Blog

অ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি ও ভ্যাক্সিনের যতকথা

Vaccine এর ধারনা পেতে হলে আগে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির একটা ধারণা লাগবে।

★Antigen কি?
✓ Antigen is a toxin or other foreign substance which induces an immune response in the body, by producing antibodies.
সহজ ভাষায়, Antigen হচেছ Virus, bacteria ও অন্যান্য জীবাণুর দেহকোষের কিছু Protein উপাদান কিংবা এমন কোনো বস্তু যা শরীরের নিজস্ব গঠন থেকে আলাদা প্রকৃতির কিংবা কোনো বহিরাগত উপাদান কিংবা শরীরের জন্য কোনো অপরিচিত বস্তু যেমন কোনো Toxin, chemical or drugs ইত্যাদি যা দেহে প্রবেশ করলে immune system প্ররোচিত হয়ে তৈরী করে এবং ওই Antibody, অণুজীবের কিংবা antigen এর বিরূপ প্রভাব থেকে শরীর কে মুক্ত রাখে।

★Antibody কি?
✓Antibody may be defined as a blood protein produced in response to counteracting a specific antigen. Antibodies combine chemically with substances which the body recognizes as foreign substances, i.e bacteria, viruses, and other parasites in the blood.
সহজ ভাষায়, Antibody হচ্ছে এক প্রকার প্রোটিন, যা শ্বেত রক্ত কণিকার B-lymphocyte থেকে তথা রক্তের Plasma cell থেকে উৎপন্ন হয়, যখন শরীরে কোনো বাহ্যিক Antigen প্রবেশ করে, তখন তাকে Neutralised করার জন্য শ্বেত রক্তকণিকার B-lymphocyte থেকে এক প্রকার প্রোটিন উপাদান তৈরি হয়, যা ওই Virus কিংবা Bacteria ধ্বংস করে এবং Virus ও Bacteria এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর কে সুরক্ষা দেয়।
এইভাবে antigen এর প্রভাবে শরীরে antibody তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াই Immune response নামে পরিচিত।

একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরেকটু সহজ হবে। মনে করি, Dengue virus যখন মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে, তখন এই Virus এর antigen সমূহের প্রভাবে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক প্রকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য উত্তেজিত হয়, এবং এই Dengue virus কে ধ্বংস করার জন্য
এক প্রকার antibody তৈরি করে, যা Dengue virus কে
ধ্বংস করে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এখন Dengue virus কে যদি আমরা শরীরের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করি,
তাহলে antibody হচ্ছে শরীরের অভ্যন্তরীন এক প্রকার সেনাবাহিনী, যার কাজ শত্রুকে ধ্বংস করে শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করা। এই সেনাবাহিনী তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মধ্যে এক প্রকার Memory তৈরি করে দেয়। পরবর্তীতে যদি কখনো সেই একই প্রজাতির Virus শরীরে প্রবেশ করে তখন সেই Memory cell তাদের কে চিনে ফেলে, এবং সাথে সাথে তাদের কে ধ্বংস করে দেয়।

প্রতিটি অনূজীবের antigen সমূহ সুনির্দিষ্ট, এক অণুজীবের antigen এর সাথে অন্য অণুজীবের antigen এর কোনো মিল নাই। প্রতিটি antigen এর
বিরুদ্ধে কার্যকর antibody এর কাজও সুনির্দিষ্ট,
যেই antibody যে প্রকারের antigen এর উপস্থিতিতে
তৈরি হয়েছে, সেই antibidy কেবল সেই অ্যান্টিজেন কে ধ্বংস করবে।

★Vaccine কি?
✓ Vaccine may be designed as a substance used to stimulate the production of antibodies and provide immunity against one or several diseases, prepared from the causative agent of a disease, its products, or a synthetic substitute, treated to act as an antigen without inducing the disease.
সহজ ভাষায়, যদি কারো রোগ হওয়ার আগে আমরা তার শরীরের ভিতর বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেই Virus or bacteria or its products or any other synthetic substance কে রোগ সৃষ্টিতে অক্ষম করে Injection এর মাধ্যমে কিংবা মুখে খাইয়ে শরীরে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারি কিংবা সেই Virus কে অকার্যকর (inactivated) করে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারি, তাহলে সেই Virus মানুষের শরীরে ঢুকলেও সেটি রোগ তৈরি তে অক্ষম হয়ে পড়ে। তবে Virus এর গায়ে যে antigen ছিলো, তার উপস্থিতিতে শরীরের সে antigen এর বিরুদ্ধে এক প্রকার antibody তৈরি হবে,
এবং Memory cell গঠন করবে। এই Memory cell শরীরে দীর্ঘসময় ধরে উপস্থিত থাকবে। পরবর্তীতে যদি সে Virus শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে সে Virus কোন রোগ তৈরি করতে পারবেনা, কারণ Virus প্রবেশ করার সাথে সাথে Memory cell এর সহায়তায় অ্যান্টিবডি সমূহ সেই Virus
ধ্বংস করে দিবে।

