★Hypersensitivity:
মনে করুন, সুমন এবং শাকিব দুই বন্ধু, দুইজনই সুস্থ মানুষ। তারা সকাল বেলায় ফজর নামাজ পড়ে একটা ফুল বাগানে গেলো ঘুরতে, ১০ মিনিট পরে শাকিবের কাশি শুরু হলো, সাথে বমিবমি ভাব। তাহলে বুঝতে পারতেছেন, ফুলের ঘ্রাণে একজনের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক (Normal reaction), অন্যজনের প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক (Abnormal Reaction)।
আবার মনে করুন, মাসুম আর বাধন দুইজন ক্লোজ বন্ধু, দুইজন একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলো, দুইজনই সুস্থ।
গরুর গোস্ত দিয়ে দুইজনই খাবার খেলো, খাবার শেষে বাধন সুস্থ স্বাভাবিক রইলো, আর মাসুমের শরীরে লাল লাল র্যাশ দেখা দিলো, চুলকাতে লাগলো, তাহলে গরুর গোস্ত একজনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, অন্যজনের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তাহলে কোনো একটি অক্ষতিকর বস্তু যদি কোনো সুস্থ শরীরে অস্বাভাবিক এবং অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাকে Hypersensitivity বলে।
★Hypersensitivity: Hypersensitivity is undesirable reaction produced by the normal Immune system.
★Allergy:
Allergy হচ্ছে Immune system এর একটা দীর্ঘমেয়াদি / স্থায়ী অবস্থা, যা পরিবেশের কোনো Allergen এর কারণে শরীরে Hypersensitivity দেখায়, কিংবা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায়।।
★Allergen:
যদি কোনো বস্তু কোনো মানুষের শরীরে Hypersensitive reaction দেখায়, সেইসব বস্তু সেইসব মানুষের জন্য Allergen।
অর্থাৎ যেই বস্তু কোনো মানুষের সংস্পর্শে আসলে সেই মানুষের মধ্যে অস্বাভাবিক অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেইসব বস্তু তার জন্য Allergen। যেমন উপরের উদাহরণে রিফাত এবং সুজন দুইজনে বাগানে গেল, বাগানের ফুলের ঘ্রানে কিংবা ফুলের পাপড়ির কারণে সুজনের কোন সমস্যা হয় নাই, তবে রিফাতের বমি বমি ভাব কিংবা কাশি শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই ফুলের পাপড়ি, ফুলের ঘ্রাণ সুজনের জন্য স্বাভাবিক হলেও রিফাতের জন্য Allergen।
একই বস্তু একজনের জন্য স্বাভাবিক হলেও অপরের জন্য Allergy হতে পারে, যেমন লক্ষ্য করুন মাসুম এবং বাঁধন দুইজন রেস্টুরেন্টে গোশত দিয়ে খাবার খেয়েছে , বাঁধনের কোন সমস্যা হয় নাই কিন্তু মাসুমের শরীরে Rash দেখা দিয়েছে এবং চুলকানি শুরু হয়েছে সুতরাং গোশত বাঁধনের জন্য স্বাভাবিক হলেও মাসুমের জন্য ছিল Allergen.
