Blog

শাবানা আলমগীরের Kawasaki disease নিয়ে একটি সংসারের গল্প

শাবানা আর আলমগীর এর ছোট্ট সংসারে ৫ বছরের একটি মেয়ে। কিন্তু বেশ কদিন ধরেই শাবানার মেয়ের গায়ে বেশ জ্বর, চোখ টা লাল হয়ে আছে, মেজাজ টাও বেশ খিটখিটে! শাবানা ভাবলো আজকে আলমগীর অফিস থেকে আসলেই মেয়ে কে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে যাবে! অতঃপর সন্ধ্যায় আলমগীর এলে শাবানা আর আলমগীর মেয়ে কে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে গেলেন। ডাক্তার কিছু কিছু পরীক্ষা করার পরে এসে বসলেন! তার মুখটা একটু গোমড়া দেখাচ্ছে!

শাবানাঃ ডাক্তার, কি হয়েছে আমার মেয়ের?

ডাক্তারঃ আমার মনে হচ্ছে Kawasaki disease। বাকিটা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে বোঝা যাবে!

আলমগীরঃ ডাক্তার, Kawasaki disease কি? আমরা তো আসলে কিছুই বুঝতে পারছিনা!

ডাক্তারঃ আমি শুরু থেকে বলছি তাহলে, Tomisaku Kawasaki নামের Japanese pediatrician সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে ইংরেজী চিকিৎসা বিষয়ক রচনায় এই রোগের নাম উল্লেখ করেন (Disease এর নাম তার নামে নামকরণ করা হয়েছে)।

Fig: Initiation of Kawasaki Disease

তিনি লক্ষ্য করেন যে কিছু শিশুর জ্বর, চামড়ায় দানা, Inflammation of the eye ( চোখের প্রদাহ ), Enanthem ( গলা ও মুখ গহ্বর লাল ), হাত, পা ফোলা এবং গলায় বড় lymph node আছে। প্রথমে এই রোগকে Mucocutaneous lymph node syndrome বলা হতো। কয়েকবছর পরে heart disease যেমন Coronary aneurysms ( রক্তনালীর অস্বাভাবিক প্রসারণ ) ও দেখা যায়।

Kawasaki disease হলো vasculitis এর একটি ধরন, যেখানে blood vessels inflamed হয়ে থাকে। কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে coronary artery aneurysm হয় heart এ।

আলমগীরঃ ডাক্তার, এরকম রোগের কথা আগে তো শুনি নি!

ডাক্তারঃ হ্যাঁ, Kawasaki disease একটি বিরল রোগ, Henoch-Schonlein purpura এর মতই শৈশবের vascular disease। Kawasaki disease পৃথিবীর সবদেশেই পাওয়া যায় যদিও জাপানে সবচেয়ে বেশী। ডিজিজ ৫ বছরের নীচের বাচ্চাদের হয়। সবচেয়ে বেশী হয় ১৮ থেকে ২৪ মাস বয়সে। ৩ মাসের নীচে বা পাঁচ বছরের উপরে এই রোগ সাধারণত হয় না কিন্তু হলে Coronary artery dilation এর ঝুঁকি বেশী থাকে। এটা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশী হয়। যদিও Kawasaki disease বছরে যেকোন সময়ই হতে পারে তবে শীতকালের শেষে এবং বসন্ত ঋতুতে এটা বেশী দেখা যায়।

শাবানাঃ কিন্তু ডাক্তার এই রোগের কারণ কি?

ডাক্তারঃ ভালো প্রশ্ন করেছেন কিন্তু Kawasaki disease এর কারণ অজানা তবে ধারণা করা হয় যেকোন infection বা abnormal immune response এর জন্য এই disease হয়ে থাকে।

শাবানাঃ (কান্না কন্ঠে) এটা কি congenital disease? আমার বাচ্চার কেন এই disease হলো? এটা কি prevention করা যায়? এটা কি contagious?

ডাক্তারঃ Genetic disease ধারণা করা হলেও এটা congenital disease নয়। পরিবারের একাধিক সদস্যের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এটা contagious না এবং এক বাচ্চার থেকে অন্য বাচ্চার হয় না। এখন পর্যন্ত এই disease prevention এর কোন উপায় জানা নেই। একই রোগীর এই disease দ্বিতীয়বার হবার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।

ডাক্তারঃ এবার আমি বলি কী কী sign symptoms দেখে আমি Kawasaki disease opinion দিলাম!

