Blog

গল্পে গল্পে গাইটন(পর্ব ১)।। High Altitude Physiolgy

আমাদের চারপাশে Sea Level এ Atmospheric Pressure থাকে 760mmHg .আমরা যখন উঁচুতে উঠে যাই,ধরুন ১০০০০ফিট উপরে উঠে গেলেন আপনি,তখন কিন্তু আপনার Atmospheric pressure টা আর আগের মতো থাকবেনা।কমে যাবে আগের থেকে অনেক,P(O2) ও কমে যাবে আগের থেকে।তাই আপনার শরীরের জন্য যতটুকু অক্সিজেন দরকার,ততটুকু অক্সিজেন আপনার ফুসফুস আপনাকে দিতে ব্যার্থ হবে।একজন আরোহী যখন উঁচুতে উঠে যায়,তার শরীরে কি কি পরিবর্তন আসে সেটা নিয়েই আমার এই লেখা।


Fig: Physiology in high altitude.

আপনার চারপাশে অক্সিজেন কম হওয়ায়,আপনার ফুসফুসে থাকা এলভিওলাই গুলো অক্সিজেন কম পাবে,নরমালি এলভিওলার প্রেশার থাকে অক্সিজেনের 104mmHg, ধরে নিলাম ১০০০০ফুট উপরে গিয়ে প্রেশার কমে 60mmHg হয়ে গেলো।একটা Hypoxic State তৈরি হয়ে গেলো।আপনার পালমোনারী আর্টারীতে করে আসা দূষিত ব্লাড টায় অক্সিজেনের প্রেশার আছে 40mmHg,ব্যাপন প্রক্রিয়াতে বেশি প্রেশার থেকে কম প্রেশারের দিকে অক্সিজেন ধাবিত হবে,অর্থাৎ ফুসফুসে থাকা অক্সিজেন চলে যাবে পালমোনারী আর্টারীতে।পালমোনারী আর্টারীতে এখন অক্সিজেনের প্রেশার হয়ে গেলো 60 mm Hg।সে এখন ৪টা পালমোনারী ভেইন দিয়ে চলে আসবে Left Atrium &,Left Ventricle হয়ে Ascending Aorta,Arch of Aorta তে আসবে।Arch of Aorta এর একটা Branch হলো Common Carotid Artery,সেখানে একটা সেল বডি থাকে,সেটার নাম Carotid Body। আরেকটা সেল বডি থাকে এওর্টায়,যেটার নাম Aortic Body. Carotid body এর সাথে সংযুক্ত থাকে Glossopharyngeal nerve,Aortic Body এর সাথে যুক্ত থাকে Vagus nerve। যেহেতু অক্সিজেনের পরিমানটা এখানে বেশ কম,তাই এওর্টা দিয়ে ব্লাড যাবার সময় এই দুইটা বডি Stimulate হবে,তাই দুইটা নার্ভ ও উত্তেজিত হবে।সেই উত্তেজনা সোজা চলে যাবে রেস্পিরেটরি সেন্টারে,যেটা ব্রেইনে অবস্থিত,সেখানে।উত্তেজিত নবম এবং দশম নার্ভ Pneumotaxic and Apneuostic Center কে উত্তেজিত করে, DRG and VRG stimulate হয়।যেই উত্তেজনা চলে যায় ব্রেইনের পনস এবং মেডুলায় অবস্থিত সেল বডিতে।এখান থেকে দুটো নার্ভ আসে,নাম Phrenic Nerve and Intercostal nerve। এই দুটো নার্ভ উত্তেজিত হয়।এতে ডায়াফ্রাম আর ইন্টারকোস্টাল মাসল দ্রুত কাজ করে।Ventilation দ্রুত হয়,আমরা বেশি বেশি Respiration চালাই।এতে আমাদের অক্সিজেন শরীরে বেশি প্রবাহিত হয় ফুসফুসের মাধ্যমে।


Fig: Physiology in high altitude.

