Blog

Let’s Talk about Depression: Causes, symptoms & treatment ।। হাবিজাবি ৮

আশিকের লাশটা গত দুই ঘন্টা ধরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। কেউ আসছে না ওর ঘরে। আসলে কেউ আসতে পারছে না, দরজাটা ভিতর থেকে আটকানো। আশিকের মা বেশ কয়েকবার এসে নব ঘুরিয়েছেন, কিন্তু খুলতে পারছেন না। আশিকের খোলা চোখ দুটি যেন কোটর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আছে! ও সব কিছু দেখছে, শুনছে, বুঝতে পারছে, কিন্তু নড়াচড়া করতে পারছে না! পারছে না কোন কথা বলতে!

মা হয়তো ভেবেছেন একা থাকার জন্য আশিক দরজা লক করে রেখেছে, রেগেমেগে মন খারাপ করে আছে। তিনি কিছুক্ষণ পরপর এসে ডাকছেন আর দেখছেন আশিক দরজা খুলেছে কীনা! আশিক যদিও ভেবেছিল মা আর তার রুমে আসবে না, যে কড়া ধমক দিয়ে মাকে সে বলেছে ওর ঘরে আর না আসতে! তারপরও মা উৎকণ্ঠা নিয়ে পায়চারি করছে ঘরের বাইরে। আশিকের বাবাও কয়েকবার ডাইনিং এ এসে খুব চিন্তিত মুখে বসে থেকে নিজের ঘরে ফিরে গেছেন।

খুব অদ্ভুত ব্যাপার, মৃত্যুর পর থেকে কে কি ভাবছে আশিক সব বুঝতে পারছে! আশিক ভেবেছিল – ফাইনাল প্রফে ফেল করায় বাবা কী চরম কষ্টটাই না পেয়েছেন! হয়তো ভেবেছেন কারো সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না। কত বড় মুখ করে সবাইকে বলেছেন, “পাশ করে আমার ছেলেটা ডাক্তার হবে, বাপের নাম উজ্জ্বল করবে।”
কিন্তু বাবা এখন ভাবছেন – কীভাবে ছেলের মনটা একটু ভালো করা যায়। পাশ করলে বলেছিলেন বাইক কিনে দেবেন। টাকাটা তাই দু’দিন আগেই ব্যাংক থেকে তুলে আলমারিতে রেখে দিয়েছেন। বাবা ভাবছেন – কখন আশিক দরজা খুলবে, টাকার খামটা ছেলের হাতে তুলে দিয়ে বলবেন,

“যা বাবা, তোর পছন্দের বাইকটা কিনে নিয়ে আয়। আর শোন, সেটাতে করে আমাকে নিয়ে কিন্তু সারা শহর ঘুরাবি। ফেল করেছিস তাতে কি! নেক্সট টাইম আরো ভাল করে চেষ্টা করবি। আজ না হয় কাল, পাশ তো একদিন করবিই। মেডিকেলে পাশ ফেল তো কোন ঘটনাই না। কত ডাক্তার বারবার ফেল করে আজ বড় প্রফেসর! তুইও একদিন পারবি বাবা। ভেঙে পড়িসনে। ভয় পাসনে। বুকে সাহস রাখ। আমাদের দোয়া আছে। আমরা তোর পাশে আছি বাবা। চল বাইরে যাই, আজ রাতে বাসায় খেয়ে কাজ নেই। চাইনিজ খেয়ে আসি।”

বাবা মনে মনে এসব বলছেন আর ভাবছেন – তাতে যদি রেজাল্টের জন্য ছেলের মন খারাপ কিছুটা কমে। আশিকের বন্ধুরা ওর ব্যাপারে কি ভাবছে আশিক তাও বুঝতে পারছে। আশিকের বন্ধু মারুফ আর মনির এর মধ্যেই প্ল্যান করেছে, কাল দলবল মিলে আশিকদের বাসায় গিয়ে ওকে চমকে দেবে। সবাই মিলে কক্সবাজার যাবে বেড়াতে। আশিকের পুরো স্পন্সর ওরাই করবে। সব সময় ওকে সংগ দিবে, সাহস দিবে। পরীক্ষার রেজাল্টে নিয়ে কোন কথাই ওরা বলবে না। দুটো দিন ওকে নিয়ে পাহাড় সমুদ্রে ঘুরেফিরে বেড়াবে। ওর বন্ধু কাওসার ওকে নিয়ে বেশ মজার এক গল্প লিখছে, বেঁচে থাকলে যেটা পড়ে ও হো হো করে হেসে ফেলতো। অথচ আজ বিকালেও আশিক ভেবেছিলো তাকে নিয়ে তার বন্ধুরা কত উপহাসই না করছে।

