Blog

ঠাকুমার ঝুলিতে প্লেগের হানা

🎶ঠাকুমার ঝুলি এইবার খুলবে,
শোনো শোনো ঠাকুমা গল্প বলবে,
ঠাকুমা ঝুলি খুলবে,
মজার গল্প বলবে,
ঠাকুমা ঝুলি খুলবে….. 🎶

অনেক অনেক দিন আগের কথা। অচিনপুর নামে এক রাজ্য ছিল। সে রাজ্যের রাজা, বীরবাহাদুর, ছিলেন খুব দয়ালু আর ন্যায়পরায়ণ। রাজ্যের প্রজারা খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করতো। সে রাজ্যে বাস করতো বিজয় নামে এক ছেলে। ছোট বয়সেই মা-বাবা কে হারিয়ে সে থাকতো তার দাদুর সাথে। দিনের বেলায় গভীর জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে সে আর তার দাদু মিলে শুকনো কাঠ কুড়াতো। পরে তা বাজারে বিক্রি করে যে দু-চার পয়সা রোজগার হতো, তা দিয়েই কোনোমতে খেয়ে পড়ে দিন চলতো তাদের। একদিন সকালে-

দাদু:- দাদুভাই, ও দাদুভাই; বেলা হয়ে এল যে। আর কত ঘুমাবি। সকাল সকাল না গেলে যে বেশি কাঠ পাবো না।

বিজয়:- দাদু, আর একটু ঘুমাতে দাও না।

দাদু:- তাহলে তুই ঘুমিয়েই থাক, আমি একাই চললাম। খাবার বেড়ে রেখেছি, হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে নিস।

বিজয়:- আচ্ছা দাদু।

বিকেল বেলা দাদু বাড়ি ফিরলেন। বাড়ি ফিরেই দাদু শুয়ে পড়লেন। বিজয় সাথে না যাওয়াতে একা একা তার বড্ড বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে আজ।

বিজয়:- আজ তোমার খুব বেশি কষ্ট হয়ে গেল, তাই না দাদু? আমি আর কখনও সকালে ঘুমিয়ে থাকবো না। তুমি এখন হাত-মুখ ধুয়ে চটজলদি খাবার খেয়ে নাও তো। দেখবে শরীরে বল পাবে।

দাদু:- আমার তেমন কিছু হয়নি দাদুভাই। বয়স হয়েছে তো, শরীর এখন আর চলতে চায় না।

বিজয়:- হ্যাঁ, তা তো বটেই।

দাদু:- আজ বড্ড আজব জিনিস দেখলাম দাদুভাই। জঙ্গলে জায়গায় জায়গায় অনেক ইঁদুর আর কাঠবেড়ালী মরে পড়ে ছিল। আর এত পোকা ছিল যে আমার গায়ে কামড়ে কামড়ে লাল করে ফেলেছে।

বিজয়:- তাই নাকি! কই দেখি দেখি! ইস! সারা শরীরেই তো দেখি কামড়ের দাগ! আমি বুনোলতা বেঁটে লাগিয়ে দিচ্ছি, ভাল হয়ে যাবে দেখবে।

এভাবেই চলছিল বিজয় আর তার বুড়ো দাদুর জীবন। কিন্তু তিন-চার দিন পর হঠাৎ বিজয়ের দাদু অসুস্থ হয়ে পড়লেন। প্রচন্ড জ্বর সাথে সারা শরীরে ও মাথায় ব্যাথা। একদিন পর শরীরে জায়গায় জায়গায় চাকার মত ফুলে উঠলো সাথে ব্যাথাটাও বাড়ল। হঠাৎ তার দাদুর হাত পায়ের আঙুলগুলো কেমন যেন কালচে হতে লাগলো। বদ্যি যে দেখাবে তার দাদুকে, সে পয়সাটুকু নেই তার কাছে। তবুও বিজয় তার দাদুর যথাসাধ্য সেবা করলো। কিন্তু দাদুর শরীরের কোনো উন্নতি নেই।
বিধির নিয়তি বড়ই কঠিন, বিজয়ের একমাত্র সম্বল দাদু তাকে ছেড়ে চলে গেলেন পরপারে। দাদুকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়লো বিজয়। মনের দুঃখে সে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে লাগল বেশ কয়েকদিন। একদিন, গহীন জঙ্গলে সে হারিয়ে গেল। পথ খুঁজতে খুঁজতে একটি ছোট জলাধারের কাছে এসে উপস্থিত হল। জলাধারের পাশেই একটি ছোট্ট কুটিরের মত দেখা যায়। সে চিন্তা করলো এই গহীন জঙ্গলে কে এই কুটিরে বসবাস করে! ভিতরে গিয়ে দেখা যাক। সে দেখলো কুটিরের ভিতরে এক সাধুবাবা ধ্যানে মগ্ন আছেন। হঠাৎ সাধুবাবা চোখ খুললেন এবং জিজ্ঞেস করলেন-

সাধুবাবা:- কে তুমি বৎস!

