শীতের সকালের খেজুরের রসের সাথে মজাদার ভাপা পিঠে দিয়ে নাস্তার কাজ শেষ করে আবারো রিয়া মিতা দুই বোন Herpes virus family নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিল। এই ভাইরাসের পরিবার বর্গ নিয়ে জানার জন্য মিতা তাড়াহুড়া করে খাওয়া শেষ করল। মিতার জানার প্রতি এত কৌতূহল দেখে রিয়া খুব আগ্রহ নিয়ে মিতাকে ভাইরাসের কিচ্ছা-কাহিনি বর্ণনা করা শুরু করল।
রিয়াঃ Herpes virus family এর সদস্য সংখ্যা হল ৮। নাস্তা শুরুর আগে আমরা Human herpes virus 1 এবং Human herpes virus 2 সম্পর্কে আলোচনা করেছি, এখন তোকে বাকী ৬টির সম্পর্কে ধারণা দিব।
শুরু করি Human herpes virus 3 অর্থাৎ Varicella zoster virus দিয়ে।
এই ভাইরাসটি দ্বারা সংঘটিত রোগের নামের সাথে এর নামের মিল রয়েছে। যেমনঃ Primary infection এর কারণে যে রোগ সৃষ্টি হয় সেটা হল Varicella অথবা Chicken pox। বাংলায় যেটাকে জলবসন্ত বলে।
পুনরায় Infection হলে অর্থাৎ Reinfection হলে যে রোগ হয় তা হল Zoster অথবা Shingles।
মিতাঃ তাহলে তো রোগের নাম মনে রাখতে তোমার সুবিধা হয়।
আচ্ছা, এই ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?
রিয়াঃ শুধুমাত্র মানুষই এই ভাইরাসের Natural host।
✴️ Mode of transmission:
🔸 By respiratory droplet
🔸 By direct contact with lesion
🔸 By vertical transmission (জন্মের আগে ও পরে মা থেকে জীবাণু বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করা )
Immuno-compromised যারা আছে, তারা ভাইরাসটি দ্বারা খুব দ্রুত সংক্রামিত হতে পারে।
✴️ এখন Pathogenesis বলি শোনঃ
Varicella zooster virus সাধারণত respiratory droplet এর মাধ্যমে transmitted হয়। এটি প্রথমত newly infected person এর Respiratory epithelial cell কে আক্রমণ করে এবং এর পার্শ্ববর্তী local lymphatic tissue তে spread করে। এখানে Replication করার পর এই ভাইরাস blood stream এ প্রবেশ করে যাকে Primary viremia বলে। পরবর্তীতে এরা Blood থেকে Liver, spleen অর্থাৎ reticuloendothelial system এ ছড়িয়ে পড়ে। শরীরে প্রবেশের পর প্রায় ২ সপ্তাহ পর ভাইরাস Immune cell কে বিশেষত RE system এর T cell কে infect করে ব্লাডের মাধ্যমে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। একে বলে Secondary viremia। মানব শরীরের Skin এ T cell এর surface যে protein আছে তার জন্য কিছু Receptor রয়েছে। ফলে T cell এর মধ্যে যে ভাইরাস আছে তা surface protein এর সাহায্যে অতি সহজেই skin এর সাথে লেগে যেতে পারে। Skin এ পৌঁছানোর পর Infected T cell ভাইরাস release করে এবং তা keratinocytes ( skin এর cell) কে infect করে। আস্তে আস্তে Infection cell থেকে cell এ ছড়িয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে এই Infected keratinocytes একসাথে fuse হয়ে multinucleated giant cell তৈরি করে যার নাম Tzanck cell। যেসব Uninfected cell আছে তারা INF- alpha, INF- beta secret করে যা viral protein synthesis কে inhibit করে যাতে অন্যান্য cell Infected হতে না পারে। এর ফলশ্রুতিতে মানুষের শরীরে ছড়ানো ছিটানো tiny skin lesion দেখা যায়। এই Primary infection কে Chicken pox বলে। তাছাড়া এই ভাইরাস Skin এর sensory neurons কে ও Infect করে retrogradely axonal flow এর মাধ্যমে Dorsal root ganglion এবং Trigeminal ganglion তে যায়।
