Blog

Trauma, A Physical or Emotional Wound or Injury

বিশ্ব ট্রমা দিবস,প্রতি বছর ১৭ই অক্টোবর দিনটি পালন করা হয় ।
📌 প্রথমেই জানব ট্রমা বলতে কি বোঝায়,
Trauma, শব্দটির উৎপত্তি মূলত একটি গ্রিক শব্দ “Wound” থেকে যার অর্থ ব্যথা, আঘাত বা ক্ষত।
✒️ Trauma means injury to living tissue caused by an extrinsic agent or a disordered psychic or behavioral state resulting from severe mental or emotional stress or physical injury which require immediate medical attention.

ট্রমা বলতে বোঝায়, শরীরে বা মনে সৃষ্ট কোন আঘাত। যেমন— পথ দুর্ঘটনা, আগুন লাগা, পুড়ে যাওয়া, হিংস্রতা, নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন।বাংলাদেশে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকের কারণে ট্রমার ঘটনা ঘটছে। আর প্রতিনিয়ত মানুষে মানুষে মারামারি (physical violence) এর কারণেও প্রতি বছর অনেক বেশি ট্রমার রোগী আহত বা নিহত হচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এবং পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ আহত হয়।এ থেকে প্রাণহানিও দিন দিন বাড়ছে। তাৎক্ষনিক চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ বা অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা সারাদেশে ট্রমা এবং ট্রমাজনিত কারণে প্রাণহানি প্রতিরোধে সরকার-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে এগিয়ে এসে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান।এরকম বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের চিকিৎসা ও সেবায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই দিবসটি পালন করা হয়।আহত মানুষের সেবা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চিকিৎসকদের কয়েকটি সংগঠন ও স্বেচ্চাসেবী বিভিন্ন সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিশ্ব ট্রমা দিবস পালন করছে।

📌 প্রথম কিভাবে এই ট্রমা দিবসের শুরু হয়েছিল,
✒️ ২০১১ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে বিশ্ব ট্রমা দিবস শুরু হয়েছিল। ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার ফলে প্রতিদিন ৪০০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়। এছাড়াও হত্যা, আত্মহত্যা এবং অন্যান্য সকল ট্রমার বর্তমান অবস্থা এবং ভয়াবহতা তুলে ধরতে এই বিশ্ব ট্রমা দিবসটি তাদের দেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর সংখ্যা হ্রাস করার উপায় হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।

বর্তমানে ট্রমা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা, বিশ্বব্যাপী আঘাতের কারণে মৃত্যুর তিনটি প্রধান কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যা এবং আত্মহত্যা। সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ট্রমার একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
ট্রমা মূলত শরীরের Head, neck, face, thorax, abdomen, pelvis, extremities, external এই অঙ্গগুলোর উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। যারা বিভিন্ন সহিংসতা, সড়ক দুর্ঘটনা, বা আঘাতের অন্যান্য কারণে বেঁচে থাকে তাদের মধ্যে অনেকে অস্থায়ী বা স্থায়ী প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে থাকে – বিশ্বব্যাপী যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেন তাদের প্রায় 16% ট্রমার বা আঘাতের কারণে হয়ে থাকে। বাড়িতে, রাস্তায়, খেলার মাঠে এবং কাজের বিভিন্ন জায়গায় আমরা ট্রমার সম্মুখীন হয়ে থাকি।

📌 এবার জানবো কিছু সাধারণ প্রকারভেদের মাধ্যমে কিভাবেTraumatic injuries গুলোকে উপস্থাপন করা যায়।

✒️ Some common type of traumatic injuries include, but are not limited to:

🔹Traumatic brain injury.
🔹Spinal cord injury.
🔹Spine fractures.
🔹Amputation – traumatic.
🔹Facial trauma.
🔹Acoustic trauma.
🔹Crush injury.
🔹Concussion.
🔹Broken bone.
🔹Jaw – Broken or dislocated.
🔹Skull fracture.
🔹Cuts and puncture wounds.
🔹Collapsed lung.
🔹Myocardial contusion.
🔹Burns.
🔹Electrical injury.
🔹Hypovolemic shock.
🔹Subarachnoid hemorrhage.
🔹Subdural hematoma.