মৃত্যুর আগেও আশিক ভেবেছিলো ডাক্তার খালামনি এখনো শোনেনি খবরটা। শুনলে কি ভাববেন, কত কিছুই না বলবেন,
“ছি ছি ছি, ব্যাটা গাইনিতে কেউ ফেইল করে?”
কিন্তু আশিক জানেনা, খালামনি ইতোমধ্যে ওর খবর শুনেছেন। তিনি ঠিক করে রেখেছেন আশিককে বলবেন,

“আরে বোকা, ফেল করেছিস তাতে কি! সামনে তুই ভাল করবি। স্রষ্টা নিশ্চয়ই আরো ভাল কিছু তোর জন্য রেখেছেন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখ। চল শপিং এ যাই, তোকে কিছু কিনে দিই।”

চারপাশের কে কি মনে করছে করবে এসব নিয়ে ও খুব স্ট্রেসে ছিল (Depressive episodes are often triggered by stressful life events), ওর কাছে তখন মনে হচ্ছিলো,
– I am no good.
– The world is an awful place.
– The future is hopeless.
সমাধান হিসেবে তাই বোকার মত বেছে নিয়েছিলো আত্মহননকে!

ওদিকে আশিকের মা সেই কখন থেকে ডাইনিং এ দাঁড়িয়ে আছেন আর ভাবছেন, “ওর প্রিয় ইলিশ মাছের তরকারিটা ঠান্ডা হয়ে গেল, ছেলেটা বের হলে নিজ হাতে খাইয়ে দিবেন।”
তিনি তাই বারবার দরজার সামনে আসছেন, দরজা খোলার জন্য আকুতির সুরে ডেকে যাচ্ছেন, “আশিক, বাবা আমার, দরজাটা খোল।”

আশিকের মৃত্যুর পর পার হয়েছে কয়েকটি ঘন্টা। রাত এখন অনেক প্রায়। এর মধ্যে মা কয়েকবার বাবাকে গিয়ে ভীষণ বকাঝকাও করেছেন,

“তোমাকে না বলেছি, রেজাল্ট নিয়ে ছেলেটাকে এত কথা শুনিয়ো না। মানুষ তো কত বড় ভুল করে, ও তো শুধু ফেল করেছে। ও নিজেও অনেক কষ্ট পাচ্ছে। ওকে কথা না শুনিয়ে তোমার উচিৎ ছিল ছেলেটার পাশে থাকা, ওকে সান্ত্বনা দেওয়া।” (Cognitive behaviour therapy/CBT – most effective psychological treatment)

আশিকের ধারণা ছিল ওর রাগী বাবাটা এসব কথা শুনে মায়ের সাথে পাল্টা তর্ক করবেন। কিন্তু কি অদ্ভুত! বাবা চুপচাপ সব মেনে নিয়ে বললেন,

“তুমি ঠিকই বলেছো, আমি ভুল করেছি। বুঝিনি রেজাল্টের চেয়ে আমার ছেলেটা বড়।”

এসব শুনে মৃত আশিক মনে মনে ভাবছে,

বেঁচে থাকলে এখন আমি কাঁদতাম, চিৎকার করে কাঁদতাম। অযথাই সারাটা দিন কেঁদেকেটে চোখ ফুলিয়েছি। শেষমেশ বোকার মত আত্মহননের কান্ডটাও করেছি! কিন্তু জীবনটা কত সুন্দর। পাশ করার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর – মায়ের হাতের রান্না খাওয়া, বাবার সাথে গল্প করা, বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাওয়া।

অধৈর্য হয়ে মা এখন দরজায় জোরে জোরে আঘাত করছেন, দরজা ভেঙেই ফেলবেন বোধহয়। মায়ের মন তো! ছেলে সারাদিন না খেয়ে আছে, এটা তাকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে। বাইরে থেকে মা বলছেন,

“বাবা আয়, খেয়ে নে, সেই কখন থেকে না খেয়ে আছিস, তোর বাবা প্রমিজ করেছে আর কখনোই তোকে বকবে না, দরজা খোল বাবা।”

আশিকের চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা হচ্ছে,

“এই দরজা কখনো খুলো না মা। কখনো খুলো না এই দরজা।”

কিন্তু দরজা খুলতে না পেরে, আর ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আশিকের বাবা মা খারাপ কিছুটা সন্দেহ করেন। দরজা ভেঙে ফেলতে রড দিয়ে দরজার উপর ধুরুম ধারুম আঘাত করা শুরু করেন!