মানুষের শরীরের Adaptive immunity response করলে সময়ের সাথে সাথে বেশ কিছু ভাইরাস শরীর থেকে বের হয়ে যায় কিন্তু যারা Ganglion এ থাকে তারা মানব শরীর ছাড়ে না বরং ঐখানেই অনেক বছর পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। মূলত তারা Dorsal root ganglion আর Trigeminal ganglion এ নিজের latent stage establish করে। পরবর্তীতে যদি কারো Immune system weak হয় যেমনঃ বার্ধক্যজনিত কারণে অথবা Immunosuppressive therapy নেওয়ার ফলে, তখন এই ভাইরাস Reactivated হতে পারে এবং Sensory ganglion থেকে anterograde axonal flow এর মাধ্যমে Periphery তে চলে আসে ও Skin কে Infect করে Rash তৈরি করে যাকে Zoster বা Shingles বলে।
মিতাঃ বাবারে! কত কাহিনী করে এই ভাইরাসগুলো মানুষের শরীরে রোগ সৃষ্টির জন্য। আচ্ছা আপু Chicken pox বা Varicella ও Shingles যে হয়েছে তা বুঝার উপায় কী? কোন Sign symptoms তো আছে নিশ্চই।
রিয়াঃ হ্যাঁ আছে। বলছি শোন-
✴️ Signs symptoms of Varicella or Chicken pox:
ভাইরাস দ্বারা Infected হওয়ার প্রায় ২ সপ্তাহ পর অর্থাৎ Incubation period শেষ হলে এরা Chicken pox এর Symptoms দেখানো শুরু করে।
✴️ Infection এর কারণে শুরুতে যেসব Symptoms দেখা যায় তা হলঃ
🔸 Fever
🔸 Headache
🔸 Malaise
পরবর্তী এক দুই দিন পর Rash দেখা দিতে শুরু করে এবং তা প্রায় ৫ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত থাকে।
এই Rash প্রথমে Trunk এ এবং পরবর্তীতে head ও Extremity তে ছড়িয়ে যায়। Rash টি ক্রমান্বয়ে তিনটি Phase অতিক্রম করে।
▪ Papules:
Raised pink or red, itchy spot. ( অর্থাৎ Papules দেখতে গোলাপি বা লাল রঙের ফুসকুড়ির মতো হয়। )
▪ Vesicles:
Small fluid filled blister. ( পানি ভর্তি ছোট ছোট গুটি বা ফোঁড়ার মতো দেখতে)
▪ Crusts and scabs:
এক থেকে দুই দিনের মধ্যে blister বা গুটিগুলো ফেটে যায় এবং পরে তা শুকিয়ে যায়। অর্থাৎ Broken blisters কে Crust cover করে রাখে এবং পরে Scab form করে।
এর কিছু Complication আছে।
✴️ Complication:
🔸 Pneumonia
🔸 Encephalitis:
Brain এর Inflammation কে encephalitis বলে।
🔸 Reyes syndrome:
এই Syndrome এর কারণে Brain ও Liver swollen হয়ে যায়। Viral infection এর recovery এর পর এটি দেখা দেয়। বিশেষত সেসব বাচ্চাদের বেশী হয় যাদের জ্বর এবং ব্যথার জন্য Aspirin দেওয়া হয়ে থাকে
🔸 Bell’s pulsy:
Face এর muscle এর weakness বা paralysis হয়ে যায়। এটি তখন হয় যখন Facial muscle কে যে nerve supply দেয় সেটি Inflamed, swollen or compressed হলে।
🔶 Shingles:
সুপ্ত ভাইরাসের Reactivation হলে Shingles দেখা দেয়।
✴️ Sign Symptoms:
🔸 Pain, burning, numbness or tingling
Affected nerve যে location এ supply দেয় Pain ও ঠিক সেই location এ হয়। কেননা প্রতিটি Spinal nerve আমাদের শরীরের একটি নির্দিষ্ট area তে supply দেয়, যাকে আমরা Dermatome বলি। Pain এর Pattern ও Dermatome distribution follow করে। Cranial nerve affect এর কারণে face pain ও হয়। যেহেতু Nerve জোড়ায় জোড়ায় থাকে সেহেতু যদি একটি Nerve affected হয় Pain ও সাধারণত শরীরের এক পাশ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। Pain এর location এর উপর depend করে অনেকসময় ভুলবশত Pain এর কারণ Kidney, heart এবং Lung এ সমস্যা বলে মনে করে থাকেন।
🔸 Sensitivity to touch
🔸 A red rash develops a few days after pain
fluid filled blister that break open and crust over.