📌 চলুন জানি কি কি কারনে এই ট্রমাগুলো হয়ে থাকে,
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তিনটি উল্লেখযোগ্য ট্রমার কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা, নৃশংসতা, হত্যা, আত্মহত্যা, নৌকা ডুবি, অগ্নিকাণ্ড, উঁচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে যাওয়া এছাড়াও আরো অন্যান্য কারণসমূহ।
চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো,‌ জাল বা বাতিল লাইসেন্স ব্যবহার, পথচারী এবং চালক উভয়ের অসচেতনতা সড়ক দুর্ঘটনায় মূল কারণ।
মূল্যবোধের অবক্ষয়, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত নৃশংসতা, মারামারি, ভাঙচুরসহ হত্যাকান্ড জনিত traumatic injuries সমূহ বেড়ে চলেছে।
এছাড়াও অতৃপ্তি মানসিক অশান্তি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন কলহের কারণে বর্তমানে আত্মহত্যা করার সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
লঞ্চ নৌকা ট্রলার ইত্যাদিতে মানিকদের অতিরিক্ত লোভ এবং যাত্রীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গন্তব্যে পৌঁছানোর অস্থির প্রবণতার কারণে অতিরিক্ত যাত্রী অথবা মাল বহনের ফলে দুর্ঘটনার খবর প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব এবং অসচেতনতার দরুন বিভিন্ন বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, কারখানায় আগুনে পুড়ে এবং নারী নির্যাতনের ফলে বর্তমানে অনেক অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও blast injury যার মূল কারণ জঙ্গিবাদ এবং যুদ্ধ, এই কারণেও বর্তমানে অনেক নিরীহ মানুষ মানুষ আহত এবং নিহত হচ্ছে। এবং বিভিন্ন জরিপে দেখা যায় অন্যান্য কারণসমূহ বিশ্লেষণ করে বর্তমানে বিভিন্ন রোগব্যাধি কিংবা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য কারণের তুলনায় ট্রমা জনিত কারণেই প্রতিনিয়ত অধিক মানুষ আহত এবং নিহত হচ্ছে।

📍ট্রমার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অন্যতম কারণ শিশু নির্যাতন এবং যৌন সহিংসতা, যার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিণতি রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এগুলি হতাশা, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ এবং অযাচিত গর্ভধারণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে এবং ধূমপান এবং অ্যালকোহল ও ড্রাগের ক্ষতিকারক ব্যবহারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ায়। এছাড়াও এই আচরণগুলি ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ডায়াবেটিস, যকৃতের রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে।

📌 Mechanism of injury ( MOI ) :

✒️ Mechanism of injury may be-
🔹blunt
🔹penetrating or
🔹even of a combined nature.

◾ Blunt trauma এর দুটি পদ্ধতি রয়েছে, একটি প্রত্যক্ষ এবং অপরটি পরোক্ষ। Blunt trauma মূলত সবথেকে কমন একটি mechanism।
প্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে ক্ষত মূলত আঘাতের স্থানেই হয়। অপরদিকে, পরোক্ষ পদ্ধতিতে ক্ষত কোন বল দ্বারা আঘাত প্রাপ্তির স্থান থেকে দূরবর্তী স্থানে হয়ে থাকে।
Blunt trauma সাধারণত সড়ক দুর্ঘটনা, মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা, উঁচু কোন জায়গা থেকে পড়ে গিয়ে, ভোঁতা কোন অস্ত্রের আঘাতের কারণে হয়ে থাকে।
◾ Penetrating mechanism দুটি পদ্ধতিতে হতে পারে, প্রথমত কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা দ্বিতীয়ত আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা।
কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা আহত হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে ধারালো অস্ত্রটির উচ্চতা, কতটুকু জায়গা জুড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্ষতস্থানের পরিসর কতটুকু।
Firearm injury বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা আহত হওয়ার সবথেকে কমন একটি উদাহরণ হল বন্দুকের গুলি দ্বারা আহত হওয়া। এক্ষেত্রে কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতের তুলনায় এই ক্ষত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা অধিক গুরুতর হয়ে থাকে। এছাড়াও বর্তমানে জঙ্গিবাদ এবং রাজনৈতিক অরাজকতার কারণে blast হয়ে থাকে যা অন্যতম একটি কারণ।

