Blog

Dengue: Why Prevention Is Better Than Cure? ।। হাবিজাবি ১১

Dengue যে virus দিয়ে হয় তার নাম Dengue virus, এই virus যে পরিবারের অন্তর্ভুক্ত তাকে বলে Flavivirus family। এই family তে আরো আছে Yellow fever virus, zika virus, etc। Dengue virus এর মত এরাও জ্বর এর সাথে Haemorrhagic manifestation করতে পারে। তাই symptom দেখেই সব রোগীকে গণহারে Dengue বলা ঠিক হবে না, অন্যকিছুও হতে পারে।

Flavivirus ফ্যামিলির এই virus গুলোকে arbovirus ও বলে, কারণ কারণ এরা সবাই ছড়ায় মশার কামড়ে। মশাও মূলত দুটো Aedes aegypti, Aedes albopictus. আর একটা তথ্য দিয়ে ভূমিকা শেষ করি, এরা সবাই কিন্তু RNA virus, আর এটা মাথায় গেঁথে রাখা ভাল অধিকাংশ RNA virus গুলো DNA virus অপেক্ষা ঝামেলাবাজ ও এদের জটিলতাও বেশি।

ডেংগুর চারটা সেরোটাইপ আছে-
DEN 1,
DEN 2,
DEN 3,
DEN 4.

ধরুন আমার DEN 1 দিয়ে ডেংগু হল, সুস্থ হয়ে গেলাম, এরপর এই DEN 1 যতই আমার শরীরে ঢুকুক না কেন আমার আর ডেংগু হবে না। কিন্তু ওই যে বাকি DEN যারা আছে তাদের দিয়ে কিন্তু নতুন করে ডেংগু হতে পারে! আর একবার এক সেরোটাইপ দিয়ে ডেংগু হওয়ার পর আবার অন্য কোন সেরোটাইপ দিয়ে যদি ডেংগু হয় তবে সেটা সাধারণ ডেংগুর পরিবর্তে মারাত্মক Dengue Haemorrhagic fever হতে পারে। তাই এবছর যারা মারাত্মক ডেংগুতে আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না যে তারা আগে অন্য সেরোটাইপ দিয়ে classical dengue fever এ আক্রান্ত হয়েছে!

অতি গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটা মনে রাখতে হবে,
ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষই কিন্তু এ রোগের main carrier, আর সেটাকে vector হয়ে ছড়ায় aedes মশা! তাই অসুস্থ মানুষকে অবশ্যই আলাদাভাবে মশারি প্রটেকশনে রাখতে হবে, কারণ aedes মশা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ে সুস্থ কাউকে কামড় দিলে সেও ডেংগু আক্রান্ত হতে পারে!


ডেংগুর প্রধান দুইটি ধরণ হলঃ
১. কোন সিম্পটম নাই (asymptomatic)
২. সিম্পটম আছে (symptomatic)

Symptomatic Dengue আবার চার ধরণেরঃ (একত্রে Dengue syndrome বলা হয়)
1. Undifferentiated fever/ Classical dengue fever
2. Dengue haemorrhagic fever (DHF)
3. Dengue shock syndrome (DSS)
4. Expanded dengue

Fig: Symptoms of Dengue


Dengue syndrome শুরু থেকে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত তিনটি ধাপ (3 phases):

1. Febrile phase
অনেক জ্বর। শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করার ৪-১০ দিনের মাথায় সাধারণত জ্বর আসে)। এই জ্বর কয়েকদিন থেকে কমে যায়, আবার ২-৩ দিন পর আসে। জ্বরের এই ধরণটাকে saddleback বা biphasic fever বলে।
অনেক সময় টানা বা continuous fever থাকতে পারে। এই phase এ জ্বরের সাথে গায়ে প্রচন্ড ব্যথা থাকতে পারে। রোগীর মাংসে ব্যথা, মাথায় ব্যথা, চোখে ব্যথা, চোখ নাড়ালেও ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা (breakbone fever)। মাংসের ব্যথাটা হাড়ে ব্যথা অপেক্ষা বেশি থাকে, যার উল্টোটা থাকে Chikungunya তে।
সারা শরীরে লাল র‍্যাশ (petechiae, purpura, echymosis) দেখা দেবে জ্বর শুরু হওয়ার ২-৫ দিন পর। মনে রাখতে হবে হাত ও পায়ের তালুতে কোন র‍্যাশ থাকে না।
Lymphadenopathy থাকতে পারে।

