Blog

What We Should Know about Stroke

Stroke

প্রতি দুই সেকেন্ডে এই পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে কেউ না কেউ stroke করছেন এবং পৃথিবীতে প্রতি ছয়জন মানুষের মাঝে একজন তার জীবনের যে কোন একটা পর্যায়ে এসে stroke করেন। Stroke মানে হলো আমাদের মস্তিষ্কের মাঝে oxygen supply কমে যাওয়া এবং এটা আমাদের পৃথিবীতে মৃত্যুর খুব সাধারণ কারণগুলোর মাঝে একটা। মৃত্যুর পাশাপাশি এটা মানুষকে বিকলাঙ্গ করে দেয় এবং ব্যক্তির কর্মজীবনের ইতি টানে।

কেউ stroke করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাটা খুবই জরুরি। এই সিদ্ধান্ত যত দ্রুত নেওয়া যাবে, মস্তিষ্কের ক্ষতি হবার সম্ভাবনাও ততো কমে আসবে।

যে কারণে stroke সংগঠিত হয়ঃ

আমাদের মস্তিষ্ক সারা শরীরের ওজনের মাত্র দুই ভাগ বহন করে থাকে। কিন্তু এই ছোট্ট যন্ত্রটি সারা শরীরের মোট oxygen এর বিশ ভাগকে একাই খরচ করে থাকে। Oxygen রক্তের মাধ্যমে কিছু রক্তনালী বেয়ে, যেমন- Carotid Artery, Vertebral Artery হয়ে brain এ প্রবেশ করে। Carotid Artery আমাদের মস্তিষ্কের সামনের দিকের অংশে এবং Vertebral Artery মস্তিষ্কের পেছনের দিকের অংশে রক্ত চলাচল বজায় রাখে। Vertebral এবং Carotid Artery একসাথে যোগ হয়ে brain এর ভেতরে একটি কাঠামো তৈরি করে, একে আমরা বলি Circle Of Willis যেটা পরবর্তীতে অনেকগুলো ছোট ছোট শাখায় বিভক্ত হয়ে পুরো মস্তিষ্কের বিলিয়ন বিলিয়ন নিউরনে oxygen, glucose এর সাপ্লাই দিয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়।

যদি এই রক্তনালিকাগুলো দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে না পারে কিংবা আংশিক প্রবাহিত হতে পারে, তাহলে মস্তিষ্কের কোষগুলো ঠিকমতো oxygen পায় না৷ তখন মস্তিষ্কের কোষগুলো oxygen এর অভাবে মৃত্যুবরণ করে।

দুইটা পদ্ধতিতে এই পুরো ব্যাপারটা ঘটতে পারেঃ

1) Hemorrhagic Stroke: যখন কোন রক্তনালি ছিদ্র হয়ে যায় এবং সেই ছিদ্র দিয়ে রক্ত Leak হয়। এটা তুলনামূলকভাবে কম ঘটে।

2) Ischemic Stroke: এটা খুব বেশি ঘটে থাকে। যখন রক্তনালী ব্লক হয়ে যায় কিংবা রক্ত প্রবাহিত হতে পারেনা ঠিকমতো রক্তনালি দিয়ে, তখন Ischemic Stroke হয়।রক্তনালী যে উপাদান গুলো জমে ব্লক / বন্ধ হয়ে যায়, একে আমরা বলি Clot।

Heart এর চারটা chamber থাকে। কোন কারণে উপরের chamber গুলো যদি ঠিকমতো কাজ না করতে পারে, রক্তপ্রবাহ ধীর গতিসম্পন্ন হয়ে যায়। ফলে Platelet, Clotting Factor, Fibrin একসাথে মিলে গিয়ে তৈরি করে Clot। এই Clot heart থেকে রক্তের মাধ্যমে ভেসে গিয়ে সোজা চলে যেতে পারে মস্তিষ্কে। Clot মস্তিষ্কের রক্তনালীতে আটকে যায়, এই ঘটনাটাকে বলা হয় Embolism। এতে রক্ত সামনের দিকে যেতে পারে না, ফলে oxygen supply পায় না মস্তিষ্কের কোষগুলো।

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোতে কোন pain receptor নেই। তাই, রক্তনালি গুলো ব্লক হয়ে গেলেও ব্যক্তি ব্যথা অনুভব করেন না। কিন্তু, oxygen supply কমে যাওয়ায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এটা হঠাৎ দেখা দিতে পারে এবং সবাই বুঝতে পারে যে কিছু একটা ওলট-পালট হচ্ছে।

যেমন, যদি মস্তিষ্কের stroke এর জায়গাটা কথা বলার সেন্টার (Speech Center) হয়, তাহলে ব্যক্তির কথা জড়িয়ে আসবে। যদি মস্তিষ্কের stroke এর জায়গাটা ব্যক্তির পেশিকে নিয়ন্ত্রণ করে তেমন কোন জায়গা হয়, তাহলে পেশিগুলো দূর্বল হয়ে যাবে। এটা শরীরের যে কোন এক সাইডে পেশি হবার সম্ভাবনা বেশি।

