Blog

ক্যান্সার রোগীদের জন্যে কেমোপোর্ট- কি এবং কেন?

লিখেছেনঃ Dr. Mohammad Shafiul Azam
Department of Urology, Nikdu

আমি আমার সমস্ত পেশাগত কাজে আমার হাসপাতালের (NIKDU) এর সম্মানিত ডিরেক্টর Prof Mizanur Rahman Sir, আমার ডিপার্টমেন্টাল হেড Prof Nitai Biswas Sir, আমার ইউনিট হেড Prof Shawkat Alam Sir থেকে সব সময় সর্বাঙ্গীণ পেশাগত সহযোগিতা পেয়েছি।

PICC থেকে হাজারগুন ভালো Hickman Catheter অথবা Hohn Catheter.
আবার Hickman Catheter অথবা Hohn Catheter থেকে হাজারগুন ভালো হলো
কেমোপোর্ট/ Chemoport/ Port -A- Cath/ Mediport.
বাংলাদেশের সম্মানিত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগন এবং হেমোটোলজিস্ট এবং হেমাটো অনকোলজিস্টগনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে সমস্ত ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসা যেভাবে উন্নত হচ্ছে সাথে সাথে কেমোথেরাপি দেওয়ার সর্বাধুনিক ভাস্কুলার এক্সেসগুলোও যদি যৌক্তিক ভাবে এবং নৈতিকভাবে ক্যান্সার হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত হতো তাহলে ক্যান্সার রোগীদের ভোগান্তি এবং কষ্ট গুলো বহুলাংশে যৌক্তিকভাবে কমে যেত।
নিচের মেয়েটার বয়স 12 বছর যাকে আমি বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য একদম ছোট কেমোপোর্ট ইমপ্ল্যান্ট করে দিয়েছি।


এই মেয়েটা তার চিকিৎসার পুরোটা সময় এই কেমোপোর্ট দিয়েই তার চিকিৎসা সমাপ্ত করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
শুধু এই একটা কেমোপোর্ট দিয়েই সে যেকোনো কেমোথেরাপি দিতে পারবে, তাছাড়া ব্লাড দেওয়া, স্যালাইন দেওয়া, স্যাম্পল নেওয়া এবং মেডিকেশন দেওয়া সবকিছুই এই কেমোপোর্ট দিয়েই করতে পারবে এবং তার হাতের কোন ভেইন বা ভ্যাসেল টাচ করতে হবে না।
কিন্তু নিচের বাচ্চাটা দেখেন, তার পায়ের চামড়া যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা প্লাস্টিক সার্জারি করেও পরবর্তীতে সেটা আর আগের মত ঠিক করা সম্ভব হবে না।

অথচ এই সমস্যাটা যাতে না হয় তারজন্য আগেই প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা হিসেবে কেমোপোর্ট দেওয়া যেত অথবা অন্যান্য ভাস্কুলার এক্সেস ব্যবহার করা যেত।

নিচের বয়স্ক রোগীটির হাতে প্রচন্ড ক্ষত তৈরি হয়েছে ক্যানুলা দিয়ে কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য যে ক্ষত শুকাতে বহু সময় নেবে এবং একেকটা ক্যানুলা দুই তিন দিনের বেশি যায় না।

যে রোগীর প্রতিদিনই শিরাপথে কিছু না কিছু দিতে হয় সে রোগির জন্য কোন ভাবেই কেমোপোর্ট প্রযোজ্য নয় কিন্তু তার জন্য হিকম্যান ক্যাথেটার অথবা HOHN Catheter এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা তাকে খুব সহজেই বহুদিন শিরাপথে সব ধরনের চিকিৎসা নিতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

অনেকেই বিদেশ থেকে PICC করে আসেন যা খুব বেশিদিন যায় না এবং মেইনটেন করা আসলেই কঠিন কারণ এটা হাতের মাঝখানে থাকে, রোগী গোসল করতে পারে না এবং যে কোন সময় এটা খুলে যাওয়ার ভয় থাকে।
সবচেয়ে বড় কথা ক্যানুলা করলে যেভাবে ভেইন নষ্ট হয় এটাতেও যে ভেইনে স্থাপন করা হয় সেই ভেইনও একইভাবে নষ্ট হয়ে যায়।
নিচের রোগীটার হাত দেখবেন যাকে প্লাস্টিক সার্জারি করার পরও তার হাতের যা অবস্থা তা আর কোনদিন স্বাভাবিকভাবে ফিরবে না অথচ এটা খুব সহজেই অ্যাভয়েড করা যেত।

Leave a Reply