উপরের সকল symptoms পরবর্তী phase এ না গিয়ে ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই ভাল হয়ে যেতে পারে। যদি ভাল হয় তবে এটা Dengue syndrome এর প্রথম অবস্থা classical dengue fever। রোগী সুস্থ, ভয়ের কিছু নাই।

কিন্তু জ্বর কমে গেল, এখন নতুন করে যা হল তা হল নাক দিয়ে, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। অল্প আঘাতেই চামড়ার নিচে লাল হয়ে যায় (easy bruising), অর্থাৎ শুরু হল Dengue syndrome এর দ্বিতীয় ধাপ।

2. Afebrile or critical phase
রক্তবমি, রক্ত পায়খানা (heamatemesis, melaena) হওয়া। মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিকে রক্ত বেশি যাওয়া (menorrhagia)। আরো বেশি সিরিয়াস হলে internal organ এ রক্তক্ষরণ, বিশেষ করে cerebral haemorrhage, encephalitis ডেভেলপ করতে পারে। এত haemorrhagic এর কারণ platelet count কমে যাওয়া। Dengue syndrome এর এই অবস্থাকে বলে Dengue haemorrhagic fever (DHF)।
Haemorrhage অনেক বেশি হয়। অথবা visible haemorrhage কম, কিন্তু vascular permeability বেড়ে গিয়ে plasma leakage হয়ে fluid ব্লাড ভেসেল থেকে চলে যাচ্ছে interstitial space এ, ফলে blood volume কমে গিয়ে ডেভেলপ করছে circulatory failure, shock, multiple organ failure! এবং এগুলোই এ রোগে মৃত্যুর অন্যতম কারণ যদি না সময়মত ঠিকভাবে ট্রিটমেন্ট করা যায়। Dengue syndrome এর এই অবস্থাকে বলে Dengue shock syndrome (DSS).

রোগী এই অবস্থায় কপাল গুনে বা চিকিৎসার জোরে বেঁচে গেল। কিন্তু shock এর কারণে তার যেসব organ এ hypoperfusion হয়েছে (যেমন liver, kidney, brain, etc তে organopathy ডেভেলপ করতে পারে) যাকে বলে expanded dengue syndrome বা isolated organopathy!

আচ্ছা, এই plasma leakage হয় কীভাবে?
Dengue virus এর বিরুদ্ধে শরীর antibody তৈরি করে। তারপর তৈরি হয় antigen-antibody complex, যা monocyte ও macrophage থেকে প্রচুর পরিমাণ cytokine রিলিজ করায়, আর এরাই vascular permeability বাড়িয়ে plasma leakage করে!

সময়মত ও ঠিকভাবে উপরের critical period যা সাধারণত ২-৩ দিন থাকে তার মোকাবেলা করতে পারলে শুরু হয় Dengue syndrome এর তৃতীয় ধাপ।

3. Convalescent or Recovery phase
অর্থাৎ রোগী আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে যায়।


ডায়াগনস্টিক টুলসঃ
জ্বর আসার প্রথম দিনই যে টেস্ট করে ডেঙ্গু ডায়াগনোসিস করা যায় সেটি হলো-
1. NS1 (non-structural protein 1) antigen test
2. PCR ও করা যায়

ডেঙ্গু জ্বরের বিরুদ্ধে antibody তৈরি করতে ইমুনিটি ৫ দিন বা তার বেশি সময় নেয়।

  • সেই সময় পর Anti-dengue antibody (প্রথমে IgM, পরে IgG) test করা যায়।
  • পাশাপাশি CBC, যেখানে thrombocytopenia পেতে পারি।
  • Platelet count খুব দ্রুত কমে যেতে পারে এবং ডেঙ্গুর মারাত্মক লক্ষণের অন্যতম কারণই হল platelet count কমে যাওয়া (১ লাখের নিচে), সাথে leucocyte গুলো কমতে পারে।
  • ডেঙ্গু ভাইরাস লিভারের hepatocyte কে সরাসরি এটাক করতে পারে এবং mild hepatitis ও করতে পারে। আর তাই এক্সামিনেশনে hepatomegaly পেতে পারি, আর টেস্টে SGPT ও SGOT বেশি পেতে পারি।
  • Thrombocytopenia হলে রোগীর যে bleeding manifestations হয় সেগুলো রোগীর শরীরে দেখা না গেলেও আমরা একটা টেস্ট করে সেটা দেখতে পারি। রোগীর সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক প্রেশারের মাঝে বিপি মেশিনের কাফটাকে ফুলিয়ে ৫ মিনিট রাখতে হবে, thrombocytopenia থাকলে রোগীর হাতে petechiae দেখা যাবে, একে বলে positive tourniquet test.
  • Shock syndrome এ শকের ফিচারগুলো থাকবে, rapid & weak pulse, narrow pulse pressure, প্রেশার কম, cold skin।
  • Plasma leakage হওয়ার কারণে Hematocrit বাড়বে (>20%) তারপর এর কারেকশন করতে ফ্লুইড থেরাপি দিলে Hematocrit কমবে (<20%)।
  • Plasma leakage এর জন্য ascites, cerebral oedema ডেভেলপ করতে পারে।
  • প্লাজমার সাথে প্রোটিনও বের হয়ে করতে পারে hypoalbuminemia.