Vaccine

Vaccine এর প্রকারভেদ:
Vaccine কে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা হয়-
১. Live Vaccine:
এই প্রকারের ভ্যাক্সিন এর মধ্যে অণুজীব সমূহ জীবিত থাকে, তবে তাদেরকে বিভিন্ন ধাপে ধাপে Centrifuge করে রোগ তৈরিতে অক্ষম করে দিয়ে তা শরীরে প্রবেশ করানো হয়। ফলে জীবাণুগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উত্তেজিত করে, এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যেই অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে ভবিষ্যতে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এদের মধ্যে আছে-
OPV (Oral Polio Vaccine), BCG vaccine.

২. Killed vaccine:
এই প্রকারের ভ্যাক্সিন তৈরিতে অণুজীব সমূহকে মেরে তাদেরকে Injection এর মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তাদের গায়ের অ্যান্টিজেনের প্রভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
এদের মধ্যে আছে- Cholera vaccine, Hepatitis-A vaccine ইত্যাদি।

৩. Subunit vaccine:
এই প্রকারের ভ্যাক্সিন তৈরিতে অণুজীব এর প্রোটিন উপাদান এর কোন একটি অংশ কে নিষ্ক্রিয় করে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এদের মধ্যে আছে- Hepatitis-B vaccine.

৪. Toxoid vaccine:
যেখানে Bacteria-র Toxin গুলোকে নিষ্ক্রিয় করে রোগ তৈরিতে অক্ষম করে শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং তা রোগ প্রতিরোধ করে। এদের মধ্যে আছে- Tetanus toxoid.

★Vaccine উৎপাদন পদ্ধতি:
যে রোগের vaccine তৈরি করা হবে সে রোগের জীবাণূ চিহ্নিত করতে হবে।ধরা যাক,Swine flu এর Vaccine তৈরি হবে, তাই সর্বপ্রথম WHO(World Health Organisation) তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ল্যাবরেটরি থেকে Swine flu রোগের জীবাণু Influenza virus(H1N1) কে চিহ্নিত করা হয়, এবং এই Virus সমূহকে মুরগির ডিমের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, Hybrid পদ্ধতিতে
চাষ করার জন্য। এতে করে প্রতিটি ডিমে লক্ষাধিক Virus উৎপাদিত হয়। একটি ডিম থেকে একজনের Vaccine উপাদান তৈরি হয়, এইভাবে প্রায় ৩০০ কোটি
ডিমের মধ্যে Hybrid পদ্ধতিতে Influenza virus এর
চাষ হয়, এবং ডিম গুলি Harvesting এর মাধ্যমে Virus সমূহ ডিম থেকে পৃথক করা হয় এবং Centrifuge করে
Virus সমূহকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। কিছু Virus কে Chemical use করে মেরে ফেলা হয় এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা থেকে Killed vaccine তৈরি হয়।
তদ্রূপ Harvesting এর মাধ্যমে কিছু Virus জীবিত রাখা হয় এবং তাদের রোগ তৈরিতে অক্ষম করে দেওয়া হয়। তা থেকে Live attenuated vaccine তৈরি হয়।
Swine flu Vaccine এর এই সব প্রক্রিয়া, Clinical trial হয়ে বাজারজাত হতে প্রায় ৬ মাস সময় লেগেছিল।
উল্লেখ্য, Swine flu তে ২০০৯ সালে প্রায় ১২০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলো, আমেরিকাতেই আক্রান্ত হয়েছিলো
৬০ মিলিয়ন তথা ৬ কোটি মানুষ। মারা গিয়েছিলো ৫ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। খুব দ্রুত ৬ মাসের মধ্যে Swine flu vaccine আবিষ্কার হয়ে তা Clinical trial সফল হয়ে মার্কেটে আসে। ভ্যাক্সিনের ইতিহাসে এটাই ছিলো দ্রুততম আবিষ্কার।

Ismail Azhari
DCMC:13-14
প্ল্যাটফর্ম একাডেমিক ডিভিশন / ধ্রুব ধর

Leave a Reply