🔸 Itching
Less common symptoms:
🔸 Fever
🔸 Fatigue
🔸 Headache
🔸Sensitivity to light
✴️ Complication:
🔸 Postherpetic neuralgia:
Rash heal হয়ে যাওয়ার পরও কিছু মানুষের ক্ষেত্রে Pain থেকে যায়। এই condition কে Post- herpetic neuralgia বলে।
🔸 Vision loss:
চোখের চারপাশে Shingles দেখা দিলে Painful eye infection হয়ে vision loss ও হতে পারে।
🔸 Neurological problems:
Shingles এর কারণে brain এ Inflammation হতে পারে যাকে Encephalitis বলে। Facial paralysis এবং Hearing or balance problem ও হতে পারে।
🔸 Skin infection:
Shingles blister এর যদি সঠিক চিকিৎসা না হয় তবে তা হতে Bacterial skin infection develop করতে পারে।
মিতাঃ তাহলে আপু, Diagnosis কেমনে করা যায়?
রিয়াঃ
✴️ Diagnosis:
🔸Diagnosis প্রধানত Skin lesion এর উপর ভিত্তি করে করা হয়।
তাছাড়া আরো কিছু Test করে নিশ্চিত হওয়া যায়। তন্মধ্যে Tzanck test হল confirmatory test।
🔸 Tzanck test:
এই test এ Infected person এর vesicles এর fluid এ multinucleated giant cell পাওয়া যায়।
🔸 Blood test:
varicella zooster virus এর antibody detect করা হয়।
🔸 Polymerase chain reaction ( PCR) :
Viral DNA detect করার জন্য PCR করা হয়।
এখন তোকে এর Treatment বলি
✴️ Treatment:
🔸 Immunocompetent children যাদের Chicken pox আর zoster আছে তাদের কোন Antiviral therapy এর প্রয়োজন পড়ে না, কিন্তু Immunocompetent adult যাদের Chicken pox ও Shingles moderate বা severe পর্যায়ে আছে তাদের প্রায় Acyclovir দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ফলে Symptoms এর Severity এবং duration কমে।
🔸 Immunocompromised adult এবং Children এর ক্ষেত্রেও Acyclovir দিয়ে treat করা হয়।
🔸 Varicella zooster virus এর Acyclovir resistance strain দ্বারা affected হলে এর treatment হিসেবে Foscarnet দেওয়া হয়।
🔸 Acyclovir এর মতোই Famciclovir এবং Velacyclovir এই দুটো drug Zoster patient এর lesion heal করতে সহায়তা করে কিন্তু এর কোনটাই Latent state কে Cure করতে পারে না।
এই Drugs Post herpetic neuralgia এর Incidence কমাতেও সহায়তা করে।
মিতাঃ সব তো বলেছ, এখন এর কী প্রতিরোধ সম্ভব নয়?
রিয়াঃ হ্যাঁ, অবশ্যই সম্ভব।
✴️ Prevention:
🔸 Varicella zooster virus এর জন্য ২টা vaccine রয়েছে। Varicella প্রতিরোধ এর জন্য Varivex এবং Zooster প্রতিরোধ এর জন্য Zostavex vaccine আছে।
Varicella vaccine ১ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে আর Zooster vaccine ৬০ বছরের উরদ্ধে মানুষের ক্ষেত্রে এবং যাদের Varicella ছিল তাদের জন্য প্রযোজ্য। Varicella vaccine ২ ডোজে ও zooster vaccine ১ ডোজে দেয়া হয়। Zoster vaccine zoster এর symptoms prevent করতে পারে কিন্তু VZV এর latent state কে ধ্বংস করতে পারে না।
🔸 Acyclovir ভাইরাসের সংস্পর্শে থাকা Immunocompromised মানুষের Varicella এবং Disseminated zoster প্রতিরোধ করে থাকে।
🔸 Prophylaxis হিসেবে Varicella zoster immunoglobulin ( VZIG) ব্যবহার করা যায়, যা ভাইরাসের প্রতি high titre এর antibody বহন করে।
এই হল Chicken pox আর Shingles এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আজকে এতটুকুই থাক। Herpes virus family এর অন্যান্য ভাইরাস নিয়ে কালকে আলোচনা করব। একদিন একটা করে ভাইরাস সম্পর্কে জানব তা না হলে কিছুই বুঝবি না।
মিতাঃ হ্যাঁ রে আপু , আজকে আর না।ভাইরাসগুলো সম্পর্কে জানতে ভালই লাগে। কালকে আমরা আবার বসব।
Reference :
Levinson, W. ( 2016). Review of Medical Microbiology and Immunology. 14th edition. California: McGraw- Hill. Page: 293- 295
Platform Academic Division /
Saima Akther
Medical College for Women & Hospital
Session: ( 2016- 17)