চিকিৎসাঃ
১. পূর্ণ বিশ্রাম।
২. জ্বরের জন্য শুধুমাত্র paracetamol, শরীর মুছে ঠান্ডা করা।
৩. জ্বর কমাতে aspirin জাতীয় কোন ওষুধ কখনোই না, দিলে haemorrhagic tendency বাড়বে।
৪. বাচ্চাদের ক্ষেত্রে aspirin দিলে Reye’s syndrome ডেভেলপ করতে পারে।
৫. classical dengue fever এও রোগীর dehydration থাকে, তাই তরল খাবার বেশি খাওয়াতে হবে।
৬. রোগীর hypovolumia বা shock এর ফিচার ডেভেলপ করলে IV isotonic fluid যেমন- 0.9% NS, 5% DNS (যা শরীরে দেয়ার সময় hypertonic আর ঢোকার পর isotonic কারণ glucose cell এ uptake utilization হয়) বা hartman দিতে হবে hospitalize করে।

ফ্লুইড এর ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালঃ
*5%DA শরীরে ঢোকার আগে isotonic থাকলেও, ঢোকার পর এর গ্লুকোজ cell এ used হয়ে hypotonic হয়ে যায়, তাই ব্যবহার না করাই ভাল। অন্য যে কোন hypotonic ফ্লুইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান! oedema ডেভেলপ করতে পারে।
*Excess of anything is bad, তাই ফ্লুইড দিতে থাকো দিতে থাকো এমনটা যেন না হয়, কারণ oedema aggravate করতে পারে, তাই মনিটর করে check & balance!

৭. Platelet count খুব বেশি কমে haemorrhagic manifestation দেখা গেলে তখনই কেবল platelet transfusion করতে হবে৷

Platelet transfusion এর Rules:
* 150000/mm3 থেকে কমতে কমতে 20000/mm3 এর নিচে গেলে
* যদি 21000 – 40000/mm3 প্লাস bleeding manifestations থাকে তখন।
* 40000/mm3 উপরে থাকলে দেওয়ার প্রয়োজন নাই।

৮. আমাদের দেশে দেওয়ার মত কোন vaccine নাই। কিছু দেশে তাদের দেশে পাওয়া ডেঙ্গুর সেরোটাইপ অনুযায়ী vaccine আছে, খুব একটা কার্যকরী না।

Prevention is better than cure!
মি. বকুল গরমে কুল কুল করে ঘামে,
তারপর কোল্ড ড্রিংকস খায় আরামে!
খেয়েই বোতলটা ছুড়ে মারে পাশের ড্রেনে। এভাবে বোতল জমতে জমতে ড্রেনের পানি যায় আটকে, সেখানে জমে থাকা বৃষ্টিজলে পরিবার পরিজন নিয়ে আবাস গড়ে এক এডিস পরিবার। একদিন বিকালে বকুল ছিল ভাতঘুমে, সুযোগ বুঝে জীবাণুবাহী দুষ্টু মশকী এসে তার হুল ফুঁটিয়ে দিল (মনে রাখা ভাল এডিস মশকী যেকোন সময় কামড়াতে পারে, তবে বেশি কামড়ায় সূর্যদয়ের পর ও সূর্যাস্তের আগে)। ব্যস আর যায় কই, ডেংগু বাঁধিয়ে হাসপাতালে, tit for tat!
তাই সচেতন হোন, সদা সতর্ক থাকুন, পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।

ডা. কাওসার উদ্দীন
ঢামেক, কে-৬৫

Leave a Reply