★Allergic Reaction:
কোন Allergen শরীরের সংস্পর্শে এলে শরীরে যেসব অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় তাকে Allergic reaction বলে, আবার এটাকে Hypersensitivity Reaction ও বলা হয়। Hypersensitivity Reaction কে চার ভাগে ভাগ করা যায়, তবে চার প্রকারের মধ্যে Type-1 Hypersensitivity নিয়ে এখানে আলোচনা করবো,
কোন Allergen দ্বারা শরীরের যেসব Hypersensitivity Reaction দেখা দেয় তাকে Type-1 Hypersensitivity Reaction বলা হয়।
Allergy হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমরা যা বুঝে থাকি তা মূলত Type-1 Hypersensitivity Reaction কে বোঝায়।
Allergen এর উদাহরণ
সাধারণত ধুলাবালি, কীটপতঙ্গের কামড়, মশা-মাছির সংস্পর্শ, নির্দিষ্ট কিছু খাবার, ঘ্রাণ, ফুলের পাপড়ি, ইত্যাদি ব্যক্তিভেদে Allergen হিসাবে কাজ করে।
ধুলাবালির Allergy কে Dust Allergy বলে,
ঘ্রাণের Allergy কে Smell Allergy বলে,
খাবারের এলার্জিকে Food Allergy বলে।
★Histamine:
Allergic Reaction এর ফলে শরীরে একধরনের Antibody তৈরি হয় যাকে Immunoglobulin-E বলা হয়, শরীরের Connective Tissue সমূহে প্রচুর পরিমাণ Mast cell রয়েছে,
Allergic Reaction এর ফলে Immunoglobulin-E তৈরি হয়ে Mast cell সমূহকে উত্তেজিত করে, Mast cell এর অভ্যন্তরে এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যাকে Histamine বলে, Allergic Reaction এর ফলে Immunoglobulin-E এর ফলে যখন Mast cell সমূহ ভেঙ্গে যায়, তখন Mast cell সমূহের অভ্যন্তর থেকে Histamine নামক এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়।
★Histamine এর কাজ:
Type-1 Hypersensitivity Reaction এর ফলে যখন Mast cell ভেঙ্গে Histamine রিলিজ হয়, তখন Histamine শরীরের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে থাকে,
Histamine সর্বপ্রথম যে কাজটি করে থাকে তা হচ্ছে Blood vessel সমূহে যে Capillary রয়েছে, এই Capillary এর permiablity বাড়িয়ে দেয় যার কারণে রক্ত থেকে জলীয় অংশ Blood vessel বাইরে বেরিয়ে আসে।
Histamine এক প্রকার Irritatant পদার্থ হিসাবে কাজ করে,
যার কারণে চুলকানি, কিংবা প্রদাহ তৈরী হয় এবং Rash দেখা দেয়।
★Common Allergic Reactions:
a) Allergic rhinitis:
অনেক সময় দেখা যায় যে বৃষ্টির পানিতে ভিজলে কিংবা পুকুরে গোসল করলে কিংবা কোন ধুলাবালিতে গেলে কিংবা একটু ঠান্ডা লাগলে অথবা কোন ঠান্ডা পানীয় পান করলে কারো কারো সর্দি কাশি শুরু হয়ে যায়, আবার এই সেম কাজগুলো অন্যরা করলে তাদের কিছুই হয় না, তাহলে বুঝা গেল বৃষ্টির পানি কিংবা ধুলাবালি কিংবা পুকুরের পানি কিংবা ঠান্ডা জলীয় বস্তু কারো কারো জন্য Allergen হিসেবে কাজ করে আর কারো কারো জন্য এটা স্বাভাবিক বস্তু হিসেবে থাকে, এই স্বাভাবিক বস্তুগুলো যাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে তাদের সর্দি কাশি শুরু হয়ে যায়, যাকে Allergic rhinitis বলে, Allergic rhinitis হলে সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের Mucous membrane সমূহ আক্রান্ত হয় এবং Histamine এর প্রভাবে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ Mucous তৈরি হয় এবং শ্বাসযন্ত্রে Leukotriene নামক এক প্রকার পদার্থ তৈরি হয় যা কাশি তৈরিতে শ্বাসযন্ত্র কে উত্তেজিত করে। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, নাক দিয়ে পানি পড়া তথা সর্দি কাশি, সাথে হালকা হালকা গায়ে গায়ে জ্বর থাকা এই সবকিছু Allergic rhinitis এর কারণেও হয়ে থাকে। অনেক সময় Rhinovirus Allergy হিসেবে কাজ করে।
b) Allergic Conjunctivitis:
Allergic conjunctivitis মূলত চোখের একটি Allergic জাতীয় রোগ এখানে চোখ লাল হয়ে থাকে চোখ থেকে পানি পড়ে ব্যথা করে, 6 থেকে 12 বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা দেয় আবার বয়স কত হতে পারে মূলত যাদের শরীর কোন নির্দিষ্ট Allergen এর প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখায় তাদের Allergic rhinitis এর মত Allergic conjunctivitis হতে পারে।