📌 Factors to assess mechanism of traumatic injury :

✒️ There are four factors to consider when assessing a mechanism of
injury.
🔹Work area factors.
🔹 Force and speed.
🔹Force and size.
🔹Direction of force.

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে যে MOI প্রত্যেকের জন্য এক নয়। একজন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, অল্প বয়স্ক এবং যুবক-যুবতীরা মূলত সড়ক দুর্ঘটনায় এবং বয়স্ক মানুষ শারীরিক দুর্বলতার কারণেই পড়ে বিভিন্নভাবে আহত হচ্ছে। তাই MOI assessment এর ক্ষেত্রে কিছু characteristics এর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হয়।

📌 Characteristics of patient that affect injury rates, contribute to injuries and delayed healing :
🔹Poor level of fitness / General de-conditioning.
🔹Overweight – high BMI.
🔹Advanced age.
🔹Pregnant.
🔹Blood thinners.
🔹Smoking.

প্রতিদিন 15,000 জনেরও বেশি জীবন কমে যায় বিভিন্ন ট্রমা জনিত কারণে আঘাতের কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হলো অন্য বা নিজের বিরুদ্ধে সহিংসতা, সড়ক দুর্ঘটনা, পোড়া, ডুবে যাওয়া, ফলস্রোতা এবং বিষক্রিয়া।
জমার কারণে একটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সম্প্রদায়ের উপর ও এর উল্লেখযোগ্য
প্রভাব পড়ে, এই পরিস্থিতি এবং ট্রাজেডি তাদের জীবন-জীবিকা সকল কিছুই প্রভাবিত হয়। ট্রমা জনিত কারণে মৃত্যুহার হ্রাস করা এবং কার্যকরী ফলাফলগুলি উন্নত করার লক্ষ্যে ডেমোগ্রাফিক বা ভৌগলিক অধ্যয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যা‌ ও ভূ-স্থান সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
📍বর্তমানে ট্রাজেডির একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা জনিত বিভিন্ন traumatic injuries সংক্রান্ত বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনার ফলে প্রতি বছর প্রায় 1.35 মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে 90% এরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আফ্রিকান অঞ্চলে সড়ক ট্র্যাফিকের জখমের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এমনকি উচ্চ-আয়ের দেশগুলির মধ্যেও, নিম্ন আর্থ-সামাজিক পটভূমির লোকেরা সড়ক ট্র্যাফিক ক্রাশে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
📍 বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে ৫-২৯ বছর বয়সী শিশু এবং অল্প বয়স্কদের জন্য মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা জনিত traumatic injuries।
📍পরিসংখ্যান অনুসারে নারীর তুলনায় পুরুষের সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার হার বেশি। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে অনূর্ধ্ব 25 বছরের যুবকেরা।
তবুও, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে কিছু ষ আঘাত বা ট্রমা প্রধানত মহিলাদেরকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে শিশু যৌন নির্যাতন বেশি দেখা যায়। আনুমানিক 20% মেয়েদের তাদের শৈশবকালের কোনও এক সময় যৌন নির্যাতন করা হয়, 5-10% ছেলের তুলনায়। একইভাবে, যৌন সহিংসতা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বিরুদ্ধে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের যৌতুক বা পারিবারিক কলহের কারণে আগুনে পুড়ে আহত হওয়ার হার বেশি, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে 15-19 বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই পার্থক্যটি দেখা যায়। 65 বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় পতনের আঘাতের হারও অনেক বেশি যা মূলত শারীরিক দুর্বলতা, অস্টিওপরোসিস ইত্যাদি কারণেই।

