Blog

Fear of Being Unsocial || FOMO Syndrome

আপনারা নিজেরা দেখে থাকবেন অথবা খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, আমরা একটু পর পরই ফেসবুকের হোম পেইজ স্ক্রল করতে বসে যাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় শুধু মাত্র ফেসবুক স্ক্রল করেই। শুধু তাই নয়, নিজে কোন স্ট্যাটাস অথবা ছবি দিলেও এই ফ্রিকুয়েন্সী টা বেড়ে যায় বহুগুণ। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এরকম টা কেন হয়? আমাদের মস্তিষ্কে কি এমন ঘটে যাতে আমরা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতেই থাকি, কিন্তু আমাদের এতটুকু boring লাগে না?

যেকারণে আমাদের এরূপ ঘটে থাকে, বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলা হয়, Fear Of Missing Out Syndrome বা সংক্ষেপে FOMO Syndrome. মূলত, এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ভেতরে একটা উদ্বেগ এর জন্ম নেয় এবং তার কাছে মনে হয় সে হয়তো সামাজিকভাবে যোগাযোগ/ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যতক্ষণ না সে সোশ্যাল মিডিয়া তে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন প্রত্যেকেরই অবাধ বিচরণ বর্তমানে এ বিষয়টিকে আরো জটিল করে তুলছে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাস্তব জীবনেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই FOMO Syndrome মারাত্নক প্রভাব ফেলে। ধরুন, আপনার খুব কাছের একজন বন্ধু এমন একটা জব পেয়েছে তাতে শুধু স্যালারি টাই ভাল, কিন্তু জবের কোয়ালিটি আপনার সাথে যায় না। কিন্তু আপনি যতই নিজেকে নিয়ে determined থাকেন, আপনি অবচেতন মনেই একটা second thought দিবেন, আচ্ছা আমি কি ওই চাকরি টা করতে পারি না? শুধু তাই নয়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ছবি, রেস্টুরেন্টগুলোতে হ্যাংআউট, প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো মুহূর্ত -এসমস্ত কিছুই আমাদের মনে FOMO প্রভাব ফেলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, Long term FOMO effect একজন ব্যক্তির ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনায় নেগেটিভ ভাবে প্রভাব ফেলে এবং এতে করে self confidence এর মাত্রাও ব্যস্তানুপাতিক হারে কমতে থাকে। দেখা যায়, এতে তার মনোজগতে আমূল পরিবর্তন সাধিত হওয়াও অসম্ভবপর নয়।

Marketing Strategy তে এই FOMO Effect কে দারুণভাবে কাজে লাগানো হয়। যে advertisement যত বেশি FOMO effect তৈরি করতে পারে, সেটা তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছুতে পারে।

সবশেষে, FOMO effect এর কারণে একজন ব্যক্তি অন্যদের সামাজিক জীবন যাপনের প্রতি অধিক মাত্রায় কৌতূহলী হয়ে পড়তে থাকে এবং নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলতে থাকে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, Social media সমূহ যাতে আমরা ব্যবহার করি, কিন্তু social media গুলো যাতে আমাদের ব্যবহার না করে।

Statistics:

৫৬% মানুষ যারা FOMO এর অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেছেন তারা ১৮-৩০ বছর বয়সের মধ্যে। ৩৩% মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সমবয়সীদের মধ্যে FOMO effect তৈরি করতে চেষ্টা করে। ৪৫% মানুষ যারা এই FOMO অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া চেক না করে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত করতে পারে না। আর FOMO অভিজ্ঞতা অর্জনকারীদের মধ্যে ২০% মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া চেক না করে ১ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত করতে পারে না।

Some ideas to stop FOMO:

প্রথমেই আমাদের মেনে নিতে হবে আমাদের এই সমস্যা আছে। তাহলে এই সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

জীবনের সামাজিক দিকগুলো থেকে কিছুটা বিরতি নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এটি কয়েকদিন, এক সপ্তাহ বা এর থেকে বেশি দিনের জন্য ও হতে পারে। নিজের জীবনের উপর মনোনিবেশ করতে হবে। এতে নিজেকে বোঝার জন্য সময় পাওয়া যায়।

FOMO এর effect এর জন্য আমরা সবসময় নিজেদেরকে বন্ধু-বান্ধব বা social media তে unknown person এর সাথে তুলনা করি। কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে আমরা কতটা awesome বা আমাদের life বা plan কতটা awesome! এর মাধ্যমে আমরা এই FOMO effect থেকে বের হয়ে নিজেদের জীবন উপভোগ করতে পারি।

Fig : Ideas to stop FOMO.

একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিতে হবে যখন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার সবকিছু check করে নিব। এতে FOMO effect কিছুটা হলেও কমে যাবে।

সর্বোপরি, সবসময় মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করতে হবে। এটি যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অযৌক্তিক পর্যালোচনা এবং পর্যবেক্ষণ থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজেদের অন্য কাজে ব্যস্ত রাখতে পারি যা কিছুটা হলেও হেল্পফুল হবে।

Sajib Kumar Ghosh
Session: 2014-2015
Sir Salimullah Medical College

প্ল্যাটফর্ম একাডেমিক/ তানজিনা সুলতানা অর্নি

Leave a Reply