Blog

Basic Discussion about Bronchial Asthma

আমরা সবাই হাঁপানি কিংবা শ্বাসকষ্ট রোগের কথা শুনেছি, এই রোগকে মেডিকেলের ভাষায় অ্যাজমা (Asthma) বলা হয়। আসুন Asthma সম্পর্কে কিছুটা জেনে নিই –

Asthma

⚫Definition : 

Asthma হচ্ছে Trachea- এর দীর্ঘস্থায়ী  Inflammatory disease , যেই রোগে trechea যে কোনো allergen জাতীয় বস্তুর প্রতি অতিমাত্রায় Sensitivity দেখায়। এবং Inflammation-এর কারণে trechea-এর ভিতরের mucous membrane ফুলে যায়, এতে করে tracheal tube সরু হয়ে যায়। আর এই সরুপথে trachea-তে বাতাস প্রবেশ করতে এবং বের হতে বাধা প্রাপ্ত হয়।

Trachea একটি টিউবের মত, আমরা জানি যে, শরীরের কোনো জায়গায় Inflammation হলে শরীরের ওই জায়গা ফুলে যায়। এখন যদি একটি tube-এর মত organ-এর ভিতরের আবরণে inflammation হয়, তাহলে এই tube-এর ভিতরের অংশ ফুলে যাবে, এতে করে tube cavity সরু হয়ে যাবে, একটি সরু পথে বায়ু চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হবে। আর এই সরুপথে বায়ু চলাচলের কারণে বাঁশির মত শব্দ হবে, যাকে wheezing বলা হয়। আর এই সরু পথে ফুসফুসে বাতাস আসা যাওয়া করতেও কষ্ট হবে, যাকে Breathlessness বা শ্বাসকষ্ট বলে।

 Trachea-এর একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে কোনো Inflammatory substance আসলে trachea খুব জোরে ধাক্কা সহকারে বায়ু নির্গমন করে সেই প্রদাহ জনিত বস্তকে trachea থেকে বের করতে চেষ্টা করে সাথে Cough উৎপন্ন করে  inflammatory substance শ্বাসনালি থেকে বের করে শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে চেষ্টা করে। Asthma তে যেহেতু inflammation হয়, তাই trachea কাশি তৈরি করে সেই inflammatory substance থেকে নিজেকে পরিষ্কার করতে চেষ্টা করে। তাই কাশি উৎপন্ন হয়। Dry cough-ও হতে পারে, আবার mucous সমৃদ্ধ কাশিও হতে পারে, যাকে productive cough বলে।

আবার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় যেই পরিমান বায়ু lungs-এ প্রবেশ করে, trachea সরু হয়ে যাওয়ার কারণে তা পরিপূর্ণ বের হতে পারেনা। এই জন্য কিছু বাতাস প্রতিবার নিঃশ্বাস এর সাথে Lungs-এ জমা হতে থাকে। Lungs বাতাসে পরিপূর্ণ হয়ে প্রসারিত হয়ে যায়, যার কারনে বুকে চাপচাপ অনুভব হয়, যাকে Chest tightness বলে। আবার বুকে ব্যথাও হতে পারে।


⚫Symptoms :

1. বাঁশির মত শব্দ বা wheezing

2. শ্বাসকষ্ট বা breathlessness

3. কাশি বা Cough

4. বুকে চাপচাপ অনুভব হওয়া বা chest tightness.

5. শিশুদের Asthma দেখা দিলে সাথে Fever-ও চলে আসবে।

Asthma-এর symptoms রাত্রে এবং ভোর সকাল বেলায় বেশি দেখা দেয়। Asthma-এর জন্য উপরের 5 টা symptoms থাকতে হবে এমন কোনো শর্ত নাই, কারো কারো ক্ষেত্রে কেবল একটি symptoms থাকতে পারে, যথা কোনো asthma patient উপরের 5 টা symptoms-এর কেবল একটি তথা কাশি রয়েছে, তাহলে এইটাকে বলা হবে “Cough Variant Asthma” ।

এইভাবে কারো ক্ষেত্রে কেবল শ্বাসকষ্ট আর বাশির মত শব্দ থাকতে পারে, আবার কারো কেবল কাশি আর বাশির শব্দ থাকতে পারে।।

⚫Classification :