📍বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুসারে, গেল বছরে শুধু সড়ক দুর্ঘটনাই ঘটেছে ৪ হাজার ৭০২টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ জন। আহত ৬ হাজার ৯৫৩ জন। সবচেয়ে বেশি ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকায়। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে।২০১৯ সালে রেলপথে ১৬২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৯৮ জন, আহত ৩৪৭ জন। নৌপথে ৩০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬৪ জন এবং আহত হয়েছে ১৫৭ জন আর নিখোঁজ ১১০ জন। তবে আকাশপথে গত বছর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ২০১৯ সালে ৪৭০২ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৫২২৭ জনের।
এক্ষেত্রে যানবাহন—ভ্যান, রিকশা, নছিমন, অটোরিকশা এ জন্য দায়ী বলে প্রতীয়মান হয়। আইনকে অমান্য করে ধীরগতির বাহন মহাসড়কে এখনো চলাচল করে, যা দূরপাল্লার বড় গাড়িগুলোর চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশকে এই ব্যাপারে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যায় না।
সারাদেশে গত ১২ বছরে সাড়ে ৫১ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২২৬। আহত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৫০৬।

📍আহত এবং সহিংসতা বহু বছর ধরে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য এজেন্ডা থেকে অবহেলিত রয়েছে। সমস্যার তীব্রতা সত্ত্বেও, নীতি নির্ধারকগণ এবং বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অর্থায়নকারীদের মধ্যে আঘাত এবং সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের দিকে মনোযোগ আনুপাতিকভাবে কম রয়েছে।

📍আঘাত ও সহিংসতা হ্রাসে কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এবং কৌশলগুলি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
অনেক দেশ থেকে প্রাপ্ত প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে আহত ও সহিংসতা রোধে ব্যাপক সাফল্যের দৃষ্টান্ত রয়েছে যা আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে তবে সরকার এবং নাগরিক সমাজের সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য ও একান্ত কাম্য। বিশ্বজুড়ে এই প্রমাণিত পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত করতে এবং আহত ও সহিংসতার ফলে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি হ্রাস করতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

📍প্রতিনিয়ত এমন লক্ষ লক্ষ মানুষ আহত হয় যারা সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি, জরুরি বিভাগে জায়গা পাওয়া এবং অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধাগুলো পান না। ফলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেক আহত রোগীর শেষ পরিনতি হয় মৃত্যু। গবেষণা দেখায় যে সঠিক সময়ে পৌঁছানো, যা সাধারণত “Golden Hour” হিসাবে পরিচিত বা একটি বড় মাল্টি-সিস্টেমের ট্রমা সংঘটিত হওয়ার প্রথম 60 মিনিটের এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

