Blog

Pathophysiology of Anion Gap Metabolic Acidosis ।। হাবিজাবি ২৬

Acidosis কী?
রক্তে এসিডের পরিমাণ বাড়লে অর্থাৎ H+ বাড়লে তাকে acidosis বলে। আর আমরা জানি H+ বাড়লে pH কমে, কারণ pH is the inverse logarithm of H+ concentration। রক্তের স্বাভাবিক pH 7.4, তাহলে বলতে পারি রক্তের pH 7.4 এর কম হলেই তাকে acidosis বলে।

Acidosis দুই প্রকারঃ
1. Metabolic Acidosis
2. Respiratory Acidosis

Metabolic Acidosis:
বিভিন্ন মেটাবলিক কারণে বেশি এসিড তৈরি হয় অথবা কিডনি দিয়ে প্রসাবের সাথে কম এসিড বের হয়।

এসিড বেশি তৈরি হলেও ঝামেলা ছিল না। যে বাফার সিস্টেমগুলোর এসিড বাড়লে সেটাকে কমানোর কথা তাদের পরিমাণ কম, অথবা এত বেশি এসিড তৈরি হচ্ছে যা কমানো বাফার সিস্টেমের সাধ্যের বাইরে।

বাফার সিস্টেম মূলত দুই প্রকারঃ
১। ব্লাড বাফার (অন্যতম বাইকার্বনেট বাফার)
২। টিস্যু বাফার।

Respiratory Acidosis:
ফুসফুস ঠিকমত গ্যাস বিনিময় করে CO2 ও O2 এর মধ্যে ব্যালেন্স করতে পারে না, ফলে CO2 বেড়ে pCO2 বেড়ে যায়।

Metabolic Acidosis হলে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনার মূল চেষ্টাটা করে Respiratory system। এটা বেশ তাড়াতাড়ি হয়।

Respiratory Acidosis হলে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে Metabolic system কিডনির মাধ্যমে। এটা একটু ধীরে ধীরে হয়।


Metabolic Acidosis:

মেটাবলিজমে জারণ বিজারণ বিক্রিয়ায় শরীরে জৈব এসিড তৈরি হয়। কিডনির কাজ হল এই এসিড শরীর থেকে বের করা। কিন্তু কিডনি নিজেই অসুস্থ, তাই ঠিকমত কাজ করতে পারছে না, ফলে শরীরে এসিড জমে যাচ্ছে।

শরীরে এসিড তৈরি হওয়া বাড়ে কিছু কন্ডিশনে, যেমনঃ

  • Diabetic ketoacidosis,
  • Lactic acidosis,
  • Renal tubular acidosis ইত্যাদি।

অথবা এসিড বাড়লে HCO3 বাফারের এটা কমানোর কথা ছিল, তার পরিমাণ কমে গেছে। যেমনঃ

  • Diarrhoea, Fistula হলে HCO3 লস হয়ে কমে যায়
  • Kidney disease এ tubule দিয়ে বেশি HCO3 বের হয়ে যায়।

Metabolic Acidosis আবার দু প্রকার:
1. Normal anion gap
2. Increased anion gap

Anion gap হল cations ও anions এর পার্থক্য।

কিন্তু, এর নাম cation gap ও তো হতে পারতো, তা না হয়ে anion gap কেন হল? কারণ, metabolic acidosis এ মূল ঝামেলা সৃষ্টি হয় anion এর জন্য।

আমরা একটা সমীকরণ জানি, Anion gap এর ক্ষেত্রে; measured cation ও measured anion এর পার্থক্যকে Anion gap বলে।
অর্থাৎ, (Na+K) – (Cl+HCO3)
এর normal level হল 12-16 meq/L

এবার আসি, Normal anion gap Metabolic Acidosis কখন হয়?

