reticulum এর Postmortem loss of integrity দেখা যায় যার কারণে আপনাআপনিই অর্থাৎ আগেকার মত Nerve impulse ছাড়াই Ca++ release হয় এবং তা Contractile units of muscle fibres (sarcomeres) এর ভিতরে প্রবেশ করে ঠিক আগেকার মতোই Binding of actin and myosin molecules প্রক্রিয়া শুরু করে যা সাধারণ Contraction process এর মতোই। কিন্তু Normal relaxation এর মত Energy-dependent অর্থাৎ ATP-driven pumping of Ca++ back across the membrane of the sarcoplasmic reticulum আর সম্ভব হয় না Membrane disruption এবং Lack of ATP এর কারণে। এই Pumping of Ca++ বন্ধ হবার জন্য Normal relaxation প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক এই কারণেই Muscle এর Contraction stage অনেকক্ষণ যাবৎ বজায় থাকে।
ATP muscle এর Elasticity ও Plasticity এর জন্য দায়ী। Energy production এর জন্য Dephosphorylation of ATP by the action of ATPase প্রয়োজন যা থেকে ADP, phosphate এবং Large amount of energy পাওয়া যায়, এবং এই শক্তিই Muscle contraction বা Relaxation এ ব্যবহৃত হয়। দেহের Muscle গুলোয় Continuous supply of ATP নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি মেটাবলিক সিস্টেমঃ
- Phosphagen system
- Glycogen-lactic acid system
- Aerobic system
মৃত্যুর পরে ATP ক্রমাগত নষ্ট হতে থাকে এবং এর কারণে Increased accumulation of lactates and phosphates in the muscle পাওয়া যায়। তিনটি মেটাবলিক সিস্টেম ব্যাহত হবার জন্যই ATP এর Resynthesis আর হয় না। এই Postmortem alteration of ATP এর কারণ হলো Dephosphorylation এবং Deamination.
“আচ্ছা মশাই, এই প্রক্রিয়া শুরুটা কোথায় হয়? মাথাতে নাকি পা থেকে?” জটায়ুর প্রশ্ন।
“হৃদয়ে,” ফেলুদার রহস্যজনক উত্তর।
হতচকিত হয়ে জটায়ু বললেন, “মানে?”
“Nysten’s rule” এর মতে –
All muscles of the body, both voluntary and involuntary are affected. It does not start in all muscles simultaneously.
এটা প্রথম দেখা যায় Involuntary muscles এ; Myocardium এক ঘন্টার মধ্যে Rigid হয়। এরপর এটা শুরু হয় Eyelids, neck and lower jaw এবং সেখান থেকে যায় Muscles of the face এ এবং নিচের দিকে নামে Muscles of the chest, upper limbs, abdomen and lower limbs এবং সবশেষে Fingers and toes এ।
প্রত্যেকটা Individual limbs এ, এটা সাধারণত From above downwards এভাবেই Progresses করে Rigor mortis। কিন্তু মনে রাখবি এটা কিন্তু কোনো Constant, symmetrical বা regular সিকুয়েন্স না। প্রত্যেকটা Individual limbs এ, এটা ঠিক যেই Order এ Appears করে আবার ঠিকন ঐ Order এই Disappeared হয়। Rigor mortis সবসময়েই শুরু হয়, বৃদ্ধি পায় এবং হ্রাস পায় ধীরে ধীরে।
আবার, Shapiro এর মতে–
Rigor mortis does not follow the anatomical sequence usually described. He suggests that as rigor mortis is a physicochemical process, it is most likely to develop simultaneously in all the muscles, although the changes are more easily first detected in the smaller masses than in the larger.
কিছু ক্ষেত্রে Proximo-distal progression এর থেকেও Bulk and kind of muscle involved এর মাধ্যমে যেই Sequence determined হয় সেটা বেশি গ্রহনযোগ্য। এর মাধ্যমেই ব্যাক্ষা করা যায় কিভাবে Shoulder or hip joints এর আগে Elbow or knee joints এর Fixation হয়, তবে কেন Small muscles of the fingers and toes এ সবশেষে Stiffen হয়, এর কোনো ব্যাক্ষা পাওয়া যায় নাহ।
এরই মধ্যে আমরা হোটেলে পৌঁছে গেলাম। দুপুর ২ টা বাজে প্রায়। খাওয়াদাওয়া শেষ করে ফেলুদা রুমে ফিরে আমাকে লালমোহন বাবুর রুমে কিছুক্ষণ কাটাতে বললেন। বুঝলাম সে কেসটা নিয়ে বেশ গভীর চিন্তায় মগ্ন। এখন লাইট বন্ধ করে নিজের রুমে বসে কিছুক্ষণ চিন্তা করবে। লালমোহন বাবুর রুমে গিয়ে দেখলাম, সে বেশ গভীর মনোযোগে বইয়ের প্রুফ দেখছে, কয়েকদিনের মধ্যেই পূজা উপলক্ষে তার নতুন বই বেরোবে- দুর্ধর্ষ দুশমন।
চলবে……………
Reference:
Reddy KSN, Murty OP. The Essentials of Forensic Medicine and Toxicology. 33th edition. New Delhi:Jaypee Brothers Medical Publishers (P) Ltd;2014. Chapter 7, Postmortem changes;p160-164.
Platform academic/Dhruba Jyoti Mondal
Abdul Malek Ukil Medical College,Noakhali.
Session: 2017-18
Pingback: ফেলুদার ‘Rigor Mortis’ কথন।(পর্ব-২) – Platform | CME