1. Extrinsic Asthma

যদি asthma-এর বাহ্যিক কোনো কারণ সনাক্ত করা যায়, তাহলে তাকে Extrinsic Asthma বলে। যেমন- একটি বাচ্চা ধুলা-বালি কিংবা ঠাণ্ডা কিছু খেলে যদি তার অ্যাজমার উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে তাকে Extrinsic Asthma বলে। কারণ এখানে অ্যাজমার কারণ জানা যায়।

2. Intrinsic Asthma

যদি Asthma-এর কোনো কারণ সনাক্ত করা না যায়, তাহলে তাকে intrisic Asthma বলে।

According to symptoms Classification of Asthma :

1.  Mild intermittent asthma :

যদি Asthma symptoms সপ্তাহে একবার করে দেখা দেয় ৩ মাস পর্যন্ত এবং প্রতি মাসে ২ রাত কিংবা তার কম রাতে asthma attack হয়, তাহলে একে Mild intermittent asthma বলে।

২। Moderate asthma :

যদি Asthma symptoms প্রতিদিন একবার করে দেখা দেয়, কিংবা প্রতি সপ্তাহে এক রাত করে কিংবা প্রতি মাসে ৩-৪ রাত করে যদি asthma symptoms দেখা দেয়, আবার ভালো হয়ে যায়, তাহলে একে Moderate asthma বলে।

৩। Severe asthma :

যদি asthma symptoms প্রতিদিন একবার করে দেখা দেয়, এবং তা ভালো না হয়ে বাড়তেই থাকে, এবং রাত্রে যদি আরো বেড়ে যায়, তাহলে এইটাকে severe asthma বলে।

⚫Most vulnerable people of asthma :

শিশুদের  Asthma প্রবণতা তুলনামুলক বেশি থাকে, তবে যেই কোনো বয়সেই অ্যাজমা হতে পারে।

⚫Cause :

কিছু মানুষ কেন Asthma দ্বারা আক্রান্ত হয়, তার সঠিক কারণ জানা যায়নি, তবে genetic কিংবা genetic asthma প্রবণতা পরবর্তী প্রজন্মে অ্যাজমা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রাখে।


⚫Trigger and risk factor of Asthma :

1. Asthma genetic ভাবে কিংবা. Familial ভাবে স্থানান্তর হতে পারে। বাবা-মায়ের যদি asthma থাকে, তাহলে সন্তানেরও অ্যাজমা হতে পারে।

2. Allergy জাতীয় বস্তর সংস্পর্শের কারণে asthma হতে পারে। যেমন- ধুলা-বালির কারণে, গৃহপালিত পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ যথা বিড়াল কুকুর ইত্যাদির সংস্পর্শ থেকে, বিছানার অভ্যান্তরীণ ক্ষুদ্র অণুজীব যেমন- House dust mite-এর কামড় থেকে asthma symptoms দেখা দিতে পারে, আর এই ধরনের অ্যাজমাগুলি শিশু বয়সেই বেশি হয়ে থাকে।

3. গৃহাভ্যন্তর যে কোনো দূষিত বস্তুর সংস্পর্শ থেকে Asthma হতে পারে।

4. শিশুকালের tracheal infection থেকে দীর্ঘস্থায়ী অ্যাজমা হতে পারে, যেমন- কারো যদি Respiratory syncytial virus infection হয়, তবে তা থেকে asthma হতে পারে।

5. Vitamin- A, Vitamin-E ও Vitamin-C সমৃদ্ধ খাবারের অভাবে অ্যাজমা দেখা দিতে পারে।

6. অতিরিক্ত আদ্র পরিবেশ কিংবা অতিরিক্ত শুষ্ক পরিবেশে বসবাস করার কারণেও অ্যাজমা হতে পারে।

7. অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয়, কিংবা শীত থেকেও অ্যাজমা হতে পারে।

8. যে কোনো allergic disease থেকে অ্যাজমা হতে পারে।

9. Immunoglobulin-E এর পরিমান বেড়ে গিয়ে asthma এবং অন্যান্য allergic symptoms দেখা দিতে পারে।

10. ফ্যাক্টরি, মিল, কল কারখানার বর্জ্য পদার্থের সংস্পর্শ থেকে অ্যাজমা দেখা দিতে পারে।

