একদিন একজন পেডিয়াট্রিক ডাক্তারের চেম্বারে এক বাচ্চার মা আসলেন। উনার Complain ছিলো – বাচ্চা ঘুম থেকে উঠতে চাচ্ছে না, শুধু ঘুমাচ্ছে।
ডাক্তার দেখে বললেন, নিউমোনিয়া মনে হচ্ছে। এন্টিবায়োটিক ( Cefradine ) দেয়া হল। কিছু টেস্ট(CBC, CRP, Blood Culture) করতে দিয়ে তিন দিন পর দেখা করতে বলা হল।
কিন্তু এন্টিবায়োটিক শুরু করার পরও বাচ্চার সমস্যা রয়েই গেলো। সারাদিন শুধু ঘুমিয়ে থাকে। সাথে বাচ্চার জ্বর ( ১০১ ডিগ্রী ফারেনহাইট ) এবং কাশি।
কিন্তু কোনো উন্নতি নেই দেখে একদিন পরই যেসব রিপোর্ট রেডি হয়েছে সেগুলো নিয়েই মা ডাক্তারের সাথে আর্জেন্ট দেখা করতে গেলেন। রিপোর্টগুলো এরকম ছিলো –
⚫ WBC → 15000,
⚫ Neutrophil → 42%,
⚫ Lymphocyte →44%
⚫ CRP → 6
⚫ Blood culture report was pending
চেম্বারে অপেক্ষারত অবস্থায় হঠাৎ করে বাচ্চা Cyanosed হয়ে যায় এবং বাচ্চার মা এর চিৎকারে সবাই ছুটে আসেন। আর্জেন্ট ঐ হসপিটালের ইমার্জেন্সি তে ভর্তি করানো হয়। এরপর ডাক্তার এসে বাচ্চাকে দেখে যান। তাৎক্ষণিক চেস্ট এক্স-রে তে Bilateral Patchy Opacity ছিল। উনি এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে Ceftriaxone দেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, তেমন বড় কিছু নয়, সেরে যাবে!
তারপরেও বাচ্চাটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছিলো না। সেকেন্ড Opinion নেয়ার জন্যে ডাক্তার তার ডিপার্টমেন্টের আরেকজন ডাক্তারকে বাচ্চাটিকে একবার দেখতে বললেন। এরপর বাচ্চার এক্সামিনেশন করে দেখা গেলো –
📌 Altered level of Consciousness
📌 Patient was only responding to painful stimuli
📌 Sign of raised ICP (Bradycardia, Jerky Respiration)
📌 Bilateral planter extensor
এই Findings গুলো পাবার পর ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস ছিল : Encephalitis, কিন্তু Raised ICP থাকায় এবং বাচ্চার কন্ডিশন খারাপ থাকায় CSF Study করা সম্ভব হয় নি।
বাচ্চাটিকে PICU তে ট্রান্সফার করা হয়। কিন্তু Encephalitis এর মর্টালিটি রেইট ৯০%, বাচ্চাটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
পুরো ঘটনা থেকে শিক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে –
✔ আমরা যা রোগী দেখি তার ৮০-৯০% রোগীই সর্দি, কাশি, ডায়রিয়ার মত কমন ডিজিজ হয়। তবে বাকি ১০-২০% রোগীর কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে সবসময়। আমাদের দ্রুততম সময়ে নেয়া সঠিক সিদ্ধান্তই একজনের জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।
✔ শুধু Investigation নির্ভর হওয়া যাবে না। ক্লিনিকাল এক্সামিনেশনের উপরে যথেষ্ট সময় এবং গুরুত্ব দিতে হবে।
Dr. Fahim Uddin
Khulna Medical College
Session: 2012-2013