Blog

Let’s talk about Seizure

★Seizure হচ্ছে একপ্রকার neurological সমস্যা যা brain এর অস্বাভাবিক electrical discharge এর জন্য হয়ে থাকে। Seizure এ মূলত Movement আর আচরণগত কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়।

Seizure কোনো কোনো মানুষের জীবনে কেবল একবার হয়ে থাকে, যাকে single episodic seizure বলা হয়। আবার কারো বারবার হয়ে থাকে, এটাকে বলে Recurrent seizure।

★Epilepsy: বারবার seizure আক্রান্ত হলে তখন এই অবস্থাকে বলে epilepsy।
Epilepsy কে বাংলাতে মৃগী রোগ বলা হয়।

★Seizure এর উপসর্গঃ

  1. মাংসপেশি সংকুচিত হওয়া, কিংবা সহজে বললে
    শরীরের কোনো অংশে খিঁচুনি আসা কিংবা পুরো শরীরে খিঁচুনি আসা।
  2. হাত পায়ে অস্বাভাবিক ভাবে খিঁচুনি এসে হাত পা ভাঁজ করে ফেলা।
  3. মাংশপেশি সমূহ শক্ত হয়ে যাওয়া অর্থাৎ Muscle rigidity।
  4. হাত পায়ে অস্বাভাবিক ভাবে ঝাঁকুনি আসা।
  5. অচেতন হয়ে যাওয়া।
  6. জিহবায় কামড় দেওয়া।
  7. হঠাৎ করে শরীরের কোনো অংশ অবেচতন হয়ে যাওয়া।
  8. খিঁচুনি এসে দাড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যাওয়া।
  9. খিঁচুনির সাথে প্রস্রাব পায়খানা করে দেওয়া।
  10. মুড অফ হয়ে যাওয়া।

Seizure attack হবার কিছুটা সময় পূর্বে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, যা থেকে বুঝা যাবে যে, সে কিছুক্ষন পর seizure এ আক্রান্ত হবে।
যেমন:

  1. আচরণে পরিবর্তন আসা।
  2. Irritability কিংবা বিরক্তিকর অবস্থা তৈরি হওয়া।
  3. Anxiety।
  4. ঘুম কমে যাওয়া।
  5. Hallucination হওয়া।
  6. photophobia হওয়া

প্রকারভেদ:

★Seizure কে প্রথমত দুইভাগ ভাগ করা যায়..

  1. Focal seizure
  2. Generalized seizure

★Focal seizure :
এই seizure এ brain এর যে কোনো নির্দিষ্ট এক পাশে অস্বাভাবিক electrical discharge হবে, এবং শরীরের নির্দিষ্ট একটি অংশে seizure এর উপসর্গ অর্থাৎ খিঁচুনি, ঝাঁকুনি ইত্যাদি দেখা দিবে। একে partial seizure ও বলা হয়।।

★Focal seizure এর উপসর্গ :

  1. যে কোনো এক পাশের শুধু হাতে কিংবা পায়ে কিংবা একই পাশের হাতে পায়ে ঝাঁকুনি কিংবা খিঁচুনি আসবে।
  2. Dizziness কিংবা মাথা ঘোরানো।
  3. দেখতে সমস্যা হওয়া।
  4. অচেতন হয়ে যাওয়া।

partial seizure এ আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে গেলে এইটাকে complex partial seizure বলে।

আর যদি অচেতন না হয়, তাহলে এইটাকে simple partial seizure বলে।

★Generalized seizure

যদি brain এর উভয় অংশে অস্বাভাবিক electrical discharge হয়, তবে এই অবস্থাকে Generalized Seizure বলে। এতে করে উপসর্গ শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অংশে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পুরো দেহজুড়ে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

Generalised seizure এর বিভিন্ন প্রকার রয়েছে:

  1. Generalised tonic clonic seizure

a) Tonic phase:
এই অবস্থায় muscle tone অস্বাভাবিক ভাবে পরিবর্তন হবে, Muscle spasm হবে, মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাবে। Respiratory পেশি আর laryngeal পেশি সমূহের Spasm এর কারণে রোগী কান্নার মত শব্দ করবে। এই অবস্থা সাধারণত ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

b) Clonic phase:
Clonus দেখা দিবে। Jerky movement কে clonus বলা হয়।
Muscle spasm এর পরপর হাত কিংবা পায়ে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি / খিঁচুনি আসবে, তখন জিহবায় কামড় পড়তে পারে, মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে পড়বে, অনৈচ্ছিক মূত্র / মল ত্যাগ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থা ১-৩ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

c) Postictal phase:
মাংসপেশি সমূহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে, হাত পা যা ভাঁজ হয়ে গিয়েছিলো তা ছেড়ে দিবে, patient কিছু সময়ের জন্য অচেতন থাকবে, কয়েক মিনিটের মধ্যে Consciousness ফিরে আসবে তবে confused এবং
Disoriented থাকবে। (স্থান কাল পাত্র সম্পর্কে অবচেতন থাকাকে Disoriented বলে।)
এবং এর পর প্রায় ১ঘন্টা পর্যন্ত মাথা ব্যাথা থাকতে পারে। এরপর পরিপূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে যদি পড়ে গিয়ে head injury না হয়ে থাকে।