বিজয়:- বাবা, আমি এক অসহায় মানুষ। ছোট থাকতে মা-বাবা কে হারিয়েছি, কয়েকদিন আগে শেষ আশ্রয় দাদুও চলে গেলেন আমাকে ছেড়ে। আমি অনাথ তাই জঙ্গলে ঘুরে বেড়াই মনের দুঃখে।

সাধুবাবা:- তোমার দুঃখ আমি বুঝতে পারছি বাছা। তবে তোমার দুঃখ বেশি দিন রবে না। এই নাও একটা জাদুর তলোয়ার।

বিজয়:- এটা দিয়ে কি হবে বাবা!

সাধুবাবা:- এই তলোয়ারের সামনে কোনো দুষ্ট শয়তান, রাক্ষস টিকতে পারবে না। তুমি এটা নিয়ে তোমার রাজ্যে ফিরে যাও। তোমার রাজ্য এখন বড় সংকটে আছে। যাও, এটা নিয়ে যাও আর তোমার রাজ্যকে সংকটমুক্ত করো।

বিজয়:- ধন্যবাদ সাধুবাবা।

বিজয়, সাধুবাবার দেওয়া জাদুর তলোয়ার নিয়ে তার রাজ্যের দিকে রওনা দেয়।
এদিকে বিজয়ের দাদু মারা যাওয়ার পরই অচিনপুরে এক মড়ক দেখা দেয়। তার দাদুর মত আরও অনেক কাঠুরিয়া একইরকম লক্ষণ নিয়ে মারা যায়। ধীরে ধীরে পুরো অচিনপুর রাজ্যেই এরকম মানুষ মারা যেতে শুরু করলে দলে দলে প্রজারা রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া শুরু করলো। রাজা বীরবাহাদুর খুব দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিনি রাজবদ্যিকে তার দরবারে ডেকে পাঠালেন-

রাজবদ্যি:- মহারাজ আমায় ডেকে পাঠিয়েছেন?

রাজা:- হ্যাঁ, রাজবদ্যি। রাজ্যে এক মড়ক দেখা দিয়েছে, প্রজারা প্রাণভয়ে রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছে।

রাজবদ্যি:- হ্যাঁ, মহারাজ।

রাজা:- তুমি তো রাজবদ্যি! নিশ্চয়ই তোমার এ রোগ সম্পর্কে জানা থাকার কথা।

রাজবদ্যি:- জ্বি মহারাজ। রোগের লক্ষণগুলো-

High fever
◾Malaise, chills, headache
◾Regional lymph node swelling
◾Gangrene of toes, fingers
◾Extreme exhaustion

দেখে মনে হচ্ছে প্রজাদের Bubonic Plague রোগ হয়েছে।

রাজা:- Bubonic Plague! এ আবার কেমন অদ্ভুত রোগ রাজবদ্যি? এই রোগ আসলো কিভাবে প্রজাদের মাঝে!

রাজবদ্যি:- মহারাজ, Yersinia pestis নামক এক ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগটি হয়। এই ব্যাকটেরিয়াটি সাধারণত ইঁদুর জাতীয় প্রাণী (Rodents) তে Low rate এ circulate হয়। মানুষ যখন এই আক্রান্ত প্রাণীগুলোর সংস্পর্শে আসে তখন ব্যাকটেরিয়াটি মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় Rodents এর পরজীবি, Rat fleas এর মাধ্যমে এটা ছড়ায়। Rat flea গুলো ব্যাকটেরিয়ার Reservoir হিসেবে কাজ করে। Rat fleas সাধারণত Rodents এর সাথেই থাকে। যখন Rodent গুলো মারা যায় তখন এই Hungry Rat flea গুলো রক্তের অন্য Source খুঁজতে থাকে এবং যখন মানুষের দেহে কামড় দেয়, তখন এই ব্যাকটেরিয়া Rat fleas থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করে রোগটির সংক্রমণ ঘটায়। শরীরে প্রবেশের 2-3 দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই 2-3 দিন হচ্ছে রোগটির Incubation period, এটা সর্বোচ্চ 6 দিন পর্যন্ত হতে পারে।

Pathogenesis

রাজা:- কি সাংঘাতিক ব্যাপার!