দরজায় জোরে আঘাতের শব্দ শুনে আশিক ধড়মড়িয়ে জেগে ওঠে। উঠে দেখে ওর সারা শরীর ঘামে ভেজা। কি ভয়ংকর দুঃস্বপ্নই টা দেখেছিলো এতক্ষন! বাইরে থেকে মায়ের চিতকার শুনতে পায়,

“আশিক, বাবা ওঠ তাড়াতাড়ি, সেই কখন থেকে ডাকছি। পরোটা আর হাঁসের মাংস ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।”

আশিক আড়মোড়া ভেঙে উঠে দরজা খুলে দেয়। খুলেই ছোট্ট শিশুর মত মায়ের গলা জড়িয়ে বলে, “মা, তোমাকে খুব ভালবাসি!” এই বলে ফ্যালফ্যাল করে কান্না শুরু করে! মা অবাক হয়ে যায়,

“কী বোকা ছেলে, কাঁদছিস কেন? কি হয়েছে? তোর বাবা তোর জন্য বাইক কিনতে গেছে। তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে খেতে বস!’

গল্পটা শেষ। এভাবেই শেষ হোক প্রতিটি ডিপ্রেশনের গল্প। কিন্তু সব গল্প এভাবে শেষ হয় না, যা আমরা প্রায়শই দেখি।

Depression -এ রোগীরা প্রায়ই বলে আমার কিছু ভাল লাগে না, মন ভাল নেই, মুড ভাল নেই। অর্থাৎ এটা একটা mood disorder. এই ভাল না লাগা সব সময় থাকে। কিন্তু কোন কোন mood disorder এ এই ভাল লাগে না, তো পরক্ষণেই মন বেশ উল্লসিত। অর্থাৎ mood এর মধ্যে ভাল না লাগা, আর ভাল লাগা’র দুটো pole আছে, যেটাকে বলে bipolar mood disorder। কিন্তু Depression এ শুধুই ভাল না লাগা, তাই এটা unipolar mood disorder!

কারণ কী এই ভাল না লাগার?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন কারণ আছে, যৌক্তিক বা অযৌক্তিক কারণ। কিন্তু যে Depression এর রোগী, তার কাছে প্রতিটি কারণই যৌক্তিক। তাই কখনো এটা বলা যাবে না, আপনার এই মন খারাপের কারণটা অযৌক্তিক! এই কারণগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে, নিজের শারীরিক অসুস্থতা অক্ষমতা থেকে শুরু করে অন্যের, সমাজের বা দেশের যে কোন সমস্যাই; যা তার কাছে সমস্যা বলে মনে হয়, যা তাকে দুঃশ্চিন্তায় ভোগায় (anxiety), যা নিয়ে বেশি টেনশন করে, সেসব কারণেই সে এক সময় Depression এ চলে যেতে পারে। তাই মাথায় রাখা ভাল, ডিপ্রেশনের শুরুটা হতে পারে anxiety থেকে, আবার anxiety ছাড়াও হতে পারে।

Symptoms কী Depression এর?
ওই যে বলেছি কিছুতেই কিছু ভাল লাগে না।
মন ভাল লাগে না, শরীর ভাল লাগে না!
মন কীরকম ভাল লাগে না?
– আমাকে দিয়ে কিছু হবে না।
– আমি আর পারছি না।
– আমি ব্যর্থ।
– জীবনে কোন আশা নাই, আনন্দ নাই।
– কি লাভ বেঁচে থেকে!
অর্থাৎ মনের মধ্যে এক কথায় চরম নৈরাশ্যবাদী (pessimism) অবস্থা বিরাজ করবে। ফলে নিজেকে সমাজ সংসার থেকে গুটিয়ে নেবে। কম মিশবে মানুষের সাথে। যখন চেয়ারে বসবে তখন পিছনের দিকে চুপসে হেলান দিয়ে অলস ভঙ্গিতে বসবে। যদি তার সমস্যা কি জিজ্ঞেস করা হয়, সে তার সমস্যাগুলো অনগর্ল বলে যাবে, এবং সাথে এটাও বলতে পারে,
‘আমার সমস্যার কোন সমাধান নেই।’
তার সমস্যার জন্য সে অন্যকে দায়ী করতে পারে, আবার দায়ী করতে পারে নিজেকেও, বলতে পারে ‘আমার অবস্থার জন্য আমি নিজেই দায়ী, আমি drug addicted ছিলাম, ড্রিংক করতাম, খারাপ কাজ করেছি, সময় নষ্ট করেছি ইত্যাদি ইত্যাদি!’