এবার আসি CO2 এর ব্যাপারে।বেশ উপরে ওঠার কারনে আমাদের চারপাশে PCO2 কমে যাবে,সাধারনত 40mmHg থাকে,সেটা কমে গিয়ে ধরে নিলাম 25mmHg হয়ে গেলো।তাহলে আমার ফুসফুসে PCO2 আছে ২৫,আমার পালমোনারী ভেইনে আছে 45mmHg,পালমোনারী ভেইন থেকে ব্যাপন হয়ে CO2 চলে যাবে এবার ফুসফুসে।ব্যাপন হবার পর পালমোনারী ভেইনে PCO2 হয়ে গেছে 25 mmHg।কার্বনডাইঅক্সাইড বেশ কমে এবার ৪টা পালমোনারী ভেইন হয়ে চলে যায় হার্টে,তারপর পুরো দেহে।CO2 শরীরে কমে গেলে আবার মহা সমস্যা,কারণ CO2 আমাদের ব্রেইনের Blood Brain Barrier cross করে চলে যায়,তারপর পানির সাথে বিক্রিয়া করে H2CO3 তৈরি করে,যা ভেঙে গিয়ে প্রোটন আর কার্বনিক এসিড হয়।এই প্রোটনের আছে বিরাট ভুমিকা।আগেই বলেছিলাম,আমাদের রেস্পিরেটরি সেন্টার আছে একটা pons and medulla তে।প্রোটন(H+) সেই সেন্টার কে উত্তেজিত করে,এতে Phrenic nerve and intercostal nerve উত্তেজিত হয়,এতে আমাদের ventilation বাড়ে।তো CO2 কমে গেলো!প্রোটন কম উৎপাদিত হবে,এতে আমাদের রেস্পিরেটরি রেইট কমে যাবে,আমরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন এখন কোনভাবেই পাচ্ছিনা।এটা বড় ধরনের সমস্যা।কাটিয়ে উঠার জন্য এ সমস্যা,আমাদের শরীর কিছু কাজ করে থাকে।প্রথমতো,আমাদের কিডনী কাজ করে,কিডনীর নেফ্রনে এক ধরনের সেল থাকে,Intercalated B Cell।সেখানে CO2 ঢুকবে,ঢুকে পানির সাথে বিক্রিয়া করে H2CO3 তৈরি করে প্রোটন আর বাইকার্বনেটে ভেঙে যাবে।আমার শরীরে যেহেতু এখন প্রোটন দরকার,তাই প্রোটন টা ব্লাড ভেসেল নিবে,আর বাইকার্বনেট চলে যাবে Collecting Duct এ।সেটা ইউরিন দিয়ে বের হয়ে যাবে।তাহলে আমার শরীর এখন বেশি H+ পাচ্ছে,আমার প্রোটনের চাহিটা মিটে যাচ্ছে,এতে আমার সেল বডিকে পর্যাপ্ত উত্তেজিত করা হচ্ছে এবং Ventilation বেড়ে যাচ্ছে।এবার নেফ্রনের PCT এ একধনের Hypoxic Indusible Factor থাকে,যেটা PO2 কমে যাবার কারনে ইনহিবিট থাকে।সেখানে থাকে gene তখন উত্তেজিত হয়,এতে Erythropoietin নামক হরমোন আসে,যেটা bone marrow তে গিয়ে বেশি বেশি RBC তৈরি করতে থাকে।তাহলে আমার বেশি RBC তৈরি হলো,hb ও বেড়ে গেলো,এতে আমার অক্সিজেন বহন ক্ষমতা বাড়বে,তাই বেশি অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করবে।আমাদের শরীরে Gas Exchange এর ক্ষমতা বাড়বে।এবার ধরুন,অনেকদিন যাবোত হিমালয়ে আছেন,সমতল মাটি থেকে অনেক উপরে,আপনার শরীরে একটা Change আসবে।আপনার শরীর যেহেতু অক্সিজেন পাচ্ছেনা,বিশেষ কিছু কোষ তৈরি হবে,যেগুলো একটা বিশেষ ফ্যাক্টর তৈরি করে যার নাম Vascular Endothelial Growth Factor(VEGF)।এটা নতুন নতুন ব্লাড ভেসেল তৈরিতে সাহায্য করবে ক্যাপিলারি পর্যায়ে।নতুন নতুন ব্লাড ভেসেল তৈরি হলে ব্লাড ফ্লো বাড়বে,অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়বে।এই নতুন ব্লাড ভেসেল তৈরি হওয়াকে বলা হয় Angiogenesis।এভাবেই আমাদের শরীর চেষ্টা করে চারপাশে কম অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও মানিয়ে নিতে।উঁচুতে অনেকদিন অবস্থানের কারণে কিছু সমস্যা দেখা দেয়।অক্সিজেন বেশ কমে যাওয়ায় ব্রেইনের ব্লাড ভেসেল গুলো vasodialate করে,এতে বেশি ব্লাড প্রবাহিত হয় রক্তনালী দিয়ে,বেশি ফ্লুইড লিকেজ হয় interstitial space of brain এ,এতে ফ্লুইড জমে জমে cerebral edema হয়ে যায়।এটা রুখতে যারা আরোহী তাদেরকে আমরা Acetazolamide,O2 supplementation,Mannitol,Dexamethasone দিয়ে থাকি অবস্থা ভেদে।ফুসফুসে প্রবাহিত রক্তনালীগুলো কম CO2 এর কারনে চুপসে যায়,Constriction করে।কিছু কিছু নালী একেবারেই চুপসে যায়,কিছু কিছু হালকা চুপসানো থাকে।হালকা চুপসানো নালীতে সব রক্ত প্রবাহিত হতে গিয়ে ফ্লুইড লিকেজ ঘটে।এতে ফ্লুইড জমা হয় ফুসফুসে।একে বলা হয় Pulmonary edema.Cerebral edema and Pulmonary edema হওয়ার এই ঘটনাকে বলা হয় Acute Mountain Syndrome। যারা হিমালয়ে জন্মগ্রহন করে তাদের Barrel Shape Chest থাকে আর Right Ventricle টা স্ট্রং থাকে,এতে তারা অনেক বেশি বাতাস কনজিউম করতে পারে আর ফুসফুসে রক্ত বেশি পাঠাতে পারে।

Md.Moinul Islam Chattogram Ma-O-Shishu Hospital Medical College Session:2017-18

প্লাটফর্ম একাডেমিক /আকমার আঞ্জুম কাফি

20203 comments1 share

LikeComment

Share

Leave a Reply