উপরের তিন বৈশিষ্ট থাকলে এইটাকে বলে
Generalised tonic clonic seizure। একে grand mal seizure ও বলে।

  1. Atonic seizure
    এই seizure এর ক্ষেত্রে muscle tone loss হয়ে যাবে, যার কারণে Muscle Control থাকবেনা। রোগী দাড়ানো থেকে পড়ে যাবে। এই সিজারের ক্ষেত্রে head injury হবার risk বেড়ে যায়।
  2. Myoclonic seizure
    এই ক্ষেত্রে হাত কিংবা পায়ের মাংসপেশিতে jerky movement দেখা দেয়, ঝাঁকুনি এসে হাত কিংবা
    পায়ের পেশিসমূহ Twitching হয়ে যায়।
  3. Absence seizure
    রোগী হঠাৎ করে অবচেতন হয়ে যায়, তার শরীরের যে কোনো একটি অংশ হঠাৎ করে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়, দেখা যাবে হঠাৎ একটি হাত ২০-৩০ সেকেন্ডের জন্য থমকে যায় কিংবা হঠাৎ করে patient উপরের দিকে কিংবা কোনো দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে, তাকে ডাকলে কিংবা নাড়া দিলেও সে বলতে পারেনা। এটা মূলত ১৪ বছরের নিচের বাচ্চাদের হয়ে থাকে।

seizure এর কারণ কি?

  1. Primary cause: Idiopathic অর্থাৎ হঠাbrain এর মধ্যে কোনো Organic pathology ব্যতীত অস্বাভাবিক electrical discharge হয়, যার কারণে seizure হয়ে থাকে। এটাই সবচেয়ে common।
  2. Secondary Cause:
    (1) মস্তিস্কে কোনো আঘাত পাওয়া
    (2) Liver cirrhosis
    (3) Heart failure
    (4) Kidney failure
    (5) Meninges এবং brain infection অর্থাৎ meningitis, encephalitis, cerebral abscess, cerebral malaria, tuberculosis ইথ্যাদি।।
    (6) Inflammation: SLE (Systemic lupus erythematosus), Vasculitis ইত্যাদি।
    আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে Hypoglycemia এবং Electrolyte Disturbance।

চিকিৎসা:
patient কে তার রোগ সম্পর্কে counseling করতে হবে।
কোনো Organic সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা দিতে হবে এবং prophylaxis হিসাবে Anti-Epileptic drugs ব্যবহার করতে হবে।

কারো seizure attack এর সময় আশেপাশে যারা থাকবে তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তির যেনো head injury না হয়, তা সুনিশ্চিত করা। গ্রামে এই রোগ টাকে খুব নেগেটিভ ভাবে দেখা হয়, মৃগী রোগ হিসাবে পরিচিত। গ্রামের মানুষ অজ্ঞতাবশত seizure attack এর সময় রোগীর নাকের সামনে জুতা ধরে রাখে ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য, আর মনে করে জুতার ঘ্রাণে সুস্থ হয়ে যায়, এটা অযৌক্তিক কথা, seizure এ আক্রান্ত হলে একমাত্র কাজ হচ্ছে রোগীকে শুধু দূর্ঘটনার ঝুঁকির স্থান থেকে দূরে সরিয়ে বাম কাঁত করে রেখে জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কমপক্ষে একজন মানুষকে পাশে থাকতে হবে। মুখে কিছু দেওয়া যাবেনা।

আবার অনেকে epilepsy কে জ্বীনের সমস্যা বলে তান্ত্রিকের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে, এতে করে patient এর মধ্যে psychological সমস্যা তৈরি হয়। তাই এইসব না করে neurologist এর অধীনে চিকিৎসা নিবে। কারণ seizure অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে, পুকুরে কিংবা নদীতে কিংবা রাস্তাঘাটে seizure এ আক্রান্ত হলে accident হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তাই আসুন, সঠিক চিকিৎসা নিতে সবাইকে উৎসাহিত করি।

Ismail Azhari
Dhaka Community Medical college
Session : 2013-14

প্ল্যাটফর্ম একাডেমিক / তাসনিম হক

Leave a Reply