11. বায়ু দূষণ asthma-এর অন্যতম কারণ।

⚫When asthma increases :

বসন্তকাল এবং শীতকালে asthma বেড়ে যায়, বসন্তকালে ফুলের পাপড়িসমূহ পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে, তা নাকে প্রবেশ করে trachea-তে গিয়ে inflammation সৃষ্টি করতে পারে, তাই বসন্ত কালে asthma বেড়ে যায় আবার শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা respiratory mucous stimulate করে inflammation তৈরি করে asthma symptoms তৈরী করে।

⚫Prevention :

1.  শিশুদেরকে ধুলাবালি মুক্ত রাখবে

2. পোষাপ্রাণী থেকে দুরে রাখবে

3.  বিড়ালের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখবে

4.  অতিরিক্ত আদ্র কিংবা অতিরিক্ত শুষ্ক পরিবেশ পরিহার করে চলবে

5. থাকার ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার রাখবে, বিছানাতে যেন কোন হাউস ডাস্টমাইট বাসা বাঁধতে না পারে, সেই বিষয় খেয়াল রাখবে। বিছানার অণুজীবসমূহ খালি চোখে দেখা যায় না, তবে রোদের তাপে এই গুলি মরে যায়, তাই কিছুদিন পরপর বিছানা চাদর, কম্বল তোষক ইত্যাদি রোদের তাপে শুকিয়ে নিবে।

6. শিশুদের কে রেফ্রিজারেটর এর পানি পান করানো থেকে বিরত থাকবে।

7. যে কোনো দূষিত বায়ু যথা অন্যের ধূমপানের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখবে।

8. যেইসব খাবার খেলে এলার্জি দেখা দেয়, তথা যেইসব খাবারের মাঝে hypersensitivity রয়েছে, তা পরিহার করে চলবে।

9. শিশু অবস্থায় গরুর দুধ পান করলে অনেক সময় অ্যাজমা হবার সম্ভাবনা থাকে, তাই অন্তত ১ বছর পর্যন্ত গরুর দুধ থেকে বিরত রাখি।

১০। Aspirin এবং অন্যান্য pain killer medicine asthma তৈরি করে, তাই খুব প্রয়োজন না হলে এইগুলি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে।

⚫Investigation :

অ্যাজমা মূলত clinical diagnosis করা হয়, তবে Investigation হিসাবে এই টেস্ট গুলো করা হয়:

1. Pulmonary Function Test তথা  spirometry test , Peak flow meter ইত্যাদি

2.  Complete blood count করে eosinophil count দেখে allergy-এর পরিমান যাচাই করা হয়।

3.  Immunoglobuline-E test 

4. Sputum examination 

5. X-ray 

⚫Treatment :

Asthma-এর তীব্রতা অনুযায়ী একেকজন কে একেক প্রকার treatment দেওয়া হয়।

1. Mild asthma-এর ক্ষেত্রে short acting bronchodilator inhaler দেওয়া হয়। Symptoms দেখা দিলে Sulbutamol inhaler ইত্যাদি ব্যবহার করলে সুস্থ থাকে।


2. Moderate Asthma কিংবা যাদের দুই বছর যাবৎ asthma রয়েছে, অথবা যাদের প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে symptoms দেখা দেয়, এমনকি asthma symptoms-এর কারণে তথা Shortness of breath কিংবা cough-এর কারনে যদি রাত্রে ঘুম ভেংগে যাওয়ার মত অবস্থা হয়, তাহলে Sulbutamol inhaler-এর সাথে corticosteroid inhaler দেওয়া যেতে পারে।

▪ Corticosteroid Inhaler : 

1. Beclomethasone Dipropionate

2. Budesonide

3. Fluticasone

এইভাবে পর্যায়ক্রমে Long acting bronchodilator inhaler Salmetero, or Formoterol ইত্যাদি দিবে।

যখন severe symptoms of asthma কন্ট্রোলে আসবে, তখন prophylactic treatment হিসাবে রেগুলার  Montelukast অথবা Theophylline ইত্যাদি ব্যবহার করবে।

ডা. ইসমাইল আযহারি

DCMC/2013-14

প্ল্যাটফর্ম একাডেমিক/সামিউন ফাতীহা


Leave a Reply