তার যে শুধু মনই ভাল লাগে না, তা কিন্তু না। তার খেতে ভাল লাগবে না (reduced appetite, weight loss হবে), ঘুমাতে ভাল লাগবে না (disturbed sleep, শরীরে আড়ষ্টতা/fatigue আসবে), loss of libido হবে, ঘরের কোণে জড়সড় হয়ে পরে থাকবে (motor retardation)। অর্থাৎ তার psychological সমস্যাগুলো তার দৈনন্দিন জীবনের উপর এমনভাবেই প্রভাব ফেলবে, তার এই somatic symptoms গুলো ডেভেলপ করবে!

রোগ ধরা যাবে কীভাবে?
ওই যে উপরের symptoms শুনে আর history নিয়ে।

এক্সামিনেশনে কিছু কী পাওয়া যাবে?
যেতে পারে। কারণ Depression এর অন্যতম একটি কারণ physical illness। সে রকম কিছু বললে সেই সিস্টেম এক্সামিনেশন করে তার findings পাওয়া যাবে। আর এই ধরণের রোগীদের suicidal tendency বেশি, তাই আগে মরার জন্য যদি অল্পস্বল্প কোন চেষ্টা করে (self harm) থাকে তার চিহ্ন পাওয়া যাবে, যেমন ছুরি দিয়ে হাত কাঁটা, হাতের উপর ট্যাটু আঁকা A+G (আবুল+গোলাপী)। আবুলকে ছেড়ে গোলাপী এখন ট্রেনে করে ভেগে গেছে কীনা সেই হিস্ট্রি নিতে হবে। কারণ কলিকালে এটাও Depression এর অন্যতম কারণ!

কোন investigation করা যায় কী?
Depression এর নির্দিষ্ট কোন test নাই। কোন physical illness আছে বলে সন্দেহ হলে সেই অনুযায়ী test করা যায়, যেমন hypothyroidism মনে হলে TFT.

চিকিৎসা কী?
অন্য কোন physical illness থাকলে তার চিকিৎসা।
উপরে আগেই বলেছি most effective হল Cognitive behaviour therapy (CBT), counseling। পরিবার আশেপাশের কাছের মানুষকেই এটা বেশি করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ছিল ‘Depression, let’s talk’।
তাই রোগীর সাথে বেশি বেশি কথা বলতে হবে। তবে এইসব কথা না,
‘তোর সমস্যার জন্য তুইই দায়ী, তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না হতচ্ছাড়া!’
Be positive, positive attitude। সাপোর্টিভ কথাবার্তা,
‘তোকে দিয়েই হবে, তুই আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট, রবার্ট ব্রুস, বিশ্বজয় কেবল তুইই করতে পারবি, ইত্যাদি ইত্যাদি!’
বিভিন্ন কাউন্সেলিং সেন্টার আছে, ওরাও ভাল কাউন্সেলিং করে। এর পাশাপাশি ওষুধ psychiatrist এর পরামর্শ মত।

বিভিন্ন anti-depressant বাজারে আছে, নাম আমরা সবাই জানি। এদের কাজ মনকে ভাল লাগানো। আমরা জানি আমাদের শরীরে dopamine, serotonin (5-HT), nor adrenaline প্রভৃতির পরিমাণ বাড়লে আমরা হাসিখুশি থাকি। ওইসব ওষুধের কাজ এসব neurotransmitters এর পরিমাণ বাড়ানো। ধূমপান করলে dopamine বাড়ে, তাই অনেকে ছ্যাকা খেয়ে ধোয়ার রাজ্যে বসবাস করে আনন্দ পায়। এটা কি ঠিক? মোটেই না, কারণ আজকের সাময়িক আনন্দ আগামী দিনে ক্যান্সারে মৃত্যু!