খেয়াল করুন,
Anion গুলোর দিকে, দুই কালপ্রিট Cl ও HCO3 পাশাপাশি বসে আছে, যারাই মূল ঝামেলা সৃষ্টি করে। Anion gap দেখলেই এদের কথা চিন্তা করতে হবে।

  • ঘটনা ১ঃ কোন কারণে Cl বেড়ে গেল; যেমনঃ কেউ HCl এসিড বা NH4Cl খেয়ে ফেললো, তাহলে Cl বাড়বে, অর্থাৎ anion gap কমবে, তবুও acidosis হবে!
  • ঘটনা ২ঃ Diarrhoea বা Small bowel fistula তে HCO3 কমে যায়। আবার Renal tubular acidosis এ renal tubule থেকে HCO3 loss হয়।

অর্থাৎ বাফার loss হয় এবং anion gap বেড়ে acidosis হবে।

কিন্তু স্বাভাবিক অংকের নিয়মে হিসাব করলে,
ঘটনা ১ এ anion gap কমে,
আর ঘটনা ২ এ anion gap বাড়ে।

তাহলে এর নাম Normal anion gap কেন?
এর কারণ হল, Cl ও HCO3 একে অপরের জিগরি দোস্ত, একজনের প্রক্সি আর একজন দিয়ে দেয়!

  • Cl বাড়লে automatically কিডনি দিয়ে HCO3 বের হয়ে কমে যায়।
  • আবার renal tubular acidosis এ HCO3 বেশি বেশি বের হলে Cl excretion কমে যায়।

এর ফলে Cl ও HCO3 এর মোট পরিমাণে একটা সাম্যাবস্থা থাকে – তাই anion gap ও normal থাকে। একারণেই একে Normal anion gap metabolic acidosis বলে।

তাহলে, Normal anion gap এর cause গুলো হলঃ

  1. Infusion of exogenous inorganic acid (HCL, NH4Cl): Cl বাড়ে।
  2. Gastrointestional HCO3 loss (Diarrhoea, fistula): HCO3 কমে।
  3. Renal HCO3 loss (Renal tubular acidosis): HCO3 কমে।

এবার আসি Increased anion gap Metabolic Acidosis কখন হয়? Anion gap বাড়বে কেন?

তার আগে মনে রাখা যায়, পরিচিত বন্ধু হলে ক্লাসে প্রক্সি দেওয়া যায়, কিন্তু অপরিচিত হলে প্রক্সি সাধারণত কেউ দেয় না। তার মানে হল, এখানে এমন অপরিচিত কিছু এসিড বাড়ে যাদেরকে ব্যালেন্স করার মত পাশে কোন বন্ধু নাই। ফলে এই অপরিচিত এসিডরা বাড়লেই anion gap বেড়ে যাচ্ছে।

সেই অপরিচিত এসিড বা unmeasured anion গুলো হলঃ

  • Ketones,
  • Lactate,
  • Salicylate,
  • Formate,
  • Glycolate,
  • Oxalate,
  • Sulphate,
  • Phosphate ইত্যাদি।

তাহলে, Increased anion gap এর cause গুলো মনে রাখা এখন সহজ। যেমনঃ

  1. Diabetic ketoacidosis (ketones বাড়ে)
  2. Lactic acidosis (lactate বাড়ে)
  3. Aspirin poisoning ( salicylate বাড়ে)
  4. Methanol poisoning (formate বাড়ে)
  5. Ethanol poisoning (glycolate বাড়ে)

Diagnosis:
এর জন্য মূলত ABG বা Arterial blood gas analysis করা হয়। এটা দিয়ে আমরা রক্তের H+, pH, pCO2 ও HCO3 লেভেল দেখতে পারি, পাশাপাশি Serum electrolyte ও করতে পারি।

Metabolic বা Respiratory যেটাই হোক না কেন, Acidosis হলেই H+ concentration বাড়বে (>40 nmol/L) অর্থাৎ pH কমবে (<7.4)।

এখন Metabolic Acidosis এ anion gap সমীকরণে এ HCO3 কমবে (<24mmol/L), সাথে Respiratory compensation হিসেবে রক্ত থেকে CO2 বের হয়ে pCO2 ও কমবে (<5.33 kPa)। অর্থাৎ HCO3 ও pCO2 দুটোই কমবে।

আমার মুখস্ত শক্তি খুবই কম, আর এগুলো মুখস্ত করে মনে রাখাটাও কঠিন, কিন্তু খুবই প্রয়োজনীয়।
আশা করি কিছুটা হলেও কাজে লাগবে।

ডা. কাওসার উদ্দীন
ঢামেক, কে-৬৫

প্ল্যাটফর্ম একাডেমিক / সাঈদা আলম

Leave a Reply