Stroke হবার সাথে সাথে আমাদের মানবদেহ চায় সেটাকে যতটুকু সম্ভব দমিয়ে রাখতে (Compensate করতে)। তাই শরীরের সিস্টেমগুলো তখন বেশি বেশি রক্ত প্রবাহ ঠেলে দিতে চায় ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্কের অংশে। কিন্তু এই অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ তেমন কোন ভালো ফলাফল তখন আর আনতে পারে না।

আস্তে আস্তে oxygen না পেয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে থাকে, ফলে Permanent Brain Damage হতে পারে। এই কারণেই stroke এর পেশেন্টদের খুব দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া জরুরী।

Treatment Of Stroke:

প্রথমতো, Clot টাকে সরানোর জন্য একটা Intravenous Medication দেয়া হয়, যেটা হলো Tissue Plasminogen Activator(TPA)। এটা Clot কে ভেঙে ফেলে এবং রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক করে দেয়। এটা যদি stroke এর কয়েক ঘন্টার মাঝে দেয়া যায়, তখন আক্রান্ত ব্যক্তি ক্ষতির মুখ থেকে অনেকাংশেই বেঁচে ফেরে।

যদি Tissue Plasminogen Activator দেয়া না যায়। যেমনঃ রোগী কিছু ওষুধ আগে থেকে নেবার কারণে কিংবা রোগীর আগে কোন অত্যধিক রক্তপাতের হিস্ট্রি থাকলে, কিংবা Clot টা যদি অনেক বড় হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা Endovascular Thrombectomy করে থাকেন।

এক্ষেত্রে, একটা Dye(রং) ব্যবহার করা হয়, যেটা রক্তে প্রবেশ করে মস্তিষ্কের কোন জায়গায় ব্লক আছে সেটা এক্সরে তে তুলে ধরতে সাহায্য করে। ডাক্তার একটা চিকন ফ্লেক্সিবল টিউব যেটার নাম ক্যাথেটার (Catheter) প্রবেশ করান পায়ের রক্তনালির ভেতর দিয়ে। সেটা পুরো রক্তনালী হয়ে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে, যেখানে ব্লকটা আছে ঠিক সে জায়গায়।সেই ক্যাথেটার এর ভেতরে একটা Retriever প্রবেশ করিয়ে পাম্পিং করে Clot টাকে টেনে বের করে আনা হয়। এতে রক্তপ্রবাহ পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে আসে। এই পদ্ধতিটা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হয়, যাতে মস্তিষ্কের ক্ষতিটা এড়ানো যায়।

যেভাবে বোঝা যাবে একজন ব্যক্তি স্ট্রোক করতে যাচ্ছেন :

◾ F.A.S.T টার্মটা দিয়ে আমরা মনে রাখি। এটি দ্বারা বুঝানো হয়-

1) Facial Drooping: ব্যক্তিকে হাসতে বললে ব্যক্তির মুখের পেশিগুলো দূর্বল থাকায় হাসিটা ঠিকমতো প্রকাশ পারে না, মুখের একপাশ বেঁকে যেতে পারে।

2) Arm Weakness: ব্যক্তিকে হাত উপরে তুলতে বললে, সে যদি অক্ষম হয়, সেটাও পেশির দুর্বলতা প্রকাশ করবে এবং stroke এর লক্ষণ।

3) Speech: তাদেরকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে, কথা বলতে গিয়ে যদি শব্দগুলো জড়িয়ে যায়, তাহলেও stroke এর লক্ষণ।

4) Time: উপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে যতো দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

যাদের stroke হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকেঃ

a)Hypertension/ High Blood Pressure

b)Smoking

c)Diabetes

d)High Cholesterol Level

Recovery Of Stroke: ধীরে ধীরে stroke সেরে উঠতে পারে ব্যক্তি বিশেষে।অনেকের মস্তিষ্কের কিছু অংশে ক্ষতি হয়ে যায়, অনেকেই ভালো হয়ে ওঠে অনেকটাই। কিছু থেরাপি, যেমন- Speech Therapy, Physical Therapy, Occupational Therapy কারো কারো ক্ষেত্রে কাজে দেয়। Depression দেখা দিতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যেটা কাটিয়ে উঠার জন্য তাকে মানসিক ভাবে মনোবল দিতে হবে আশেপাশের মানুষদেরকেই।

Moinul Islam
Chattogram Ma-O-Shishu Hospital Medical College
Session:2017-18

প্ল্যাটফর্ম একাডেমিক/ তানজিনা সুলতানা অর্নি

Leave a Reply