📍ট্রমা সেবা এবং সুযোগ-সুবিধা সমূহ উন্নত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ, যদিও চূড়ান্ত লক্ষ্যটি হওয়া উচিত আঘাত এবং হিংস্রতা হওয়া রোধ করা। প্রথমত, ট্রমা থেকে উদ্ভূত অক্ষমতা এবং অসুস্থতা হ্রাস করার জন্য অনেক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। সহিংসতা এবং আহতদের ক্ষতিগ্রস্থদের মানসম্পন্ন সহায়তা এবং যত্ন, বিভিন্ন পরিষেবা সরবরাহের মাধ্যমে প্রাণহানি হার কমিয়ে আনা সম্ভব, যা পক্ষান্তরে স্বল্প-মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী প্রতিবন্ধিতার পরিমাণ হ্রাস করতে পারে এবং সহিংসতার প্রভাব মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্থদের বা তাদের পরিবারকে সাহায্য করা সম্ভব। কিছু স্বেচ্ছাসেবী এবং সরকারি বেসরকারি সংস্থা এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের কাজের স্বচ্ছতা এবং তৎপরতা আরো সক্রিয় করার মাধ্যমে ট্রমাজনিত ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব। এসকল সংস্থার উন্নতি, প্রাক-হাসপাতাল এবং হাসপাতাল-ভিত্তিক যত্ন সহ ট্রমা কেয়ার সিস্টেমের পরিকল্পনা এবং অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণ আঘাতের প্রভাব হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ মেক্সিকোতে প্রাক-হাসপাতাল সেবাদানকারী দলগুলি আরও দ্রুত কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে বড় শহরগুলির আশেপাশে অ্যাম্বুলেন্স স্টেশনগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে যা মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সফল ভূমিকা রেখেছে।
ট্রমা রোগীদের মধ্যে মৃত্যুহার হ্রাস করতে সফল ভূমিকা রেখেছে। থাইল্যান্ডে দুর্ঘটনার সময় তাৎক্ষণিক এবং পরবর্তী সেবাদান পদ্ধতি উন্নত করার জন্য ট্রমা সেবাদানের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ব্যবস্থা করা হয় যা সফলভাবে traumatic injuries হ্রাস করতে সফল হয়েছে।

📌 Traumatic injuries প্রতিরোধে করণীয় কি কি ,
🔹সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সকলকে সিট বেল্ট অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
🔹 মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে মোটরযানে হেলমেট পরিধান করার বিকল্প নেই, অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশকে এই বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
🔹 যানবাহন চালানোর সময়, রাস্তায় চলাচলের সময়, রাস্তা পারাপারের সময় বাহিরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
🔹 বিভিন্ন কলকারখানা, নির্মাণাধীন ভবন এবং অন্যান্য যেকোনো বিপজ্জনক কাজে শ্রমিক বা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সচেতনতা মেনে চলতে হবে।
🔹 শিশুদের হাতের নাগালের মধ্যে কোন ধারালো ছুরি, কাঁচি, কাচের সামগ্রী বিভিন্ন বিষাক্ত দ্রব্য রাখা যাবে না।
🔹বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক তার সকেট ইত্যাদি থেকে শিশু এবং বয়স্কদের হাতের কাছে রাখা যাবে না।
🔹 ভিজা হাতে কোন বৈদ্যুতিক সংযোগের সংস্পর্শে আসা যাবেনা।
🔹 সিঁড়িতে, ছাদে, অবশ্যই রেলিং ব্যবহার করতে হবে।
🔹 সিঁড়ি উঁচু কোনো আইনের থেকে যেন শিশু বা বৃদ্ধ করে ব্যথা না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
🔹 পানিতে ডুবে গেলে অথবা উঁচু কোন জায়গা থেকে পড়ে গেলে অবশ্যই সাহায্যের জন্য কোন শক্ত বস্তুর উপর নির্ভর করে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।
🔹 রান্নার চুলার আগুন থেকে সাবধান থাকতে হবে, শিশুদের দূরে রাখতে হবে, রান্নাঘরে কোন দাহ্য বস্তু ও রাখা যাবে না।
🔹 ধূমপান, মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
🔹 কোন বিশৃংখল পরিস্থিতি মারামারি কিংবা বন্দুকযুদ্ধ হওয়ার সময় অবশ্যই যতো দ্রুত সম্ভব নিরাপদ অবস্থানে যেতে হবে।
🔹 সঠিক সময়ে আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

♦️ Reference :

WILLIAMS NS, BULSTRODE CJK, O’CONNELL PR.Bailey & Love’s, SHORT PRACTICE OF SURGERY. 26th edition. New York: CRC Press,Taylor and Francis Group; 2013.Chapter – 23,Trauma; p: 289-301.

Platform Academic Division/
Ohia Farzin Raha,
CARe Medical College,
session : 2019-20.

Leave a Reply