Fig: Sign symptoms of Kawasaki Disease

Sign symptoms of Kawasaki disease:

◼ Disease টি ব্যাখ্যাতীত Fever ( 39–40 °C remittent ) দিয়ে শুরু হয়।
◼ শিশু সাধারণত খুব খিটখিটে ( extreme irritability ) থাকে।
◼ Fever এর সাথে বা পরে চোখে Bilateral conjunctival inflammation ( দুই চোখ লাল ) হতে পারে।
◼ Erythema এবং induration হতে পারে BCG vaccination এর সাইটে।
◼ মুখের পরিবর্তনের মধ্যে আছে red tongue, swollen lips এবং bleeding। মুখের mucosa এবং গলা গাঢ় লাল রঙ ধারণ করে। জিহ্বা তে typical “strawberry tongue” দেখা যায়।
◼ Cervical lymphadenopathy দেখা যায় 50% থেকে 75% of বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।

শাবানাঃ ডাক্তার, মারাত্মক কোন লক্ষণ কি দেখা যেতে পারে?

Fig: Heart Problem in Kawasaki Disease

ডাক্তারঃ হ্যাঁ পারে। Kawasaki disease এর সবচেয়ে মারাত্নক জটিলতা হলো heart আক্রান্ত হওয়া। Myocarditis (heart এর muscle এ inflammation), pericarditis (heart এর pericardium এ inflammation), tachycardia (দ্রুত heart rate), valvular heart disease (heart এর vulve damage হয়ে যায়) হতে পারে।

আলমগীরঃ ডাক্তার, কিভাবে বুঝব যে এটাই Kawasaki Disease? আর আমার মেয়ে কিভাবে সুস্থ হবে?

ডাক্তারঃ দেখুন, এই Disease এর কোন specific laboratory test নেই! Diagnosis করা হয় clinical signs-symptoms দেখে! নিচের ৫ টি criteria দেখেই মূলত sure হওয়া যায়।

Fig: Diagnostic Criteria of Kawasaki Disease

Diagnostic criteria of Kawasaki disease :
◼ Erythema of the lips
◼ Rash on the trunk
◼ Swelling or erythema of the hands or feet
◼ Red eyes ( conjunctival injection )
◼ Swollen lymph node in the neck of at least 15 mm

এছাড়া Laboratory test ও করা যায় কিছু!

Laboratory test:
♦ Blood tests
♦ Complete blood count ( CBC ) করা যেতে পারে যেখানে thrombocytosis পাওয়া যাবে সাধারণত।
♦ Erythrocyte sedimentation rate ( ESR ) অনেক বেশি থাকতে পারে।
♦ Liver function tests করালে hepatic inflammation দেখা যেতে পারে এবং serum albumin level কম থাকতে পারে।
♦ Electrocardiogram করলে of ventricular dysfunction দেখা যেতে পারে। সাধারণত এই পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলো করলে বোঝা যাবে।

ডাক্তারঃ ভয় পাওয়ার কিছু নেই আলমগীর সাহেব। অধিকাংশ শিশু ভালো হয়। তবে কিছু কিছু বাচ্চার সঠিক treatment দেয়ার পরেও heart disease হতে পারে। এবার আসি এর treatment কিভাবে করব!

Treatment of Kawasaki Disease:
শিশু Kawasaki disease আক্রান্ত হলে বা সন্দেহ হলে heart আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা পর্যালোচনা ও রোগীকে পর্যবেক্ষনের জন্য অবশ্যই hospital এ ভর্তি করা উচিৎ।

◼ Intravenous immunoglobulin ( Gamma globulin ) coronary artery problems গুলোকে কমাতে সাহায্য করে।

Aspirin:
Aspirin এর High doses inflammation কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও pain, joint inflammation, fever কমাতেও help করে।

শাবানাঃ ডাক্তার ওই medicine গুলো আমাদের মেয়ের কোন ক্ষতি করবে না তো?

ডাক্তারঃ সাধারণত না, তবে বলা হয় aspirin বাচ্চাদের না দিতে। Aspirin অনেকটাই linked Reye’s syndrome (যেখানে liver এবং brain এর swelling হয়ে life threatening condition এর সৃষ্টি হয়) এর সাথে।

সবচেয়ে বড় কথা Kawasaki-like disease কিন্তু আজকাল COVID-19 এর সাথেও associated। তাই ওর treatment শুরুর আগে আমাদের এটাও দেখে নিতে হবে!

আলমগীরঃ ধন্যবাদ ডাক্তার, আপনি এত সুন্দর করে না বুঝালে আমরা হয়তো অনেক ভয়ে পেয়ে যেতাম মেয়ের ব্যাপারে। অনেক কিছুই অজানা থাকতো ওর রোগের ব্যাপারে।

ডাক্তারঃ আপনারা কাল ওকে নিয়ে চলে আসবেন বাদ বাকী test গুলো করে আমরা treatment শুরু করে দিব!

🎗 Reference:
Wolff K., Goldsmith L., Katz S., Gilchrest, B Paller, AS., & Leffell, D et al. (2011). Fitzpatrick’s Dermatology in General Medicine, 8th Edition. McGraw-Hill. Page: 167.

Platform Academic Division/ Neha Khan
Universal Medical College
Session:2017-2018

Leave a Reply