রাজবদ্যি:- জ্বী মহারাজ। এই ব্যাকটেরিয়া যখন মানুষের দেহে প্রবেশ করে, তখন Lymphatic system এর মাধ্যমে নিকটবর্তী Lymph node এ গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং দ্রুত Replicate করে। ফলে Lymph node টি ফুলে যায় যাকে “Buboes” বলে এবং এর থেকে ই নাম হয়েছে “Bubonic Plague”। আমার মনে হচ্ছে কাঠুরিয়ারা যখন জঙ্গলে কাঠ আনতে গিয়েছে, তখনই তাদের মধ্যে রোগটি সংক্রমিত হয়েছে।

রাজা:- তাই নাকি!

রাজবদ্যি:- জ্বী মহারাজ। আমাদের খুব দ্রুত এই Bubonic plague দমনের চেষ্টা করতে হবে। কারণ দ্রুত চিকিৎসা করতে না পারলে ব্যাকটেরিয়া মানুষের Lungs এ পৌঁছে Pneumonic plague আর রক্তে মিশে Septicemic plague এ পরিণত হতে পারে। আর Pneumonic plague হলে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিবে মহারাজ। কারণ তখন কফ-কাশির মাধ্যমে, অর্থাৎ Droplet infection এর মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে সরাসরি সংক্রমণ শুরু হবে।

রাজা:- সর্বনাশ রাজবদ্যি! এর কি কোনো চিকিৎসা নেই?

রাজবদ্যি:- চিকিৎসা একটা আছে মহারাজ। তবে তা খুবই কঠিন। সাত সাগর আর তেরো নদী পার হয়ে পরীদের দেশ। সেখানে রয়েছে একটি ঔষধি গাছ। যে গাছে এই ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য প্রয়োজনীয় Antibiotics; Gentamicin, Streptomycin, Ciprofloxacin, Doxycycline পাওয়া যায়। এ গাছটিকে পাহারা দিচ্ছে এক দুষ্ট রাক্ষস। এ রাক্ষসকে মারতে পারলে তবেই এই ঔষধি গাছের নাগাল পাওয়া যাবে।

রাজা:- সে যতই কঠিন হোক না কেন রাজবদ্যি, নিশ্চয়ই আমার রাজ্যে এমন বীরপুরুষ আছে, যে কি না ঐ দুষ্ট রাক্ষসকে বধ করে নিয়ে আসতে পারবে সেই মহামূল্যবান ঔষধ। মন্ত্রী! এখনই রাজ্যে ঘোষণা করে দাও, যে ঐ মহামূল্যবান ঔষধ নিয়ে আসতে পারবে তাকে অর্ধেক রাজত্ব আর আর আমার রাজকন্যার সাথে বিয়ে দেওয়া হবে।

মন্ত্রী:- যথাআজ্ঞা মহারাজ!

এদিকে বিজয়, সাধুবাবার কাছ থেকে পাওয়া জাদুর তলোয়ার নিয়ে জঙ্গল থেকে ফিরে মাত্র রাজ্যে প্রবেশ করেছে। রাজ্যে প্রবেশ করেই সে শুনতে পেল রাজ্যে ঢেঁড়া পেটানো হচ্ছে –

” শোনো, শোনো, শোনো,
শোনো দিয়ে মন।
প্লেগের কারণে অতিষ্ঠ আজ,
অচিনপুরের জনগণ।
সাত সাগর আর তেরো নদী,
দিতে হবে পাড়ি,
রাক্ষস বধ করে ঔষধ,
আনতে হবে বাড়ি।
যদি কোনো বীরপুরুষ
করতে পারো তবে,
অর্ধেক রাজত্ব আর রাজকন্যা পাবে….”

এ ঘোষণা শুনে বিজয় এক মুহূর্ত দেরী না করে সরাসরি রাজদরবারে চলে গেল। রাজা ও রাজবদ্যির সাথে কথা বলে সে পরীদের দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হল।
যেতে যেতে হঠাৎ সে এক জায়গায় দেখল খুব সুন্দর একটা পাখি শিকারীর জালে ধরা পড়ে ছটফট করছে। তার খুব মায়া হলো দেখে। সে পাখিটিকে জাল থেকে মুক্ত করার সাথে সাথেই সেটি সুন্দরী একটা পরীর রূপ ধারণ করলো-

বিজয়:- একি কান্ড! কে তুমি?

পরী:- আমি ফুলপরী। পাখির ছদ্মবেশে পৃথিবীতে ঘুরতে এসেছিলাম। হঠাৎ এক শিকারীর জালে আটকে পড়ি। তুমি আমায় মুক্ত করে অনেক বড় উপকার করলে। তোমাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি বলো?