কিছু কিছু বাচ্চাদের দেখা যায় তারা পুকুরে গোসল করলে কিংবা খেলাধুলা করলে কিংবা বাহিরে চলাফেরা করলে তাদের চোখ লাল হয়ে যায় চোখ থেকে পানি পড়ে এবং ব্যথা করে চোখ চুলকায় এগুলো মূলত Allergic conjunctivitis এর কারণে হয়ে থাকে।
c) Food Allergy:
অনেক মানুষ আবার এমন রয়েছে যে তারা গোশত কিংবা বেগুন কিংবা বাহিরে রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার পরে তাদের শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয় , এগুলো মূলত Allergy এর কারণে হয়ে থাকে , তাদের শরীর ওই সমস্ত খাবারের জন্য উপযোগী না , এবং ঐ সমস্ত খাবার গুলো যদিও অন্যদের জন্য স্বাভাবিক, তবে তাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে, তাই তারা যখন ওই খাবারগুলো খায় যেমন গোশত খাবার পরে তার সারা শরীর চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে গেছে তাহলে গোশত তার জন্য Allergen।
d) Drug Allergy:
কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তারা কোন Antibiotic খাবার পরে তাদের শরীর চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায় , তাহলে বুঝে নিতে হবে ওই Antibiotic এর প্রতি তার Hypersensitivity রয়েছে এবং ওই Antibiotic তার জন্য Allergen হিসেবে কাজ করতেছে, যদি কারো এমন হয়ে থাকে তাহলে সে ওই Antibiotic পরিবর্তন করে অন্য Antibiotic ব্যবহার করবে। কোন মেডিসিন ব্যবহারের ফলে যদি কোন Hypersensitivity Reaction শুরু হয় তবে সেই প্রকার Allergy কে Drug Allergy বলা হয়ে থাকে।
e) Anaphylactic Reaction:
Anaphylactic Reaction হচ্ছে এক প্রকার Emergency Allergic Condition, মনে করুন কারো শরীরে একটি কীটপতঙ্গের সংস্পর্শ লেগেছে , অথবা কোন ছোট মশা কিংবা অন্যান্য কীটপতঙ্গ তাকে কামড় দিয়েছে, এর কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল তার শরীররে লাল লাল চাকা হয়ে গেছে শরীর প্রচন্ড চুলকাচ্ছে সারা শরীর ব্যথা করছে এই অবস্থা গুলোকে Enough Electric Reaction বলে, যাদের শরীর Hypersensitive, তাদের ক্ষেত্রে মশার কামড়ে কিংবা ছারপোকার কামড়েও Anaphylactic Reaction দেখা দিতে পারে।
f) Atopic Eczema:
একপ্রকার Allergic skin condition,
যা Allergic Reaction এর কারণে হয়ে থাকে।
★চিকিৎসাঃ
প্রথমে জেনে রাখা ভালো,
Allergy এর স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নাই, কারণ এইটার সম্পর্ক Immune system সাথে, তাই যাদের যেইসব বস্ততে Allergy রয়েছে, তা পরিহার করে চলাই হচ্ছে মূল চিকিৎসা।
আর অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরার কারণে যাদের Allergic উপসর্গ সমূহ দেখা দেয়, তারা Medicine দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখবে।।
★Medication:
Allergy যেহেতু Histamin এর খেলা, তাই Allergy নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে Histamin নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, সেই জন্য
Allergic Condition এ Antihistamine হচ্ছে Allergy এর Medicine।
Antihistamine আবার দুই প্রকার:
- Sedative : যেইসব Antihistamine এর ব্যবহারে ঘুম হয়, তাকে Sedative বলে। এ গুলো First Generation Antihistamine নামেও পরিচিত।
উদাহরণ:
- Chlorpheniramine (Histal 4 mg)
- Hydroxyzine HCl (Xyril 10 mg)
- Non-Sedative :
যেইসব Antihistamine এর Sedative effect তুলনামূলক কম, তাকে Non-Sedative Antihistamine বলে।
এ গুলো Second Generation Antihistamine নামেও পরিচিত।
উদাহরণ:
- Desloratadine (Deslor 5 mg)
- Fexofenadine (Fexo 120)
- Rupatadine ইত্যাদি
Anaphylactic Reaction এর ক্ষেত্রে Hydrocortisone I/V দেওয়া হয়ে থাকে।
Ismail Azhari
Dhaka Community medical college
Session: 2013-14
Platform Academia/ Mainul Islam