ওষুধের ক্যাটাগরি-
* Tricyclic anti-depressant (TCA)-
amitryptyline, dosulepin, imipramine, clomipramine.
এরা Serotonin, noradrenaline বাড়াবে।
খুবই ভাল, বেশ ইফেক্টিভ। শুধু side effects একটু বেশি। ঘুম পায় (sedation), গলা মুখ শুকায় (anti cholinergic effects), বুক ধরফর করে (palpitation, arrhythmia)।
রোগীর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। রোগী যানবাহন চালালে, মেশিন অথবা আগুনের কাজ করলে, অর্থাৎ ঘুম আসলে যেসব কাজে বিপদ ঘটতে পারে সেসব ক্ষেত্রে না দেয়াই ভাল। আর যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে একটু সাবধানে দিতে করতে হবে, ওই যে বলেছি arrhythmia করে, long QT করে।

* Selective serotonin re-uptake inhibitor (SSRI)-
citalopram, escitalopram, fluoxetine, paroxetine, sertraline.
নাম শুনেই বুঝতে পারি এরা serotonin বাড়াবে। TCA এর সাথে তুলনায় SSRI এর সবগুলো side effects ই কম, আবার efficacy ও কম। তাই risk benefit rario চিন্তা করে TCA বা SSRI প্রেসক্রাইব করতে হবে।

* Noradrenaline re-uptake inhibitor-
venalafaxine, duloxetine, mirtazapine
নাম শুনেই বুঝি এরা noradrenaline বাড়াবে। কিন্তু এটা selective Noradrenaline re-uptake inhibitor না। শুধু noradrenaline এর পরিমাণই বাড়ায় তা না, পাশাপাশি বাড়াতে পারে serotonin এর পরিমাণও। যেমন- venalafaxine, duloxetine। অন্যদিকে mirtazapine কে বলা হয় specific serotonergic inhibitor। কারণ এটা অনেকগুলো serotonin receptor কে block করে।

* Monoamine oxidase inhibitor (MAOi)-
খুব একটা আজকাল ব্যবহার করা হয় না।

ওষুধ বলতে এই। Side effects adjust করতে low dose দিয়ে শুরু করে, আস্তে আস্তে বাড়াতে হয়। তারপর আস্তে আস্তে কমিয়ে বন্ধ করতে হয়।

ওষুধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় মনে রাখতে হবে-
১. রোগী ১ মাস ওষুধ খেয়ে ভাল। দিলাম ওষুধ বন্ধ করে! এটা করা যাবে না। ৬ থেকে ১২ মাস ওষুধ খেতে বলা হয় relapse prevent করতে।
২. রোগীর ৬ মাস ওষুধ খাওয়া শেষ। রোগী পুরোপুরি সুস্থ। পরদিন থেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিল! এটাও করা যাবে না। কমাতে হবে আস্তে আস্তে ট্যাপারিং করে, কয়েক সপ্তাহ ধরে। অন্যথায় discontinuation symptoms ডেভেলপ করতে পারে।

আশিকের Depression ছিল mild to moderate। তাই তার আর ওষুধ খাওয়া লাগে নি। পরিবার, আত্মীয়, বন্ধুরা সবাই বেশ সাপোর্টিভ ছিল। বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে পানিতে ঝাপাঝাপি করে সর্দি বাঁধিয়ে এসেছিল! সবার সাপোর্ট এবং ভালবাসায় ও ওর সাময়িক সমস্যা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করেছিল। ওষুধ তাদেরই লাগে যাদের Depression এর মাত্রা severe। যারা নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে অসুখ বাধিয়ে ফেলে। ব্যহত করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, যাদের মাথায় ঘোরে আত্মহননের চিন্তা।
তাই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা!

প্রতিটি মানব মন মুক্ত পাখির মত হতাশা কাঁটিয়ে ডানা মেলে উড়ুক মুক্ত আকাশে।

ডা. কাওসার উদ্দীন
ঢামেক, কে-৬৫

One thought on “Let’s Talk about Depression: Causes, symptoms & treatment ।। হাবিজাবি ৮

  1. Pingback: A Brief Overview of Mental Illness: Neurosis ।। হাবিজাবি ৯ – Platform | CME

Leave a Reply