বিজয়:- আমি পরীদের দেশে যাচ্ছি Plague এর ঔষধ, Antibiotics আনতে। তুমি কি আমাকে সেখানে পৌঁছে দিতে পারবে?

পরী:- নিশ্চয়ই। তুমি আমার ডানায় উঠে বসো, আমি তোমাকে সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।

ফুলপরী, বিজয়কে পরীদের দেশে উড়ে নিয়ে আসলো। বিজয় সেখানে ঔষধি গাছটিকে পাহারা দেওয়া রাক্ষসকে জাদুর তলোয়ার এর সাহায্যে মেরে Antibiotics সাথে করে নিয়ে রাজদরবারে হাজির হল। Antibiotics দিয়ে রাজবদ্যি আক্রান্ত প্রজাদের চিকিৎসা শুরু করলো।
রাজা:- রাজবদ্যি, Antibiotics খেয়ে তো প্রজারা মোটামুটি সেড়ে উঠছে রোগ থেকে, কিন্তু অনেকে তো দেখি আবার মারা যাচ্ছে।

রাজবদ্যি:- মহারাজ, রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ রোগের চিকিৎসা শুরু করতে না পারলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। যারা মারা যাচ্ছে তাদের সবাই দেরী করে চিকিৎসা নিতে এসেছিল।

রাজা:- খুব চিন্তার বিষয়। আচ্ছা, এ রোগ যাতে ভবিষ্যতে আর ছড়াতে না পারে এর কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না?

রাজবদ্যি:- জ্বী মহারাজ। এর Prevention জন্য আমাদের যা করতে হবে সেগুলো হচ্ছে-

◾রোগ দ্রুত শনাক্ত করতে হবে(Early diagnosis)।
◾আক্রান্ত রোগীকে আলাদা রাখতে হবে(Isolation)।
◾কোথাও রোগ দেখা দেওয়া মাত্র জানাতে হবে(Notification)।
◾দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে (Treatment)।
◾ইঁদুর জাতীয় প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে(Control of Rodents)।
◾পরজীবী পোকামাকড় দমন করতে হবে (Control of fleas)।

এ কাজগুলো করলে আশা করা যায় এ রোগ আর ছড়াবে না।

রাজা:- তাহলে এখন থেকেই এগুলোর ব্যবস্থা করা হোক।

এরপর, অচিনপুর রাজ্য থেকে প্লেগ রোগ বিদায় হল, প্রজারাও রাজ্যে ফিরে এল। মহারাজ বীরবাহাদুর তার কথা রাখলেন, বিজয়কে অর্ধেক রাজত্ব আর রাজকন্যার সাথে বিয়ে দিলেন। তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।

“আমার কথাটি ফুরোলো,
নটে গাছটি মুড়োলো….”

References:

[1]. Morelli G, Song Y, Mazzoni CJ, Eppinger M, Roumagnac P, Wagner DM, Feldkamp M, Kusecek B, Vogler AJ, Li Y, Cui Y, Thomson NR, Jombart T, Leblois R, Lichtner P, Rahalison L, Petersen JM, Balloux F, Keim P, Wirth T, Ravel J, Yang R, Carniel E, Achtman M. 2010. Yersinia pestis genome sequencing identifies patterns of global phylogenetic diversity. Nat Genet 42:1140–1143. doi:10.1038/ng.705

[2]. Anisimov AP, Amoako KK. 2006. Treatment of plague: promising alternatives to antibiotics. J Med Microbiol 55:1461–1475. doi:10.1099/jmm.0.46697-0

[3]. Gage KL, Dennis DT, Orloski KA, Ettestad P, Brown TL, Reynolds PJ, Pape WJ, Fritz CL, Carter LG, Stein JD. 2000. Cases of cat-associated human plague in the Western US, 1977–1998. Clin Infect Dis 30:893–900. doi:10.1086/313804

[4]. Wong D, Wild MA, Walburger MA, Higgins CL, Callahan M, Czarecki LA, Lawaczeck EW, Levy CE, Patterson JG, Sunenshine R, Adem P, Paddock CD, Zaki SR, Petersen JM, Schriefer ME, Eisen RJ, Gage KL, Griffith KS, Weber IB, Spraker TR, Mead PS. 2009. Primary pneumonic plague contracted from a mountain lion carcass. Clin Infect Dis 49:e33–38. doi:10.1086/600818

[5].https://www.cdc.gov/plague/resources/Recommended-antibiotics-for-plague_revision-Aug-2015_Final-(00000002).pdf

Platform Academic Division /
Sk.Md Shofikul Islam Palash
Colonel Malek Medical College
2017-18

One thought on “ঠাকুমার ঝুলিতে প্লেগের হানা

Leave a Reply